পৃষ্ঠা গুলি দেখুন

ধ্যান ও ‌‌‌আধ্যা‌ত্মিক .‌সাধনা ..

সকল ধর্মই ‘ধ্যান’-এর উপর বিশেষ জোর দিয়াছে। যোগীরা বলেন ধ্যানমগ্ন অবস্থাই মনের উচ্চতম অবস্থা।
মন যখন বাহিরের বস্তু অনুশীলনে রত থাকে, তখন ইহা সেই বস্তুর সহিত একীভূত হয় এবং নিজেকে হারাইয়া ফেলে। প্রাচীন ভারতীয় দার্শনিকের উপমায় মানুষের মন যেন একখণ্ড স্ফটিকের মত—নিকটে যাহাই থাকুক, উহা তাহারই রঙ ধারণ করে। অন্তঃকরণ যাহাই স্পর্শ করে, … তাহারই রঙে উহাকে রঞ্জিত হইতে হয়। ইহাই তো সমস্যা। ইহারই নাম বন্ধন। ঐ রঙ এত তীব্র যে, স্ফটিক নিজেকে বিস্মৃত হইয়া বাহিরের রঙের সহিত একীভূত হয়। মনে কর—একটি স্ফটিকের কাছে একটি লাল ফুল রহিয়াছে; স্ফটিকটি উহার রঙ গ্রহণ করিল এবং নিজের স্বচ্ছ স্বরূপ ভুলিয়া নিজেকে লাল রঙের বলিয়াই ভাবিতে লাগিল। আমাদেরও অবস্থা ঐরূপ দাঁড়াইয়াছে। আমরাও শরীরের রঙে রঞ্জিত হইয়া আমাদের যথার্থ স্বরূপ ভুলিয়া গিয়াছি। (এই ভ্রান্তির) অনুগামী সব দুঃখই সেই এক অচেতন শরীর হইতে উদ্ভূত। আমাদের সব ভয়, দুশ্চিন্তা, উৎকণ্ঠা, বিপদ, ভুল, দুর্বলতা, পাপ সেই একমাত্র মহাভ্রান্তি—‘আমরা শরীর’ এই ভাব হইতেই জাত। ইহাই হইল সাধারণ মানুষের ছবি। সন্নিহিত পুষ্পের বর্ণানুরঞ্জিত স্ফটিকতুল্য এই জীব! কিন্তু স্ফটিক যেমন লাল ফুল নয়, আমরাও তেমনি শরীর নই। ধ্যানাভ্যাস অনুসরণ করিতে করিতে স্ফটিক নিজের স্বরূপ জানিতে পারে এবং নিজ রঙে রঞ্জিত হয়। অন্য কোন প্রণালী অপেক্ষা ধ্যানই আমাদিগকে সত্যের অধিকতর নিকটে লইয়া যায়। …
ভারতে দুই ব্যক্তির দেখা হইলে (আজকাল) তাঁহারা ইংরেজীতে বলেন, ‘কেমন আছেন?’ কিন্তু ভারতীয় অভিবাদন হইল, ‘আপনি কি সুস্থ?’ যে মুহূর্তে আত্মা ব্যতীত অন্য কিছুর উপর নির্ভর করিবে, তোমার দুঃখ আসিবার আশঙ্কা আছে। ধ্যান বলিতে আমি ইহাই বুঝি—আত্মার উপর দাঁড়াইবার চেষ্টা। আত্মা যখন নিজের অনুধ্যানে ব্যাপৃত এবং স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠিত, তাহার তখনকার অবস্থাটিই নিশ্চিতরূপে সুস্থতম অবস্থা। ভাবোন্মাদনা, প্রার্থনা প্রভৃতি অপরাপর যে-সব প্রণালী আমাদের রহিয়াছে, সেগুলিরও চরম লক্ষ্য ঐ একই। গভীর আবেগের সময়ে আত্মা স্বরূপে প্রতিষ্ঠিত হইতে চেষ্টা করে। যদিও এ আবেগটি হয়তো কোন বহির্বস্তুকে অবলম্বন করিয়া উঠিয়াছে, কিন্তু মন সেখানে ধ্যানস্থ।
ধ্যানের তিনটি স্তর। প্রথমটিকে বলা হয় (ধারণা)—একটি বস্তুর উপরে, একাগ্রতা অভ্যাস। এই গ্লাসটির উপর আমার মন একাগ্র করিতে চেষ্টা করিতেছি। এই গ্লাসটি ছাড়া অপর সকল বিষয় মন হইতে তাড়াইয়া দিয়া শুধু ইহারই উপর মনঃসংযোগ করিতে চেষ্টা করিতে হইবে। কিন্তু মন চঞ্চল। … মন যখন দৃঢ় হয় এবং তত চঞ্চল নয়, তখনই ঐ অবস্থাকে ‘ধ্যান’ বলা হয়। আবার ইহা অপেক্ষাও একটি উন্নততর অবস্থা আছে, যখন গ্লাসটি ও আমার মধ্যে পার্থক্য সম্পূর্ণরূপে বিলুপ্ত হয় (সমাধি বা পরিপূর্ণ তন্ময়তা)। তখন মন ও গ্লাসটি অভিন্ন হইয়া যায়। উভয়ের মধ্যে কোন পার্থক্য দেখি না। তখন সকল ইন্দ্রিয় কর্মবিরত হয় এবং যে-সকল শক্তি অন্যান্য ইন্দ্রিয়ের মধ্য দিয়া ভিন্ন ভিন্ন পথে ক্রিয়া করে, সেগুলি (মনেতেই কেন্দ্রীভূত হয়)। তখন গ্লাসটি পুরাপুরিভাবে মনঃশক্তির অধীনে আসিয়াছে। ইহা উপলব্ধি করিতে হইবে। যোগিগণের অনুষ্ঠিত ইহা একটি প্রচণ্ড শক্তির খেলা। … ধরা যাক—বাহিরের বস্তু বলিয়া কিছু আছে। সে ক্ষেত্রে যাহা বাস্তবিকই আমাদের বাহিরে রহিয়াছে, তাহা—আমরা যাহা দেখিতেছি, তাহা নয়। যে গ্লাসটি আমাদের চোখে ভাসিতেছে, সেটি নিশ্চয়ই আসল বহির্বস্তু নয়। গ্লাস বলিয়া অভিহিত বাহিরের আসল বস্তুটিকে আমি জানি না এবং কখনও জানিতে পারিব না।
কোন কিছু আমার উপর একটি ছাপ রাখিল; তৎক্ষণাৎ আমি আমার প্রতিক্রিয়া জিনিষটির দিকে পাঠাইলাম এবং এই উভয়ের সংযোগের ফল হইল ‘গ্লাস’। বাহিরের দিক্ হইতে উৎপন্ন ক্রিয়া—‘ক’ এবং ভিতর হইতে উত্থিত প্রতিক্রিয়া—‘খ’। গ্লাসটি হইল ‘ক-খ’। যখন ‘ক’-এর দিকে তাকাইতেছ, তখন উহাকে বলিতে পার ‘বহির্জগৎ’, আর যখন ‘খ’-এর দিকে দৃষ্টি দাও, তখন উহা ‘অন্তর্জগৎ’। … কোন্‌টি তোমার মন আর কোন্‌টি বাহিরের জগৎ—এই পার্থক্য উপলব্ধি করিতে চেষ্টা করিলে দেখিবে, এরূপ কোন প্রভেদ নাই। জগৎ হইতেছে তুমি এবং আরও কিছুর সমবায় …।
অন্য একটি দৃষ্টান্ত লওয়া যাক। তুমি একটি হ্রদের শান্ত বুকে কতকগুলি পাথর ছুঁড়িলে। প্রতিটি প্রস্তর নিক্ষেপের পরেই দেখা যায় একটি প্রতিক্রিয়া। প্রস্তরখণ্ডটিকে বেড়িয়া সরোবরের কতকগুলি ছোট ছোট ঢেউ ওঠে। এইরূপেই বহির্জগতের বস্তুনিচয় যেন মন-রূপ সরোবরে উপলরাশির মত নিক্ষিপ্ত হইতেছে। অতএব আমরা প্রকৃতপক্ষে বাহিরের জিনিষ দেখি না …; দেখি শুধু তরঙ্গ …।
মনে উত্থিত তরঙ্গগুলি বাহিরে অনেক কিছু সৃষ্টি করে। আমরা আদর্শবাদ (Idealism) ও বাস্তববাদের (Realism) গুণ-সকল আলোচনা করিতেছি না। মানিয়া লইতেছি—বাহিরের জিনিষ রহিয়াছে, কিন্তু যাহা আমরা দেখি, তাহা বাহিরে অবস্থিত বস্তু হইতে ভিন্ন, কেন-না আমরা যাহা প্রত্যক্ষ করি, তাহা বহিঃস্থ বস্তু ও আমাদের নিজেদের সত্তার একটি সমবায়।
মনে কর—আমার প্রদত্ত যাহা কিছু, তাহা গ্লাসটি হইতে উঠাইয়া লইলাম। কি অবশিষ্ট রহিল? প্রায় কিছুই নয়। গ্লাসটি অদৃশ্য হইবে। যদি আমি আমার প্রদত্ত যাহা কিছু, তাহা এই টেবিলটি হইতে সরাইয়া লই, টেবিলের আর কি থাকিবে? নিশ্চয়ই এই টেবিলটি থাকিবে না, কারণ ইহা উৎপন্ন হইয়াছিল বহির্বস্তু ও আমার ভিতর হইতে প্রদত্ত কিছু—এই দুই লইয়া। (প্রস্তরখণ্ড) যখনই নিক্ষিপ্ত হউক না কেন, হ্রদ বেচারীকে তখনই উহার চারিপাশে তরঙ্গ তুলিতে হইবে। যে-কোন উত্তেজনার জন্য মনকে তরঙ্গ সৃষ্টি করিতেই হইবে। মনে কর … আমরা যেন মন বশীভূত করিতে পারি। তৎক্ষণাৎ আমরা মনের প্রভু হইব। আমরা বাহিরের ঘটনাগুলিকে আমাদের যাহা কিছু দেয়, তাহা দিতে অস্বীকার করিলাম …। আমি যদি আমার ভাগ না দিই, বাহিরের ঘটনা থামিতে বাধ্য। অনবরত তুমি এই বন্ধন সৃষ্টি করিতেছ। কিরূপে? তোমার নিজের অংশ দিয়া। আমরা সকলেই নিজেদের শৃঙ্খল গড়িয়া বন্ধন রচনা করিতেছি…। যখন বহির্বস্তু ও আমার মধ্যে অভিন্ন বোধ করার ভাব চলিয়া যাইবে, তখন আমি আমার (দেয়) ভাগটি তুলিয়া লইতে পারিব এবং বস্তুও বিলুপ্ত হইবে। তখন আমি বলিব, ‘এখানে এই গ্লাসটি রহিয়াছে,’ আর আমি আমার মনটি উহা হইতে উঠাইয়া লইব, সঙ্গে সঙ্গে গ্লাসটিও অদৃশ্য হইবে …। যদি তুমি তোমার দেয় অংশ উঠাইয়া লইতে সমর্থ হও, তবে জলের উপর দিয়াও তুমি হাঁটিতে পারিবে। জল আর তোমাকে ডুবাইবে কেন? বিষই বা তোমার কি করিবে? আর কোনপ্রকার কষ্টও থাকিবে না। প্রকৃতির প্রত্যেক দৃশ্যমান বস্তুতে তোমার দান অন্ততঃ অর্ধেক এবং প্রকৃতির অর্ধাংশ। যদি তোমার অর্ধভাগ সরাইয়া লওয়া যায় তো দৃশ্যমান বস্তুর বিলুপ্তি ঘটিবে।
… প্রত্যেক কাজেরই সমপরিমাণ প্রতিক্রিয়া আছে …। যদি কোন লোক আমাকে আঘাত করে ও কষ্ট দেয়—ইহা সেই লোকটির কার্য এবং (বেদনা) আমার শরীরের প্রতিক্রিয়া …। মনে কর আমার শরীরের উপর আমার এতটা ক্ষমতা আছে যে, আমি ঐ স্বয়ংচালিত প্রতিক্রিয়াটি প্রতিরোধ করিতে সমর্থ। ঐরূপ শক্তি কি অর্জন করা যায়? ধর্মশাস্ত্র (যোগশাস্ত্র) বলে, যায় …। যদি তুমি অজ্ঞাতসারে হঠাৎ ইহা লাভ কর, তখন বলিয়া থাক—‘অলৌকিক’ ঘটনা। আর যদি বৈজ্ঞানিক প্রণালীতে শিক্ষা কর, তখন উহার নাম ‘যোগ’।মানসিক শক্তির দ্বারা লোকের রোগ সারাইতে আমি দেখিয়াছি। উহা ‘অলৌকিক কর্মী’র কাজ। আমরা বলি, তিনি প্রার্থনা করিয়া লোককে নীরোগ করেন। (কিন্তু) কেহ বলিবেন, ‘না, মোটেই না, ইহা কেবল তাঁহার মনের শক্তির ফল। লোকটি বৈজ্ঞানিক। তিনি জানেন, তিনি কি করিতেছেন।’
ধ্যানের শক্তি আমাদিগকে সব কিছু দিতে পারে। যদি তুমি প্রকৃতির উপর আধিপত্য চাও, (ইহা ধ্যানের অনুশীলনেই সম্ভব হইবে)। আজকাল বিজ্ঞানের সকল আবিষ্ক্রিয়াও ধ্যানের দ্বারাই হইতেছে। তাঁহারা (বৈজ্ঞানিকগণ) বিষয়বস্তুটি তন্ময়ভাবে অনুধ্যান করিতে থাকেন এবং সব-কিছু ভুলিয়া যান—এমন কি নিজেদের সত্তা পর্যন্ত, আর তখন মহান্‌ সত্যটি বিদ্যুৎপ্রভার মত আবির্ভূত হয়। কেহ কেহ ইহাকে ‘অনুপ্রেরণা’ বলিয়া ভাবেন। কিন্তু নিঃশ্বাসত্যাগ যেমন আগন্তুক নয় (নিশ্বাস গ্রহণ করিলেই উহার ত্যাগ সম্ভব), সেইরূপ ‘অনুপ্রেরণা’ও অকারণ নয়। কোন কিছুই বৃথা পাওয়া যায় নাই।
যীশুখ্রীষ্টের কার্যের মধ্যে আমরা তথাকথিত শ্রেষ্ঠ ‘অনুপ্রেরণা’ দেখিতে পাই। তিনি পূর্ব পূর্ব জন্মে যুগ যুগ ধরিয়া কঠোর কর্ম করিয়াছিলেন। তাঁহার ‘অনুপ্রেরণা’ তাঁহার প্রাক্তন কর্মের—কঠিন শ্রমের ফল …। ‘অনুপ্রেরণা’ লইয়া ঢাক পিটান অনর্থক বাক্যব্যয়। যদি তাহাই হইত, তবে ইহা বর্ষাধারার মত পতিত হইত। যে-কোন চিন্তাধারায় প্রত্যাদিষ্ট ব্যক্তিগণ সাধারণ শিক্ষিত (ও কৃষ্টিসম্পন্ন) জাতিসমূহের মধ্যেই আবির্ভূত হন। প্রত্যাদেশ বলিয়া কিছু নাই। … অনুপ্রেরণা বলিয়া যাহা চলিতেছে, তাহা আর কিছুই নয়—যে সংস্কারগুলি পূর্ব হইতেই মনের মধ্যে বাসা বাঁধিয়া আছে, সেগুলির কার্যপরিণত রূপ অর্থাৎ ফল। একদিন সচকিতে আসে এই ফল! তাঁহাদের অতীত কর্মই ইহার কারণ।
সেখানেও দেখিবে ধ্যানের শক্তি—চিন্তার গভীরতা। ইঁহারা নিজ নিজ আত্মাকে মন্থন করেন। মহান্‌ সত্যসমূহ উপরিভাগে আসিয়া প্রতিভাত হয়। অতএব ধ্যানাভ্যাসই জ্ঞানলাভের বিজ্ঞানসম্মত পন্থা। ধ্যানের শক্তি ব্যতীত জ্ঞান হয় না। ধ্যানশক্তির প্রয়োগে অজ্ঞান, কুসংস্কার ইত্যাদি হইতে আমরা সাময়িকভাবে মুক্ত হইতে পারি, ইহার বেশী নয়। মনে কর, এক ব্যক্তি আমাকে বলিয়াছে যে, এই বিষ পান করিলে মৃত্যু হইবে এবং আর এক ব্যক্তি রাত্রে আসিয়া বলিল, ‘যাও, বিষ পান কর!’ এবং বিষ খাইয়াও আমার মৃত্যু হইল না (যাহা ঘটিল তাহা এই)—ধ্যানের ফলে বিষ ও আমার নিজের মধ্যে একত্ববোধ হইতে সাময়িকভাবে আমার মন বিচ্ছিন্ন হইয়াছিল। অপর পক্ষে সাধারণভাবে বিষ পান করিতে গেলে মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী ছিল।
যদি আমি কারণ জানি এবং বৈজ্ঞানিক উপায়ে আমাকে ধ্যানের অবস্থায় উন্নীত করি, তবে যে-কোন লোককেই আমি বাঁচাইতে পারি। এই কথা (যোগ)-গ্রন্থে লিপিবদ্ধ আছে, কিন্তু ইহা কতখানি নির্ভুল, তাহার বিচার তোমরাই করিও।
লোকে আমাকে জিজ্ঞাসা করেঃ তোমরা ভারতবাসীরা এ-সব জয় কর না কেন? অন্যান্য জাতি অপেক্ষা তোমরা শ্রেষ্ঠ বলিয়া সর্বদা দাবী কর। তোমরা যোগাভ্যাস কর এবং অন্য কাহারও অপেক্ষা দ্রুত অভ্যাস কর। তোমরা যোগ্যতর। ইহা কার্যে পরিণত কর! তোমরা যদি মহান্‌ জাতি হইয়া থাক, তোমাদের যোগপদ্ধতিও মহান্ হওয়া উচিত। সব দেবতাকে বিদায় দিতে হইবে। বড় বড় দার্শনিকদের চিন্তাধারা গ্রহণ করিবার সঙ্গে সঙ্গে দেবতাদের ঘুমাইতে দাও। তোমরাও বিশ্বের অন্য সকলের মত কুসংস্কারাচ্ছন্ন শিশু মাত্র। তোমাদের সব কিছু দাবী নিষ্ফল। তোমাদের যদি সত্যি দাবী থাকে, সাহসের সহিত দাঁড়াও, এবং স্বর্গ বলিতে যাহা কিছু—সব তোমাদের। কস্তুরীমৃগ তাহার অন্তর্নিহিত সৌরভ লইয়া আছে, এবং সে জানে না—কোথা হইতে সৌরভ আসিতেছে। বহুদিন পর সে সেই সৌরভ নিজের মধ্যেই খুঁজিয়া পায়। এ-সব দেবতা ও অসুর মানুষের মধ্যে আছে। যুক্তি, শিক্ষা ও সংস্কৃতির শক্তিতে জান যে, তোমার মধ্যেই সব আছে। দেবতা ও কুসংস্কারের আর প্রয়োজন নাই। তোমরা যুক্তিবাদী, যোগী, যথার্থ আধ্যাত্মিকতা-সম্পন্ন হইতে চাও।
(আমার উত্তর এইঃ তোমাদের নিকট) সব-কিছুই জড়। সিংহাসনে সমাসীন ঈশ্বর অপেক্ষা বেশী জড় আর কি হইতে পারে? মূর্তিপূজক গরীব বেচারীকে তো তোমরা ঘৃণা করিতেছ। তার চেয়ে তোমরা বড় নও। আর ধনের পূজারী তোমরাই বা কী! মূর্তিপূজক তাহার দৃষ্টির গোচরীভূত কোন বিশেষ কিছুকেই দেবতাজ্ঞানে পূজা করিয়া থাকে, কিন্তু তোমরা তো সেটুকুও কর না। আত্মার অথবা বুদ্ধিগ্রাহ্য কোন কিছুর উপাসনা তোমরা কর না! তোমাদের কেবল বাক্যাড়ম্বর। ‘ঈশ্বর চৈতন্যস্বরূপ!’ ঈশ্বর চৈতন্যস্বরূপই। প্রকৃত ভাব ও বিশ্বাস লইয়া ঈশ্বরের উপাসনা করিতে হইবে। চৈতন্য কোথায় থাকেন? গাছে? মেঘে? ‘আমাদের ঈশ্বর’—এই কথার অর্থ কি? তুমিই তো চৈতন্য। এই মৌলিক বিশ্বাসটিকে কখনই ত্যাগ করিও না। আমি চৈতন্যস্বরূপ। যোগের সমস্ত কৌশল এবং ধ্যানপ্রণালী আত্মার মধ্যে ঈশ্বরকে উপলব্ধি করিবার জন্য।
এখনই কেন এই সমস্ত বলিতেছি? যে পর্যন্ত না তুমি (ঈশ্বরের) স্থান নির্দেশ করিতে পারিবে, এ-বিষয় কিছুই বলিতে পার না। (তাঁহার) প্রকৃত স্থান ব্যতীত স্বর্গে এবং মর্ত্যের সর্বত্র তুমি তাঁহার অবস্থিতি নির্ণয় করিতেছ। আমি চেতন প্রাণী, অতএব সমস্ত চেতনার সারভূত চেতনা আমার আত্মাতে অবশ্যই থাকিবে। যাহারা ভাবে ঐ চেতনা অন্য কোথাও আছে, তাহারা মূর্খ। অতএব আমার চেতনাকে এই স্বর্গেই অন্বেষণ করিতে হইবে। অনাদিকাল হইতে যেখানে যত স্বর্গ আছে, সে-সব আমারই মধ্যে। এমন অনেক যোগী ঋষি আছেন, যাঁহারা এই তত্ত্ব জানিয়া ‘আবৃত্তচক্ষু’ হন এবং নিজেদের আত্মার সমস্ত চেতনার চেতনাকে দর্শন করেন। ইহাই ধ্যানের পরিধি। ঈশ্বর ও তোমার নিজ আত্মা সম্বন্ধে প্রকৃত সত্য আবিষ্কার কর এবং এইরূপে মুক্ত হও।
সকলেই জীবনের পিছু পিছু ছুটিয়া চলিয়াছে, শেষে আমরা দেখি—ইহা মূর্খতামাত্র। জীবন অপেক্ষা আরও মহত্তর কিছু আছে। পাঞ্চভৌতিক (এই জীবন) নিকৃষ্টতর। কেন আমি বাঁচিবার আশায় ছুটিতে যাইব? জীবন অপেক্ষা আমার স্থান যে অনেক উচ্চে। বাঁচিয়া থাকাই সর্বদা দাসত্ব। আমরা সর্বদাই (অজ্ঞানের সহিত নিজেদের) মিশাইয়া ফেলিতেছি …। সবই দাসত্বের অবিচ্ছিন্ন শৃঙ্খল।
তুমি যে কিছু লাভ কর, সে কেবল নিজের দ্বারাই, কেহ অপরকে শিখাইতে পারে না। অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়া (আমরা শিক্ষা করি) … ঐ যে যুবকটি—উহাকে কখনও বিশ্বাস করাইতে পারিবে না যে, জীবনে বিপদ-আপদ আছে। আবার বৃদ্ধকে বুঝাইতে পারিবে না যে, জীবন বিপত্তিহীন, মসৃণ। বৃদ্ধ অনেক দুঃখকষ্টের অভিজ্ঞতা লাভ করিয়াছেন। ইহাই পার্থক্য।
ধ্যানের শক্তিদ্বারা এ-সবই ক্রমে ক্রমে আমাদের বশে আনিতে হইবে। আমরা দার্শনিক দৃষ্টিতে দেখিয়াছি যে, আত্মা মন ভূত (জড় পদার্থ) প্রভৃতি নানা বৈচিত্র্যের (বাস্তব সত্তা কিছু নাই)। … যাহা আছে, তাহা ‘একমেবাদ্বিতীয়ম্’। বহু কিছু থাকিতে পারে না। জ্ঞান এবং বিজ্ঞানের অর্থ ইহাই। অজ্ঞানের জন্যই বহু দেখি। জ্ঞানে একত্বের উপলব্ধি …। বহুকে একে পরিণত করাই বিজ্ঞান …। সমগ্র বিশ্বের একত্ব প্রমাণিত হইয়াছে। এই বিজ্ঞানের নাম বেদান্ত-বিদ্যা। সমগ্র জগৎ এক। আপাত প্রতীয়মান বৈচিত্র্যের মধ্যে সেই ‘এক’ অনুস্যূত হইয়া রহিয়াছে।
আমাদের পক্ষে এখন এই-সকল বৈচিত্র্য রহিয়াছে, আমরা এগুলি দেখিতেছি—অর্থাৎ এগুলি আমরা বলি পঞ্চভূত—ক্ষিতি, অপ্, তেজ, মরুৎ ও ব্যোম্ (পাঁচটি মৌলিক পদার্থ)। ইহার পরে রহিয়াছে মনোময় সত্তা, আর আধ্যাত্মিক সত্তা তাহারও পরে। আত্মা এক, মন অন্য, আকাশ অন্য একটি কিছু ইত্যাদি—এরূপ কিন্তু নয়। এই-সকল বৈচিত্র্যের মধ্যে একই সত্তা প্রতীয়মান হইতেছে; ফিরিয়া গেলে কঠিন অবশ্যই তরলে পরিণত হইবে। যেভাবে মৌলিক পদার্থগুলির ক্রমবিকাশ হইয়াছিল, সেভাবেই আবার তাহাদের ক্রমসঙ্কোচ হইবে। কঠিন পদার্থগুলি তরলাকার ধারণ করিবে, তরল ক্রমে ক্রমে আকাশে পরিণত হইবে। নিখিল জগতের ইহাই কল্পনা—এবং ইহা সর্বজনীন। বাহিরের এই জগৎ এবং সর্বজনীন আত্মা, মন, আকাশ, মরুৎ, তেজ, অপ্ ও ক্ষিতি আছে। মন সম্বন্ধেও একই কথা। ক্ষুদ্র জগতে বা অন্তর্জগতে ‘আমি’ ঠিক ঐ এক। আমিই আত্মা, আমিই মন। আমিই আকাশ, বায়ু, তরল ও কঠিন পদার্থ। আমার লক্ষ্য আমার আত্মিক সত্তায় প্রত্যাবর্তন। একটি ক্ষুদ্র জীবনে ‘মানুষকে’ সমগ্র বিশ্বের জীবন যাপন করিতে হইবে। এরূপে মানুষ এ-জন্মেই মুক্ত হইতে পারে। তাহার নিজের সংক্ষিপ্ত জীবৎকালেই সে বিশ্বজীবন অতিবাহিত করিবার ক্ষমতা লাভ করিবে।
আমরা সকলেই সংগ্রাম করি। … যদি আমরা পরম সত্যে পৌঁছিতে না পারি, তবে অন্ততঃ এমন স্থানেও উপনীত হইব, যেখানে এখানকার অপেক্ষা উন্নততর অবস্থাতেই থাকিব। এই অভ্যাসেরই নাম ধ্যান। (সব কিছুকে সেই চরম সত্য—আত্মাতে পর্যবসিত করা।) কঠিন দ্রবীভূত হইয়া তরলে, তরল বাষ্পে, বাষ্প ব্যোম্ বা আকাশে আর আকাশ মনে রূপান্তরিত হয়। তারপর মনও গলিয়া যাইবে। শুধু থাকিবে আত্মা—সবই আত্মা।
যোগীদের মধ্যে কেহ কেহ দাবী করেন যে, এই শরীর তরল বাষ্প ইত্যাদিতে পরিণত হইবে। তুমি শরীর দ্বারা যাহা খুশী করিতে পারিবে—ইহাকে ছোট করিতে পার, এমন কি বাষ্পেও পরিণত করিতে পার, এই দেওয়ালের মধ্য দিয়া যাতায়াতও সম্ভব হইতে পারে—এই রকম তাঁহারা দাবী করেন। আমার অবশ্য তাহা জানা নাই। আমি কখনও কাহাকেও এরূপ করিতে দেখি নাই। কিন্তু যোগশাস্ত্রে এই-সব কথা আছে। যোগশাস্ত্রগুলিকে অবিশ্বাস করিবার কোন হেতু নাই।
হয়তো আমাদের মধ্যে কেহ কেহ এই জীবনে ইহা সাধন করিতে সমর্থ হইবেন। আমাদের পূর্বকৃত কর্মের ফলে বিদ্যুৎপ্রভার ন্যায় ইহা প্রতিভাত হয়। কে জানে এখানেই হয়তো কোন প্রাচীন যোগী রহিয়াছেন, যাঁহার মধ্যে সাধনা সম্পূর্ণ করিবার সামান্যই একটু বাকী। অভ্যাস!
একটি চিন্তাধারার মাধ্যমে ধ্যানে পৌঁছিতে হয়। ভূতপঞ্চকের শুদ্ধীকরণ-প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়া যাইতে হয়—এক-একটিকে অপরটির মধ্যে দ্রবীভূত করিয়া স্থূল হইতে পরবর্তী সূক্ষ্মে, সূক্ষ্মতরে, তাহাও আবার মনে, মনকে পরিশেষে আত্মায় মিশাইয়া দিতে হয়। তখন তোমরাই আত্মস্বরূপ।*
জীবাত্মা সদামুক্ত, সর্বশক্তিমান্, সর্বজ্ঞ। অবশ্য জীবাত্মা ঈশ্বরাধীন। ঈশ্বর অনেক হইতে পারেন না। এই মুক্তাত্মাগণ বিপুল শক্তির আধার, প্রায় সর্বশক্তিমান্, (কিন্তু) কেহই ঈশ্বরতুল্য শক্তিমান্ হইতে পারেন না। যদি কোন মুক্ত পুরুষ বলেন, ‘আমি এই গ্রহটিকে কক্ষচ্যুত করিয়া ইহাকে এই পথ দিয়া পরিভ্রমণ করিতে বাধ্য করিব’ এবং আর একজন মুক্তাত্মা যদি বলেন, ‘আমি গ্রহটিকে এই পথে নয়, ঐ পথে চালাইব’ (তবে বিশৃঙ্খলারই সৃষ্টি হইবে)।
তোমরা যেন এই ভুল করিও না। আমি যে ইংরেজীতে বলি, ‘আমি ঈশ্বর (God)’, তাহার কারণ ইহা অপেক্ষা আর কোন যোগ্যতর শব্দ নাই। সংস্কৃতে ‘ঈশ্বর’ মানে সচ্চিদানন্দ, জ্ঞান—স্বয়ংপ্রকাশ অনন্ত চৈতন্য। ঈশ্বর অর্থে কোন পরিচ্ছন্ন ব্যক্তিবিশেষ নয়। তিনি নৈর্ব্যক্তিক ভূমা। …
আমি কখনও রাম নই, ঈশ্বরের (ঈশ্বরের সাকার ভাবের) সহিত কখনও এক নই, কিন্তু আমি (ব্রহ্মের সহিত—নৈর্ব্যক্তিক সর্বত্র-বিরাজমান সত্তার সহিত) এক। এখানে একতাল কাদা রহিয়াছে। এই কাদা দিয়া আমি একটি ছোট ইঁদুর তৈরী করিলাম আর তুমি একটি ক্ষুদ্রকায় হাতী প্রস্তুত করিলে। দুই-ই কাদার। দুইটিকেই ভাঙিয়া ফেল। তাহারা মূলতঃ এক—তাই একই মৃত্তিকায় পরিণত হইল। ‘আমি এবং আমার পিতা এক।’ (কিন্তু মাটির ইঁদুর আর মাটির হাতী কখনই এক হইতে পারে না।)
কোন জায়গায় আমাকে থামিতে হয়, আমার জ্ঞান অল্প। তুমি হয়তো আমার চেয়ে কিছু বেশী জ্ঞানী, তুমিও একস্থানে থামিয়া যাও। আবার এক আত্মা আছেন, যিনি সর্বশ্রেষ্ঠ। তিনিই ঈশ্বর, যোগাধীশ (স্রষ্টারূপে সগুণ ঈশ্বর)। তখন তিনি সর্বশক্তিমান্ ‘ব্যক্তি’। সকল জীবের হৃদয়ে তিনি বাস করেন। তাঁহার শরীর নাই—শরীরের প্রয়োজন হয় না। ধ্যানের অভ্যাস প্রভৃতি দ্বারা যাহা কিছু আয়ত্ত করিতে পার, যোগীন্দ্র ঈশ্বরের ধ্যান করিয়াও তাহা লভ্য। একই বস্তু আবার কোন মহাপুরুষকে, অথবা জীবনের ঐকতানকে ধ্যান করিয়াও লাভ করা যায়। এগুলিকে বিষয়গত ধ্যান বলে। সুতরাং এইভাবে কয়েকটি বাহ্য বা বিষয়গত বস্তু লইয়া ধ্যান আরম্ভ করিতে হয়। বস্তুগুলি বাহিরেও হইতে পারে, ভিতরেও হইতে পারে। যদি তুমি একটি দীর্ঘ বাক্য গ্রহণ কর, তবে তাহা মোটেই ধ্যান করিতে পারিবে না। ধ্যান মানে পুনঃপুনঃ চিন্তা করিয়া মনকে ধ্যেয় বস্তুতে নিবিষ্ট করার চেষ্টা। মন সকল চিন্তাতরঙ্গ থামাইয়া দেয় এবং জগৎও থাকে না। জ্ঞানের পরিধি বিস্তৃত হয়। প্রতিবারেই ধ্যানের দ্বারা তোমার শক্তি বৃদ্ধি হইবে। … আরও একটু বেশী কঠোর পরিশ্রম কর—ধ্যান গভীরতর হইবে। তখন তোমার শরীরের বা অন্য কিছুর বোধ থাকিবে না। এইভাবে একঘণ্টা ধ্যানমগ্ন থাকার পর বাহ্য অবস্থায় ফিরিয়া আসিলে তোমার মনে হইবে যে, ঐ সময়টুকুতে তুমি জীবনে সর্বাপেক্ষা সুন্দর শান্তি উপভোগ করিয়াছ। ধ্যানই তোমার শরীরযন্ত্রটিকে বিশ্রাম দিবার একমাত্র উপায়। গভীরতম নিদ্রাতেও ঐরূপ বিশ্রাম পাইতে পার না। গভীরতম নিদ্রাতেও মন লাফাইতে থাকে। কিন্তু (ধ্যানের) ঐ কয়েকটি মিনিটে তোমার মস্তিষ্কের ক্রিয়া প্রায় স্তব্ধ হইয়া যায়। শুধু একটু প্রাণশক্তি মাত্র থাকে। শরীরের জ্ঞান থাকে না। তোমাকে কাটিয়া টুকরা টুকরা করিয়া ফেলিলেও তুমি টের পাইবে না। ধ্যানে এতই আনন্দ পাইবে যে, তুমি অত্যন্ত হালকা বোধ করিবে। ধ্যানে আমরা এইরূপ পূর্ণ বিশ্রাম লাভ করিয়া থাকি।
তারপর বিভিন্ন বস্তুর উপরে ধ্যান। মেরুমজ্জার বিভিন্ন কেন্দ্রে ধ্যানের প্রণালী আছে। (যোগিগণের মতে মেরুদণ্ডের মধ্যে ইড়া ও পিঙ্গলা নামক দুইটি স্নায়বীয় শক্তিপ্রবাহ বর্তমান। অন্তর্মুখী ও বহির্মুখী শক্তিপ্রবাহ এই দুই প্রধান পথে গমনাগমন করে।) শূন্যনালী (যাহাকে বলে সুষুম্না) মেরুদণ্ডের মধ্য দিয়া চলিয়া গিয়াছে। যোগীরা বলেন, এই সুষুম্না-পথ সাধারণতঃ রুদ্ধ থাকে, কিন্তু ধ্যানাভ্যাসের ফলে ইহা উন্মুক্ত হয়, (স্নায়বীয়) প্রাণশক্তিপ্রবাহকে (মেরুদণ্ডের নীচে) চালাইয়া দিতে পারিলেই কুণ্ডলিনী জাগরিত হয়। জগৎ তখন ভিন্নরূপ ধারণ করে। … (এইরূপে ঐশ্বরিক জ্ঞান, অতীন্দ্রিয় অনুভূতি ও আত্মজ্ঞান লাভ করিবার একমাত্র উপায় হইতেছে কুণ্ডলিনীর জাগরণ।). সহস্র সহস্র দেবতা তোমার চারিদিকে দাঁড়াইয়া রহিয়াছেন। তুমি তাঁহাদিগকে দেখিতে পাইতেছ না, কারণ তোমার জগৎ ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য। আমরা কেবল এই বাহিরটাই দেখিতে পারি; ইহাকে বলা যাক ‘ক’। আমাদের মানসিক অবস্থা অনুযায়ী আমরা সেই ‘ক’-কে দেখি বা উপলব্ধি করি। বাহিরে অবস্থিত ঐ গাছটিকে ধরা যাক। একটি চোর আসিল, সে ঐ মুড়া গাছটিকে কি ভাবিবে? সে দেখিবে—একজন পাহারাওয়ালা দাঁড়াইয়া আছে। শিশু উহাকে মনে করিল—একটা প্রকাণ্ড ভূত। একটি যুবক তাহার প্রেমিকার জন্য অপেক্ষা করিতেছিল; সে কি দেখিল? নিশ্চয়ই তাহার প্রিয়তমাকে। কিন্তু এই স্থাণু বা মুড়া গাছটির তো কোন পরিবর্তন হয় নাই। ইহা যেরূপ ছিল, সেইরূপই রহিল। স্বয়ং ঈশ্বরই কেবল আছেন, আমরাই আমাদের নির্বুদ্ধিতার জন্য তাঁহাকে মানুষ, ধূলি, বোবা, দুঃখী ইত্যাদি-রূপে দেখিয়া থাকি।
যাহারা একইভাবে গঠিত, তাহারা স্বভাবতঃ একই শ্রেণীভুক্ত হয় এবং একই জগতে বাস করে। অন্যভাবে বলিলে বলা যায়—তোমরা একই স্থানে বাস কর। সমস্ত স্বর্গ এবং সমস্ত নরক এখানেই। উদাহরণস্বরূপ বলা যাইতে পারে—কতকগুলি বড় বৃত্তের আকারে সমতল ক্ষেত্রসমূহ যেন পরস্পর কয়েকটি বিন্দুতে ছেদ করিয়াছে … । এই সমতল ভূমির একটি বৃত্তে অবস্থিত আমরা আর একটি সমতলের (বৃত্তকে) কোন একটি বিন্দুতে স্পর্শ করিতে পারি। মন যদি কেন্দ্রে পৌঁছে, তবে সমস্ত স্তরেরই তোমার জ্ঞান হইতে থাকিবে। ধ্যানের সময় কখনও কখনও তুমি যদি অন্য ভূমি স্পর্শ কর, তখন অন্য জগতের প্রাণী, অশরীরী আত্মা এবং আরও কত কিছুর সংস্পর্শে আসিতে পার।
ধ্যানের শক্তি দ্বারাই এই-সব লোকে যাইতে পার। এই শক্তি আমাদের ইন্দ্রিয়গুলিকে পরিবর্তিত এবং পরিমার্জিত করে। যদি তুমি পাঁচদিন ঠিক ঠিক ধ্যান অভ্যাস কর, এই (জ্ঞান) কেন্দ্রগুলির ভিতর হইতে একপ্রকার ‘সংবেদনা’ অনুভব করিবে—তোমার শ্রবণশক্তি সূক্ষ্মতর হইতেছে। … (জ্ঞানেন্দ্রিয়গুলি যতই মার্জিত হইবে, অনুভূতিও ততই সূক্ষ্ম হইবে। তখন অধ্যাত্মজগৎ খুলিয়া যাইবে।) এইজন্য ভারতীয় দেবতাগণের তিনটি চক্ষু কল্পনা করা হইয়াছে। তৃতীয় বা জ্ঞানচক্ষু উন্মীলিত হইলে বিবিধ আধ্যাত্মিক দর্শন উপস্থিত হয়।
কুণ্ডলিনী শক্তি মেরুমজ্জার মধ্যস্থিত এক কেন্দ্র হইতে কেন্দ্রান্তরে যতই উঠিতে থাকে, ততই ইন্দ্রিয়গুলির পরিবর্তন সাধিত হয় এবং জগৎ ভিন্নরূপে প্রতীত হইতে আরম্ভ করে। পৃথিবী তখন স্বর্গে পরিণত হয়। তোমার কথা বন্ধ হইয়া যায়। তারপর কুণ্ডলিনী অধস্তন কেন্দ্রগুলিতে নামিলে তুমি আবার মানবীয় ভূমিতে আসিয়া পড়। সমস্ত কেন্দ্র অতিক্রম করিয়া কুণ্ডলিনী যখন মস্তিষ্কে সহস্রারে পৌঁছিবে, তখন সমগ্র দৃশ্য জগৎ (তোমার অনুভূতিতে) বিলীন হয় এবং এক সত্তা ব্যতীত কিছুই অনুভব কর না। তখন তুমিই পরমাত্মা; সমুদয় স্বর্গ তাঁহা হইতেই সৃষ্টি করিতেছ; সমস্ত জগৎও তাঁহা হইতেই রচনা করিতেছ। তিনিই একমাত্র সত্তা; তিনি ছাড়া আর কিছুই নাই।  তান্তিক গুরু জি ..01757786808/ 

মেয়ে এবং ছেলে করা নাগরানীর কৈপুরা মন্ত্র

মেয়ে এবং ছেলে করা নাগরানীর কৈপুরা মন্ত্র।

এই মন্ত্র প্রয়োগ করে এখনও পর্যন্ত কেউ বিফলে যায় নি। আশা করি আপনি ও এই মন্ত্র দ্বারা উপকৃত হবেন।
সঠিক ভাবে মন্ত্র প্রয়োগ করতে পারলে ১০০% গ্যারান্টি ফল সু-নিশ্চিত। যে ব্যক্তির উপর এই মন্ত্র প্রয়োগ করা হবে সে আপনাকে কাছে পাওয়ার জন্য ব্যকুল হয়ে পড়বে।
মন্ত্রঃ বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
কাল আযম বিহাক্কি ইনসান-
জালালি করে মেহমান;
আকাশ পাতালে আলিফ শব্দ-
দিলাম আমি ছড়ে"
শব্দ যাইয়া অমুকরে-
শ্রিঘ্র যাইয়া ধরে।
ডানে ধরবে মীম"
বামে ধরবে শিন-
আল্লার কালামে আমুকের"
কলিজায় পড়বে জমিন।
ছার ছার ছার-
তোর বাপ মারে ছার।
ছার ছার ছার-
তোর অত্নার বন্ধন ছার।
আমারে ছাড়িয়া যদি-
পূর্বে বাড়াস পা-
দোহাই লাগে আলী'
নবীর মস্তক খা।
নিয়মঃ মন্ত্র ৭৮৬ বার পাঠ করে সিদ্ধি করতে হবে। প্রয়োগ ১০১ বার।
নোটঃ ছোটো খাটো বিষয়ে মন্ত্র প্রয়োগ নিষেধ

পরী সাধনা


মুসলিম পরী সাধনা . 
সমাজে খোব জনো প্রিয় হয়ে উঠেছে পরী সাধনা . যা হাজার বছর আগের চিরন্ত সত্য
পরী সাধনা সময় অন্তত কম লাগে নিয়ম নিষেদ নেই বল্লেই চলে .তবে গোপনিয় তা রক্ষা
করতে না পারলে কোন শল্তিই কাজে আসবে না. সবার জীবনে রয়েছে কিছু সপ্ন কিছু আশা
আমরা কেউই সেই সকল ইচ্ছা পরুন করতে পারি না. তার কনো এক মার্ত উপায় হলো পরী সাধনা
যা করতে পারলে সাধকের সকল ইচ্ছা পুরন হনে ইনশা আল্লাহ.
। পরী সাধনা
পরী সাধনা মন্ত এই সাধানার দ্বার সাধন একটি
অপরূপা মায়াবিনী,মিষ্টি ভাষি,এলো চুল পড়া
পরিকে বশিভূত করে স্ত্রী রূপে রাখতে
পারবেন। এবং
তার দ্বারা অনেক কাজ করাতে পারবেন। মন্ত্র যে
ভাবে আছে ঠিক সে ভাবেই উচ্চারণ করতে হবে
অন্যথা মন্ত্রে কাজ হবেনা। (পরিক্ষিত)
মন্ত্রঃ
মেঘ জটা আধা হরি- পূষ্পা কিংবা অপসরা ধরি,
হামারা শব্দ তিস্তা গড়; জল পরি ফুল পরি শিঘ্র ধর!
ত্রিজটা ফুল পরি- সঙ্গ দে হামারি;যা দেহি তুই
আসবি-মামুলি হয়ে বসবি"মেরা ভক্তি গুরুকা শক্তি-
ভজস্য কর হামারা মুক্তি; শ্রীদাম আগ্গা গুরুর পার-
কালী অর চান্ডালী-জ সিদ্দিকি করে যা-নতো বা
শিবজীকা মাথা খা।দোহাই মহাম্মাদ দোহাই
সোলেমান।
নিয়মঃ এই সাধনা খোব সহজ যা আপনারা
এই সাধনা করে সকলে সফল হতে পারবেন
তাতে কোন সনদেহ নেই কারন এটা বহু।
পরীখিতো
সাধনা। এসাধনা করার ৫/৭দিনের মধে পরী এসে
সাধকে দেখা দিবে
ও সাধকের বস হবে। তা ১০০%গেরান্টি
এই সাধনা কোন দিন বিফল হয় নাই হবেও না। এই
সাধনা সঠিক নিয়ম ও গুরুর অনমতি নিতে। হাদিয়া
দিতে হবে
আপনারা যদি এই সাধনা করতে চান আমার
সাথে যোগা যোগ করবেন। ইনবক্স বা সুদু ইমু
নাম্বার
01757786808 সরা সরি চেম্বার খুলনা খারিস পুর।।
gmail.montrogurubd12@gmail.com

খুলে ‌ফেলুন ‌তৃতীয় ‌নেত্র ‌বা ‌থার্ড ‌আই ..

                           খুলে ফেলুন তৃতীয় নেত্র বা থার্ড আই ‌‌.আর হয়ে যান অলৌকিক খমতার
 অধিকারি‌‌‌  তৃতীয় চোখ
প্রত্যেকেরই দুটো চোখ রয়েছে। কিন্তু এই দুটো চোখ বাদেও আমাদের আরও একটি অদৃশ্য চোখ রয়েছে। যাকে বলা হয় তৃতীয় নেত্র বা থার্ড আই। এর শক্তি অনেক। এই থার্ড আই বডির ছয় চক্রের একটি। এটি দুই ভ্রূর মাঝ বরাবর থাকে। এই চোখ বাইরে থেকে দেখা যায় না। এটি থাকে ভেতরের দিকে।
যদি তৃতীয় চোখের এই স্থানকে জাগ্রত করতে পারেন তবেই হয়ে উঠতে পারবেন সাধারণের থেকে অসাধারণ। ভবিষ্যত দেখতে পারবেন ও অন্যের মনের কথা জানতে পারবেন। তখন যে কাউকেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। প্রশ্ন হল, কি করে থার্ড আই খুলবেন? সাধারণত এই চোখ খোলার জন্য দীর্ঘ মেডিটেশনের প্রয়োজন।
ইন্সটিউট অফ হার্ড ম্যাথের একদল গবেষক বলেন, হিউম্যান হার্ট শরীরের সব থেকে শক্তিশালী অর্গ্যান। এর আগে সবাই জানত, সব থেকে শক্তিশালী অঙ্গ হল মানুষের মন। রিসার্স করার পর বিজ্ঞানিরাও অবাক হয়ে গেছে, এই মনের শক্তি ক্ষমতা দেখে। ইলেক্ট্রিক্যাললি মন ব্রেনের থেকেও ১০০ হাজার গুণ বেশি শক্তিশালী। আর ম্যাগনেটিকের দিক থেকে মন ব্রেনের থেকে ৫ হাজার গুণ বেশি শক্তিশালী। যদি ব্রেনের শক্তি আর হার্টের শক্তিকে এক করে দেয়া যায় তবে এই দুই শক্তিশালী অঙ্গের সব শক্তি মিলে তৃতীয় চোখও খুলে যাবে। এর জন্য আলাদা কিছুই করতে হবে না। আগেও যেমন মেডিটেশন করতেন তেমনি বসে যাবেন। শুধু খেয়াল রাখবেন যাতে পিঠের মেরুদন্ড সোজা থাকে। এরপর সম্পূর্ণ ফোকাসকে হার্টের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। আর অনুভব করতে হবে যেন হার্ট থেকে শক্তি বের হয়। এসব শক্তি উপরের দিকে উঠে যাচ্ছে তৃতীয় চোখের জায়গায়। এটা যখন করবেন তখন মন থেকে সব ধরনের চিন্তাশক্তি চলে যাবে। তখন মন একদম ফাঁকা হয়ে যাবে। কারণ সম্পূর্ণ ফোকাস থাকবে হার্টের মধ্যে।
কি মনে হচ্ছে মেডিটেশনের সেই মুহূর্তে তা অনুভব করতে হবে। বেশি নয় প্রত্যেক দিন ১০ মিনিট এই মেডিটেশন করতে হবে। এর কিছুদিন পরই দেখতে পাবেন মিরাকেল। মেডিটেশন করার যেসব লাভ তা তো পাবেনই। তার সঙ্গে আপনার থার্ড আইও জাগ্রত হবে। মনে প্রশ্ন আসতে পারে, এই মেডিটেশন কতদিন করতে হবে। আসলে ব্যাপার হল, কত দিনে সফল হবেন সেটা নির্ভর করবে আপনার উপরে। থার্ড আই খোলার জন্য মনোভাব কতটা গভীর এর উপর নির্ভর করে। ইচ্ছাশক্তি যত গভীর হবে তত তাড়াতাড়ি এই চোখ খুলে যাবে।  ..তৃতীয় চোখ তো দূরের কথা ইচ্ছা শক্তি প্রখর থাকলে যে কোন জিনিসই পেয়ে যাবেন। থার্ড আই, সিক্সথ সেন্স কিছুকেই উন্মুক্ত করে ফেলতে পারবেন। কতটা গভীর থেকে এই চোখ খুলতে চান? কতটা মনযোগ সহকারে ভিজুয়্যালাইজ করবেন তার ওপর এই নির্ভর করে থার্ড আই কত সময়ের মধ্যে জাগ্রত হবে। মেরিটেশন করার সময় সমস্ত ইমোশন দিয়ে মনের মধ্যে বলবেন, থার্ড আইকে খুলতে চাই। এক পজেটিভ বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে, পারবেন এ চোখ জাগ্রত করতে। একবার এ চোখ জাগ্রত হলেই হয়ে উঠবেন অসাধারণ।
প্রকৃতির সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক নিবিড়, এটা আত্মাও জানে। মোবাইল ও কম্পিউটারের ফলে আমরা ক্রমাগত প্রকৃতি থেকে দূরে চলে যাচ্ছি। প্রকৃতির সঙ্গে যত তাড়াতাড়ি সংযোগ স্থাপন করতে পারবেন তত তাড়াতাড়ি এ চোখ খুলে যাবে। কিছু সময় একা একা প্রকৃতির সঙ্গে কাটাতে হবে। নিজেকে জানার চেষ্টা করতে হবে। আপনি কি? আপনি কে যাকে আপনি চেনেন? আপনার বাস্তবিক রূপ কি বোঝার চেষ্টা করুন? এ চোখ জাগ্রত করার জন্য প্রয়োজন প্রচুর ইচ্ছা শক্তি আর নিজেকে জানা। যত তাড়াতাড়ি প্রকৃতির সঙ্গে মিশতে পারবেন আর নিজের ইচ্ছাশক্তি বাড়াতে পারবেন তত তাড়াতাড়ি এই চোখ জাগ্রত হবে।

নীল পরী সাধনা

   নীল পরী সাধনা..
এই মন্ত্র ধারা সাধক একটি নীল পরী কে বশীভুত করে সারা জীবন কাছে রাখতে পারবে
.নীল পরী সাধনা করা জাবে সঠিক নিয়মে প্রয়গ করতে পারলে 100% সফল হবে তাতে কোন সন্দেহ নাই _______
নীল পরী ‌সাধনা র মন্ত্রঃ
ফুল বান্ধু ফল বান্ধু বান্ধু লাতা পাতা।
ঝাও বনে বাস করে নিল পরি কথা।
সর্গের ফুল জানি নিল পরি বাসা।
আকাশেতে রাম ধনুর সাত রাংগা।
নিল পরি হোক হাজির শিবের কথা।
কালির কিরা লাগে তবে শশ্মান ঘাট।
নিল পরি সির্গই হাজির হয়ে জাক-
কার আজ্ঞে - কামাক্ষার
কার আজ্ঞে- হড়ির ঝিঁ চামুণ্ডর
বিধিঃ- এই মন্ত নিল পরী সাধনা করা জাই এটা হিন্দু ধর্মের সাধনা প্রচিন কালে জখন রাজা বিক্রমা দিত্য বেতাল সাধনা করেন তখন বেতাল তাকে এই সাধনা দিয়ে ছিল। এবং সর্গের পরি দের কাহিনী সে সুনিয়ে ছিল।
নিয়মঃ- এই প্রথমে ১২০০(বারশ বার) পাঠ করে সিদ্ধি করে নিতে হবে এই সাধনা আমাবশ্যা রাতে ই সিদ্ধি করতে হবে। পরে আমাবশ্যাই তিন দীন এই সাধনা করতে হবে বাড়িতে আগর বাতি জালিয়ে ধুপ দীপ, নৈবদ, সহ এই মন্ত ১০৮ বার পাঠ করতে হবে। এবং রুদ্রাক্ষ মালা জপ করতে হবে তিন দিনের দিন এই প্রকার করলেই পরি হাজির হবে।
নোটঃ - এই মন্ত আমার অনুমতি নিতে হবে নতুবা বিপদ হতে পারেই বা গুরু অনুমতি প্রাপ্ত করতে পরবে। এই মন্ত্র পরিক্ষীত আমি করে এই সাধনা সফল হয়েছি এমন কি বিক্রমা দীত্যর কাহিনি তে আছে ( নীল পরী সাধনা ,). 01757786808. মম্তু গুরু

                                                   ‌ ‌  ‌‌‌‌‌নীল পরী সাধনা

বশীকরন ধুলি পরা মন্তু

নারী বশীকরন।  .২৪ঘন্টায় ফলা ফল
১০০%গ্যারান্টিতে তদবির করা হয়।
। নারী ভুলানী সাবার মন্ত
ধুল ধুল ধুলিয়া
এই ধুল পরি দিনু পমিক লাগিয়া
হাত জলুক পা জলুক
জলুক মাথার বিষ
মোক না দেখিলেতোর
কলিজা পুড়ি হইবে শেষ।।
বিধিঃ উপরক্ত মন্ত্রটি একটি সাবর মন্ত্র, উক্ত মন্ত্র
অবশ্যই তান্ত্রিক আচারে কোন পূনির্মা যুক্ত
পূষ্যনক্ষত্রে মুখস্ত করতে হবে। শাবর
মন্ত্রের একটি
বিশেষ বৈশিষ্ঠ রয়েছে, যা তাকে যুগ যুগ ধরে
মানব
সমাজে টিকিয়ে রেখেছে সেটি হচ্ছে এর
একছত্র
প্রঞ্জল্যতা শাবর মন্ত্র স্বয়ং সিদ্ধ। এবার যাকে বশ
করতে চান, সে যখন খালি পায়ে কোথাও হেটে
যায়
তখন তার পা লক্ষ করুন, এবং তার ডান পায়ের নিচের
মাটি তুলে নিয়ে আসুন এবং উপরক্ত মন্ত্রটি ১১ বার
উচ্চারন করে মন্ত্রপূত করুন, এবং সুযোগ বুঝে
তার
মাথায় ছিটিয়ে দিন, দেখুন কয়েকদিনের মধ্যে
সেই
মেয়ে একান্তই আপনার হয়ে যাবে।।
বিঃ দ্রঃ মন্ত্রের যেখানে পমিক লেখা আছে
সেখানে আপনার কাঙ্খীত মেয়ের নাম উচ্চারন
করুন।।
তান্তিক গুরু আজিজ রহমান।
তন্ত মন্ত কালো যাদু টোটকা তাবিজ ও
জ্বিন চালানের মাধমে তদবির করা হয়
আপনারা যে কোন দেশ বা জেলা থেকে
অনলাইনের
মাধমে তদবির করতে পারেন
আরো জানতে নিচের নাম্বারে যোগা যোগ
করুন
সরা সরি চেম্বার। খুলনা খারিস পুর বাজার রোড
২৫/৩..imo/01757786808

অদৃশ্য বাবে হাতে কিছু আনার মন্তু

.অদিশ্যভাবে নিজ হাতে কিছু আনার
মন্ত্র
মন্ত্রঃ
ত্রিভুবন নিলাম হাতে। আঠার হাজার মাখলুক নিলাম আমার
সাথে। মনে যাহা চাইগো আলী। হাতের উপর
আনিয়া দাও জয়মা কালী। নজর বান্ধিয়া নিলুম হস্তের
উপর। চাই আমি (অমুক)বস্তু শীঘ্রঈ এসে পড়।
হামারা মন্ত্র আজ্ঞা দোহায়।আজ্ঞা দোহায়
আল্লাহ। দোহায় পাগলা। দোহায় কালী।দোহায়
কালী।দোহায় আলী।
এই মন্ত্র দারা হাজার মাইল দুর থেকে আপনার হাতে
অদিশ্যভাবে যে কোন জিনিস আনতে পারবে। এই
মন্ত খোব পাউয়ারফুল মন্ত যা করার সংগে সংগে
কাজ করে
বহুপরীক্ষীত মন্ত। আপনারা যারা এই মন্ত কাজে
খাটাতে চান। তার সঠিক নিয়ন যানতে জানতে ইনবক্স
সে যোগা যোগ করুন। এই কালো যাদু বিদ্যা
শিখতে। চন্ডিবরন করে হাদিয়া দিতে হবে।
অনোথায় মন্ত কাজে আসবে না
। তান্তিক গুরু আজিজ রহমান
তন্ত মন্ত কালো যাদু টোটকা ও জ্বিন চালানের
মাধমে তদবির করা হয়
আপনারা যে কোন দেশ বা জেলা থেকে
অনলাইনের মাধমে তদবির করতে পারেন বা যে
কোন বিদ্যা প্রশিক্ষন পেতে পারেন।
আরো জানতে। কল করুন
imo/01757786808

ভয়ংকর বান মারন..মন্তু..

ভয়ংকর বান বিদ্যা
ওঁ কালী কংকালী মহাকালী কে পুত্র,
কংকার ভ্যায়রুঁ হুকম হাজির রহে,
মেরা ভেজা কাল কার‌্যায়,
মেরা ভেজা রাকছা করে,
আন বাঁধু, বান বাঁধু, দশো সুর বাঁধু,
নও নাড়ী বহত্তর কোঠা বাঁধু,
ফুল মে ভেঁজু, ফল মে জাই,
কোঠ জী পড়ে থরহর
কঁপে লহন হলে, মেরা ভেজা,
সওয়া ঘড়ী সওয়া পহর কুঁ,
বাউলা ন করে তো মাতা কালী কী
শয্যা পর পগ ধরে,
পে বাচা চুকে তো উবা সুকে বাচা,
ছোড়ি কুবাচা করে তো ধোবী নাদ,
চামার কে কুন্ডু মে পড়ে মেরা ভেজা,
বাউলা না করে তো মহাদেব কী জটা,
টুট ভুগ মে পড়ে,
মাতা পারওয়তী কে চীর প্যায় ছোট করে,
বিনা হুকুম নহী মারনা হো,
কালী কে পুত্র কংকাল ভ্যায়রু
ফুরো মন্ত্র ঈশ্বরী বাচা।।
বিধিঃ তান্ত্রিক উপাচারে দীপান্বিতা বা গ্রহনের দিন উক্ত মন্ত্র 10,000 (দশ হাজার) বার জপ করলে মন্ত্র সিদ্ধি হবে।
এরপর লবঙ্গ, বাতাসা, পান-সুপারী, কলাওয়া, লোবান, ধুপ, কর্পুর, একটি সরায় রেখে তাতে ৭টি সিন্দুরের ফোটা দিয়ে,
একটি ত্রিশুলের মত করে উপরোক্ত মন্ত্রে অভিমন্ত্রিত করে 22 বার মন্ত্র পড়তে পড়তে আগুনে
হোম করতে হবে, এই প্রয়োগের দ্বারা, সাধ্য ব্যক্তির শিঘ্রই মৃত্যু হয়।
মারন ৪র্থ প্রকার
“ওঁ নমো নরসিংহায় কপিস জটায়,
অমোঘ-বীচা সতত বৃত্তান্ত,
মহোগ্রহুরুপায়।
ওঁ হ্লীং হ্লীং ক্ষাং ক্ষীং ক্ষীং ফট স্বাহা।”
বিধিঃ তান্ত্রিক আচাড়ে উক্ত মন্ত্র 10,000 (দশ হাজার) বার জপ করলে মন্ত্র সিদ্ধ হবে।
এরপর, উক্ত মন্ত্র 1000 (এক হাজার) রক্তবর্ন পুস্প (জবা)নিয়ে
ঘৃতের সঙ্গে কোবিদার মিশিয়ে হোম করলে শত্রুর মৃত্যু হয়। ..তান্তিক গুরু আজিজ রহমান.‌....তান্তিক গুরু আজিজ রহমান। তন্ত মন্ত কালো যাদু তাবিজ টোটকাও জ্বিন চালানের মাধমে কাজ করা হয়।
আপনারা যে কোন দেশ বা জেলা থেকে অনলাইনের মাধমে
তদবির ও সমাধান পেতে পারবেন
আজি যোগা যোগ করুন তান্তিক গুরু আজিজ রহমন।
ঠিকানা। খুলনা খারিস পুর বাজার রোড. ২৫/৩..
শুধু ইমু নাম্বার 01757786808
montrogurbd@12gmail.com/

স্তী ‌বশীকরন. ‌মন্তু

.আমরা সাধারনত স্ত্রী বলতে নিজ স্ত্রীকেই বুঝিয়ে থাকি কিন্তু এখানে স্ত্রী বলতে নারী জাতীকেই বোঝানো হয়েছে, আপনি স্ত্রী জাতীর যে কাউকেই এই তদবীর দ্বারা নিজ আয়ত্বে নিয়ে আসতে পারবেন যদি শুধু আপনার স্বার্নিধ্যে একজন সদগুরু থাকে, যেহেতু এ সকল তন্ত্র/যন্ত্র সকলি গুরুমুখি তাই গুরু বিহীন তা সফলতার স্বপ্নদেখা মুর্খ্যতার সামিল। আমাদের উদ্দেশ্য আপনাদের জানানো সেই সাথে আমাদের আদি পুরুষদের ঐতিহ্য বহন করে চলা যাতে সময়ের অতল গহিনে তা হারিয়ে না যায়, আমরা চাইবো আপনারা ছোট্ট এই জীবনে সকলেই সুখে শান্তিতে জীবন যাপন করুন, কিন্তু কখনো যদি আপনাদের তান্ত্রিক সাহায্যের প্রয়োজন পরেই যায় তবে বর্তমান সময় উপযোগি তান্ত্রিক ক্রিয়াগুলো করবেন, যা অতিব সহজ পান্থায় সৃষ্ট সেই সাথে খুব সহজেই আমাদের মনের আকাঙ্খা পূর্ণ করতে সক্ষম। নিচে বহুল ব্যবহৃত এক সময়ের স্রেষ্ট একটি তন্ত্র ক্রিয়া উপস্থাপন করা হলোঃ
সামগ্রী- বশীকরন গুটিকা, কুমকম, ঘিয়ের প্রদীপ, ধূপকাঠি, জলপাত্র, কেশর।
মালা- মুঁগের মালা
সময়-রাতের যে কোন সময়
দিন- শুক্রবার
আসন- সাদা সুতির আসন
দিক- উত্তর দিক
জড় সংখ্যা- ১০০০০
অবধি- দশ দিন
মন্ত্র-“ওঁ নমো উর্বশী তোহে মন্ত্র পঢ়ী সুনাউ, তোহী কলেজা লাবে তোহী জীবতা চাহে জো বশ্য ন হোয় তো হনুমন্ত কী আন অমুক বশ্য করে, দৌড় কর হিয়ে লগে। মেরা কহা করে, শব্দ সাচা পিন্ড কাচা, ফুরো মন্ত্র ঈশ্বরো বাচা।।”
প্রয়োগ- যে কোন শুক্রবার রাতে উত্তর দিকে মুখ করে সাদা আসনে বসতে হবে ও সামনে কোন পাত্রে বশীকরন গুটিকা রাখতে হবে। সবচেয়ে প্রথমে এক জলে ধুয়ে মুছে তার উপর কুমকুম বা কেশরের তিলক লাগাতে হবে। এবার সামনে ধূপকাঠি ও প্রদীপ জ্বালিয়ে উক্ত মন্ত্র জপ শুরু করতে হবে ও মন্ত্রে যেখানে ‘অমুক’ শব্দ লেখা আছে সে জায়গায় যাকে বশ করা দরকার তার নাম উচ্চারণ করতে হবে। দশ দিনে দশ হাজার দফা মন্ত্র জপ সর্ম্পন করা দরকার। মন্ত্র জপ করা হবার পর বশীকরন গুটিকা পকেটে রেখে যে স্ত্রীর কাছে যাবে সে নিশ্চিত রুপে বশীভুত হবে। যদি সে দুরে থাকে তবে তার ফটোর সাথে বশীকরন গুটিকা বেঁধে সিন্দুকে রাখতে হবে। এতে তার মন সাধকের সাথে দেখা করার জন্য উতলা হবে ও যতক্ষন না দেখা হচ্ছে শান্তি পাবে না। মনে রাখবেন এই মন্ত্রের দুরুপোযোগে সাধকের ভয়ংকর ক্ষতি হতে পারে। তাই অত্যাবশ্যক পরিস্থিতিতেই এই মন্ত্র প্রয়োগ করা দরকার। ..‌তান্তিক ‌গুরু ‌আজিজ‌ ‌রহমান ‌‌আপনা রা ‌যে ‌কোন ‌দেশ বা ‌জেলা ‌থেকে অনলানের মাধমে তদবির করতে পারেন ..ইমু 01757786808

অমর হবার আধ্যাত্নিক ‌সাধনা ‌বা উপায়

         
নশ্বর এই পৃথিবীতে মানুষের চিরকালের আকাঙ্ক্ষা ছিল অমর হওয়ার। এই অমরত্ব লাভের উপায় খুঁজতে অনেকেই নিজের জীবন অতিবাহিত করেছেন। প্রাচীন যুগের যোগীদের থেকে শুরু করে আধুনিক যুগের গবেষকরা পর্যন্ত সমুদ্র, পাহাড়-পর্বত পাড়ি দিয়েছেন অমরত্ব লাভের খোঁজে। সন্ধান করেছেন অমৃত সুধা। যা পারে নিজের অস্তিত্বকে পুরো মহাজগতের সঙ্গে এক করে ফেলতে। নিয়ে যেতে পারে জাগতিক দর্শনের ঊর্ধ্বে। মানুষকে করতে পারে সর্বশক্তিধর, নিরোগ, সুস্বাস্থ্যের অধিকারী এবং ধনরত্নপ্রদায়ক।
সোমলতা বা সোমরস তেমনি এক উপাদান। হাজার হাজার বছর ধরে চলছে অনুসন্ধান। গবেষণা চলছে এখনো। কারণ ধারণা করা হয় এই সোমলতা থেকেনির্গতসোমমানুষকেএনেদিতে পারে অমরত্ব!
সোমরস বৈদিক চিন্তার একধরনের মহাজাগতিক শক্তি। একধরনের আধ্যাত্মিক নীতি। উদ্ভিদ জগতের প্রতিরূপ হলো এই সোমরস।
মূলত সোম হলো গুল্ম বা লতা। এই লতার রস ছিল আর্য এবং প্রাগবৈদিক যুগের ঋষিদের অতি প্রিয় পানীয়। সোমরস বিন্দু বিন্দু করে ক্ষরিত হতো বলে এর নাম দেয়া হয়েছিল ইন্দু। এই রস হতে একধরনের উত্তেজক তরল প্রস্তুত হতো। প্রাচীন মুনী-ঋষিদের বিশ্বাস ছিল সোমরস পান শুধু তাদের শক্তি এবং সাহস দিবে তাই নয়; বরং এটি পান করলে ধনার্জনে পারঙ্গমতা লাভ করবে এবং বেড়ে যাবে সন্তান উৎপাদনের ক্ষমতা। সোমরস ছিল যজ্ঞের প্রধান আহুতি।
ঋগ্বেদে সমস্ত নবম মণ্ডল সোমের স্তবে পরিপূর্ণ। সোম বন্দনার সুক্ত সংখ্যা ১২০। এর বাইরে অন্য ছয়টি সুক্তে অগ্নি, ইন্দ্র, পূষা এবং রুদ্র দেবতার সঙ্গে সোমের স্তব করা হয়েছে।
পৃথিবীর অধিকাংশ প্রাচীন আখ্যানে অমরত্ব প্রদানকারী রূপে কোনো না কোনো বনস্পতির উল্লেখ তাৎপর্যপূর্ণ। এমনকি প্লিনি রচনাতেও অমরত্ব প্রদানকারী অ্যাম্ব্রোসিয়া বা অমৃত শব্দ বিভিন্ন বনস্পতির প্রতি নির্দেশক। বনস্পতির দীর্ঘকালীন জীবন, প্রাচীন মানবদের নিকট চিত্রিত হয়েছিল-বনস্পতি মরণহীন রূপের প্রতিচ্ছবিতে। মানুষ সম্ভবত এ রকম দীর্ঘজীবী বৃক্ষগুলোকে দেখে প্রথম অমরত্ব লাভের কল্পনা করতে শুরু করে।
পৃথিবীব্যাপী বিশেষ করে ইউরোপ এবং আমেরিকায় বেশকিছু পাইন ও অলিভ বৃক্ষের সন্ধান পাওয়া যায়। যেগুলোর বয়স কয়েক হাজার বছর। অদ্যাবধি প্রাপ্ত তথ্যের নিরিখে, পৃথিবীর প্রাচীনতম জীবিত প্রাণের একটি হলো স্প্রুস গোত্রের বৃক্ষ। যার অবস্থান সুইডেনে। ওল্ড টিজেআইকেকেও নামে পরিচিত। এই বৃক্ষের বয়স প্রায় ৯ হাজার ৫ শ ৫০ বছর বলে ধারণা করা হয়। গবেষণা চলছে, হতে পারে এই প্রাচীন কোনো বৃক্ষের মাঝেই লুকিয়ে আছে অমরত্বের রহস্য!
আধুনিক ধারণায় সোম আসলে শুধু একটি উদ্ভিদ নয়। যদিও একসময় নির্দিষ্ট কোনো স্থানে প্রাথমিকভাবে সোম উদ্ভিদ বা সোমলতার অস্তিত্ব ছিল বলে প্রাচীন গ্রন্থে উল্লেখ রয়েছে। ঋগ্বেদ অনুযায়ী বিভিন্ন বিশেষ উদ্ভিদের পরিমাণ মতো মিশ্রণেও তৈরি হয় সোমরস (ঋগ্বেদ ১০.৯৭.৭)। এ ছাড়াও ঋগ্বেদে সোমের আরো কিছু ধরনের কথাও উল্লেখ রয়েছে। যেমন, হিমালয় থেকে উৎপন্ন হিমবাহের পানি (ঋগ্বেদ ৬.৪৯.৪)। বেদ অনুসারে অগ্নি বা আগুনের প্রতিটি রূপের মধ্যেও রয়েছে সোম। এই ক্ষেত্রে মহাবিশ্বের সর্বত্রই সোমের উপস্থিতি রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। এমনকি অগ্নি এবং সোম, চীনা ‘ইন অ্যান্ড ইয়ং’ দর্শনের সমতুল্য।
প্রাচীন গ্রন্থে সোমরসের বর্ণনা অনুযায়ী, সোমরস শুভ্র-বর্ণ, ঈষৎ অম্ল ও মাদকতাজনক। যার জন্মস্থান মুজবান পর্বত কিংবা সরস্বতী নদী। বলা হয় স্বর্গ হতে শ্যানপক্ষী সোম আহরণ করে এনেছিলেন। এরপর সোমকে পর্বত হতে শকটে করে যজ্ঞ স্থানে আনা হতো। পরে পাথর বা লোহা দ্বারা ছেঁচে সোমরস নিষ্কাশন করা হতো। রস নিষ্কাশনের একটি পদ্ধতিও ছিল। দুই হাতের দশ আঙুল দিয়ে চেপে রস নিঙড়ানো হতো। পরে ‘তনা’ নামে মেষ লোম-নির্মিত ছাঁকনি দ্বারা ছেঁকে দুগ্ধ মিশ্রিত করে সোমরস পান করা হতো। এটি ছিল অমরত্ব লাভের লুকায়িত জ্ঞান। যা যুগে যুগে মানুষেরা নিজেদের ভেতর ধারণ করে এসেছিল।
আধুনিক পণ্ডিতদের মতে ‘এফেড্রা’ থেকে সোমরস তৈরি হয়। আফগানিস্তান এবং ইরানে এফেড্রা খুবই পরিচিত উদ্ভিদ। ফারসিদের কাছে এফেড্রাই ছিল সোম উদ্ভিদ। এমনটাই ধারণা করা হতো। বর্তমান যুগেও ভারতের কিছু অংশে এফেড্রার অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়। যা সোমলতা নামে পরিচিত। কিন্তু এর মধ্যেও কিছু মতভেদ রয়েছে। সোম নিঙড়ালে দুধের মতো রস নির্গত হয়। কিন্তু এফেড্রা শুকনো উদ্ভিদ যা থেকে সামান্য পরিমাণে রস নির্গত হয়। তাই এফেড্রা থেকে সোম রস তৈরির যুক্তি খুব বেশি গ্রহণযোগ্য নয়।
প্রাগৈতিহাসিক সময় থেকে পৃথিবীব্যাপী সোমের সন্ধান খুঁজে চলেছেন গবেষকরা। তার মধ্যে বিগত আড়াইশ বছর ধরে বিশেষভাবে আমেরিকান এবং ইউরোপিয়ানদের মধ্যে চলছে সোম রস খোঁজার চেষ্টা।
চালর্স উইন্সকিনের মতে, সোম একপ্রকার লতাজাতীয় বনস্পতি। যা যজ্ঞ অনুষ্ঠানের অন্তিম পর্যায়ে পশুবলির পর সোম রস পান করা হয়।
গ্রিক জেনারেল জেনোফেন ৪০১ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে তার গবেষণায় তিনি মধুকে সোমরস বলে ভুল করেন।
১৮৫৫ সালে ম্যাক্স মুলার একটি প্রাচীন আয়ুর্বেদিক শ্লোক উদ্ধার করে। সেই শ্লোক অনুযায়ী সোম কৃষ্ণবর্ণ, শুভ্র-বর্ণ, ঈষৎ অম্ল ও মাদকতাজনক। সোমরস নিয়ে এটিকে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সঠিক বর্ণনা হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। এ ছাড়া ড. ওয়াল্টার রক্সবার্গ, জর্জ স্টিফেনসন, ড. ডেভিড ফ্রোলে বিভিন্ন সময় সোমলতা এবং সোমরস আবিষ্কারে নিয়োজিত ছিলেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সোমরস ‘অ্যামানাইটা মাসকারি’ মাশরুম থেকে তৈরি হয়। যার উৎপত্তি স্থল সাইবেরিয়াতে। বেদ সোমকে ভিন্নভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। যার পাতা রয়েছে। কিন্তু মাশরুমের কোনো পাতা হয় না।
এ ছাড়া অথর্ব বেদে বলা হয় (অথর্ব বেদ ১১.৬.১৫) কিছু উদ্ভিদ যেমন মারিজুয়ানা বা গাঁজা, যব অথবা দূর্বা থেকে সোম অনেক উন্নত। কিন্তু ডারভা বা দূর্বার, মারিজুয়ানার মধ্যে সোমের কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। অন্যান্য উদ্ভিদ যেগুলো সোমের সাথে সংযুক্ত সেগুলো হলো পদ্ম এবং শাপলা। সোমের মতো এই উদ্ভিদগুলো পিষলে এদের থেকেও দুধের মতো রস নির্গত হয়। সোমরস সুমিষ্ট, এই রস যেমন পানীয় হিসেবে ব্যবহৃত হতো-তেমন দুধ, দধি ও ক্ষীরে দেয়া হতো মিষ্টতার জন্য। এ কারণে হয়তো সোমকে মধুও বলা হয়ে থাকে।
আয়ুর্বেদে বিভিন্ন রোগনাশক ভেষজ ঔষধি উদ্ভিদের নাম হিসাবে সোমকে বর্ণনা করা হয়েছে। বর্তমান আয়ুর্বেদে সোম উদ্ভিদ বলতে কোনো একটি বিশেষমাত্র উদ্ভিদকে চিহ্নিত করে না। সোম উদ্ভিদ মানে উদ্ভিদগোষ্ঠীর ২৪ ধরনের ভিন্ন উদ্ভিদের সমন্বয়। সোম গোষ্ঠীর উদ্ভিদগুলোর ভেষজ গুণাগুণ সম্পর্কে বৈদিক ঋষিরা খুব ভালোভাবে পরিচিত ছিলেন।
সোমলতা মস্তিষ্কের সঙ্গে দেহের আত্মিক এক সম্পর্ক তৈরি করে- যা যোগাসন, প্রাণায়াম অথবা ধ্যান করতে  সাহায্য করে।
সোমকে প্রাচীন এবং পবিত্র উদ্ভিদ হিসেবে ধরা হয়। যা আধ্যাত্মিকতা বৃদ্ধিকারী, অনুপ্রেরণাদায়ক এবং বুদ্ধিবৃত্তি উন্নয়নকারী। ধারণা করা হয় প্রতিটি সম্প্রদায়ে অথবা ভৌগলিক অঞ্চলে তাদের নিজস্ব সোমলতা রয়েছে।
আন্তর্জাতিক গবেষক এবং বিশিষ্ট চিন্তাবিদের মতে, সোম হলো ধ্যানের এমন এক পর্যায় যাওয়া- যে পর্যায়ে নিজের অস্তিত্বের সাথে পৃথিবীসহ পুরো জগৎকে এক করে ফেলা। প্রাচীন যুগের যোগীরা দীর্ঘ সাধনার মাধ্যমে এমন এক পর্যায় উপনীত হতে পারতেন, যে পর্যায়ে মস্তিষ্ক থেকে একধরনের মোমের মতো রস পুরো শরীরে নিঃসরণ করার সক্ষমতা রাখতেন। যে রস প্রতিটি কোষ-অনুকোষকে নতুনভাবে জন্ম দিতে পারত। প্রাচীন যোগীরা বারবার এই ধ্যানের মাধ্যমে দীর্ঘ জীবন লাভ করতেন। মূলত সোম থেকে সমুদ্র শব্দটি এসেছে। সোম মানে উপরে থেকে নীচে প্রবাহমান। সাধারণ মানুষকে এর মাহাত্ম্যকে উপলব্ধি করতে পারে না। প্রাচীন মুনী-ঋষিরা তাদের প্রাপ্ত বা গবেষণালব্ধ জ্ঞানকে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে হস্তান্তরের উদ্দেশ্যে সহজভাবে পূজার মাধ্যমে জ্ঞানগুলো হস্তান্তর করেছেন।
বিদেশি বিজ্ঞানীদের সোমরস নিরসনের প্রচেষ্টা পরপর ব্যর্থ হয়ে আসছে। তবু ইউরোপ বা আমেরিকার বিশেষজ্ঞগণ আজও সোমরসের সন্ধান করে যাচ্ছেন। আজও সোমরস অনুসন্ধানে যে-পরিমাণ গবেষণা চলছে, তাতে বোঝা যায় সোমরসে হয়তো অমরত্বের সন্ধান থাকলেও থাকতে পারে                               অমর হবার ইচ্ছা মানুষের বহুদিনের  কে বা না চায় অমর হতে

যক্ষিনী .‌সাধনা

যক্ষিনী সাধনা করার সহজ উপায়ঃ

আমরা দির্ঘ্যদিনের অভিজ্ঞতায় জেনেছি যে কোন উদ্দেশ্য পূরনের ক্ষেত্রে তান্ত্রিক শক্তি সাধনাগুলোর তুলনা হয় না। আমাদের নিকট অনেকেই নানা রকম সাধনার বিষয় প্রশ্ন করে থাকে এ সাধনায় কি ফল ও সাধনায় কি ফল ইত্যাদি নানা কথা। আমরা সেটা বলেও থাকি কিন্তু আপনাদের সকলের জ্ঞ্যতার্থে একটি কথা বলে রাখছি আর তা হলো সকল শক্তি সাধনাই যেহেতু নিজ স্বার্থ হাসিলের জন্য আর সাধনার ফলাফল লাভের পর সেই শক্তি একান্তই আপনার হয়ে যায় সেহুতু আপনি আপনার ইচ্ছানুসারে আপনার প্রয়োজনের কথা তাকে বলতে পারেন বা তাকে দিয়ে করাতে পারেন, শুধু মনে রাখতে হবে সে আপনার ভৃত নয় তাকে আপনি আদবের সহিদ যা বলবেন সে তার সাধ্যানুযায়ী সেটাই করে দিবে। আপনার এমন কোন মনের আকাঙ্খা থাকতে পারে না যা সে আপনাকে করে দিবে না। তবে যদি আপনার আকাঙ্খা প্রকৃতি বিরুদ্ধ হয়, ন্যায় সঙ্গত না হয় তবে ইতিহাস শাক্ষি লক্ষ লক্ষ সাধক তার শক্তির হাতেই প্রান বিসর্জন দিয়েছে। সুতারাং আপনাকে আপনার সকল চাওয়া ও লোভ হতে সংযম পালন করেই ইচ্ছেপুরুন করতে হবে। আমরা আজ এখানে প্রচলীত একটি ছোট্ট সহজ সাধনার নিয়ম প্রদান করছি, আপনি আপনার গুরুর নিকট হতে এর আদি অন্ত জেনে অনায়েসেই তা করতে পারেন। নিজের জীবনকে সুখময় করতে পারেন।

মন্ত্রঃ ওঁ হ্রীং নখকেশী কনকবতী স্বাহা।।

বিধিঃ যক্ষ গৃহে গমন পূর্বক নগ্ন অবস্থায় একবিংশতী দিন যাবৎ উল্লিখিত মন্ত্রটি একাগ্রচিত্তে জপ করিলে, মন্ত্র সিদ্ধ হইবার পর দেবী অর্ধরাত্রে সাধকের সম্মুখে উপস্থিত হইয়া বাঞ্চিত দ্রব্যাদি প্রদান করিবে।

কালী ‌সাধনা .

 
....
কালী সাধনা। যারা ভিতু তারা ভুলেও এই সাধনা করতে যাবেন না। সঠিক ভাবে কাজ করতে পালে ১০০% ভদ্রকালী প্রকট হবেন।
মন্ত্রঃ কালী কালী মহা কালী-
ঈদ্রের কপাটে চাপ-
মহাদেবের চাপটে মাতা"
ফেলবে তার ধাপ।
চৌনমুখি মহা যোক্ষিনী-
চন্দ্র নক্ষত্রের আধার;
শুনরে মাতা ডাকে তোরে-
বড় পির জিন্দা মাদার।
আয় মাতা ডাকি তোরো-
চলে আয় নিদ্রা ঘরে-
ফেলে তোর পা-
দোহাই লাগে মাতা তুই;
শিঘ্র এসে পৌছা।
শ্রীদাম আজ্ঞা গুরুর পা-
মা চন্ডী শিদ্দিকী করে যা;
না হলে মহাদেবের মাথা খা।
নোটঃ অনুমতি নিতে হবে।  অনোথায় কাজে আসবে না .
গুরুর অনো মতি ও সঠিক নিয়ম জানতে আজি যোগা যোগ করুন 01757786808

. হারানো প্রেম ভালোবাসা ফিরে পাওয়ার তদবীর.

  হারানো প্রেম ভালোবাসা ফিরে পাওয়ার তদবীর
আমরা মানুষ্য জাত প্রায়শই একটি ভুল করি, আর তা হলো যখন যা আমাদের নাগালে থাকে তখন তার গুরুত্ব আমরা দেই না, বা তার মর্ম বুঝি না। যখন সেটা হারিয়ে যায় তখন সেটার গুরুত্ব বুঝতে পারি। যে কোন রিলেশনের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে থাকে, আমরা যখন একজনের সাথে রিলেশনে থাকি তখন তাকে অবহেলা করি, তার সন্মান করি না, বা তাকে তার প্রাপ্য মর্জাদা দিতে চাই না। আমাদের মানুষিক চেতনা বলে যাই করি না কেনো সে তো আর ছেড়ে যাবে না। কিন্তু যখন ছেড়ে চলে যায় তখন আমরা কপাল চাপড়ে মরি। আমরা অনেকেই আমাদের ভালোবাসার মানুষটির সাথে দির্ঘ্যদিন সর্ম্পক্য রাখলেও তাকে মনে প্রানে ভালোবাসলেও কেউ কেউ ভালোবাসি কথাটা মুখে বলি না, ভাবনা টা এমন যে সে তো জানেই আমি তাকে ভালোবাসি। কিন্তু মশায় ভালোবাসার মানুষটির কাছে আপনার আবেগের প্রকাশটা অবশ্যই জরুরী। কারন হতে পারে সে তার ভাবনায় ভিন্ন কিছুর ছবি আকঁছে।
আজকের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে যে সকল প্রেমিক পূরুষগন দির্ঘ্যদিন বা একটি নির্দিষ্ট সময় একজনের সাথে সর্ম্পকে থাকার পর তাকে হারিয়ে ফেলেছে। বা প্রেমীকা তাকে ছেড়ে চলে গেছে। বা তার সাথে ব্রেকআপ করেছে। বা অন্য কারো হাত ধরে চলে গেছে। বা তার সাথে প্রতারনা করেছে। তাদের জন্য। 
আমরা বলতে চাই মেয়ে মানুষকে আপনি যতটা সহজ সরল অবলা মনে করেন সে কিন্তু সেটা নয়, মনে রাখবেন তার জন্যই এই পৃথিবীর সৃষ্টি তার দ্বারাই সৌন্দর্যের সৃষ্টি তার কারনেই আপনার সুখ, তার কারনেই আপনার জন্ম। আর আজ যদি আপনি হারানোর যন্ত্রনা অনুভব করছেন সেটিও তার’ই কারনে। যাই হোক মেয়েরা মোটেও ছেলে খেলার বস্তু নয়। সেও স্রষ্টার সৃষ্টি মানুষ আপনার মাঝে যে সকল ভাবাবেগ কাজ করে ঠিক তেমনটি তার মাঝেও কাজ করে। সকল সময় মেয়েদের সন্মান দিয়ে তাদের ভালোবেসে আগলে রাখাই আমাদের কর্তব্য। কথায় বলে মেয়েরা হয় ভালোবাসে নতুবা ঘৃনা করে এর মাঝা মাঝি কোন বিষয় তাদের মাঝে নেই। আর সে কারনেই সে যদি আপনাকে ভালোবেসে থাকে তবে তার চাইতে বড় পাওয়া আর কিছুই জগতে আপনার কাছে থাকবে না। আর যদি একবার ঘৃনা করে তবে তার চাইতে বড় শত্রুও আপনি জগতে খুজে পাবেনা না। এই পৃথিবীর ইতিহাস বলে জগতে যতগুলো বড় বড় মানুষ্য সৃষ্ট প্রলয়ঙ্করী ধ্বংসযোগ্য সংগঠিত হয়েছে তার পিছনে অবশ্যই একটি মেয়ের গল্প রয়েছে। নারী জাতি বড়ই মায়াময় ও বিভৎস।
আপনি যদি আপনার ভালোবাসার মানুষটিকে হারিয়ে থাকেন আর তাকে পুনরায় ফিরে পেতে চান তবে কয়েকটি বিষয় আপনার নিজের মনকে জিজ্ঞেস করে সঠিক টা জেনে নিতে হবে। আর তা হচ্ছে আপনি যে নারীকে ফিরে পেতে চান তাকে কি সত্যি আপনি মন প্রান দিয়ে ভালোবাসেন না কি সেখানে আপনার কোন স্বার্থ জরিত???
তন্ত্র, মন্ত্র, যন্ত্র, দোওয়া, তাবিজ, কবচ, পানি পড়া, ব্লাক ম্যাজিক, হোয়াইট ম্যাজিক, হিপনো টাইজ, মেসমেরিজম, জাদু, টোনা, বান ইত্যাদি যাই করেন না কেনো। তদবীরের পূর্বেই তদবীর কারকের নিকট জেনে নিন তিনি কি করতে যাচ্ছেন।
যে কোন বশিকরণ তদবীরের পূর্বে তদবীর কারককে এই বিষয়টি অবশ্যই অবহিত করবেন। কারন ভালোবাসার মানুষটিকে আকর্ষন করার জন্য তদবীর আর একটি নারীকে স্বার্থের জন্য আকর্ষন করার তদবীর কখনই এক নয়। আর এই ভুলটির জন্যই অনেক ক্ষেত্রেই অনেকে তান্ত্রিকের দারস্ত হয়েও হতাষ হয়ে ফিরে এসেছে। মনে রাখবেন বর্তমান সমাজে ও ভার্চুয়াল জগতে তান্ত্রিকদের এতটাই ছড়াছড়ি যে আপনি নিজেই দিশে হারা হয়ে যাবেন এই সিদ্ধান্ত নিতে যে কে রিয়েল আর কে ফেইক। আমরা বাংলাদেশের তান্ত্রিক জরিপে যা পেয়েছি তাতে শতকরা ৯৯% ফেইক। উপরন্ত এই ফেইক তান্ত্রিকদের মাঝে অধিকাংশই কম বয়ষ্ক ও অশিক্ষিত। ভার্চুায়াল জগতে যে সকল হাইব্রিট তান্ত্রিক পেইজ প্রতিনিয়ত তৈরী হচ্ছে এবং ঝরে যাচ্ছে এর মাঝে ৯৯% এমন রয়েছে যারা কি না কম্পিউটার অপারেটর মাত্র। আর এই অপারেটরা এই বিষয় ভালোভাবেই জ্ঞান রাখে কি ভাবে একজন সাধারন মানুষকে কনভেন্স করতে হয়। পাবলিক কোন ধরনের তান্ত্রিকতায় বেশি আগ্রহ প্রকাশ করে। কেমন অফার তারা চায়। কি ধরনের কথায় তাদের কনভেন্স করা সম্ভব। ইত্যাদি।
সাধারন ভিজিটরদের এই সকল ফেইক তান্ত্রিক চেনার জন্য আমরা ইতিপূর্বের বেশ কয়েকটি পেইজে কিছু অনলাইন এ্যনালাইসিস থিউরি প্রদান করেছিলাম আপনারা চাইলে পূর্বের পোষ্টগুলো দেখে আসতে পারেন। তবে সাধারন ভাবে কয়েকটি কথা মাথায় রাখবেন- প্রথমত যে সকল স্যোসাল মিডিয়ায় প্রচারিত চাকচিক্য তান্ত্রিক বিজ্ঞাপন দেখবেন তা এড়িয়ে চলুন। কারন চকচক করলেই শোনা হয় না। বর্তমান সময় ফেইসবুক পেইজের লাইক টাকা দিয়ে কেনা যায়। আর বেশি লাইককৃত পেইজ মানেই সেটা সঠিক সেটা ভাবা বড় রকমের ভুল। দ্বিতীয়ত যে সকল তান্ত্রিক পেইজের সাথে ওয়েব এ্যড্রেস নেই সেটি ১০০ ভাগ নিশ্চিত ফেইক। ওয়েব এ্যড্রেসে প্রদানকৃত মোবাইল নাম্বার ও স্যোসাল মিডিয়ায় প্রচারকৃত মোবাইল নাম্বার এক না হলে এড়িয়ে যান। যে সকল ওয়েব সাইট দু এক বছরের মধ্যে তৈরীকৃত সেগুলো নিশ্চিত ফেইক ওয়েব সাইট। যেখানে দেখবেন ৩ ঘন্টায় বা ২৪ ঘন্টায় কাজের ফলাফল সেটা তো অনেক বড় ভাবনার বিষয়। কারন দেখুন নারী হোক বা পূরুষ সে একজন মানুষ আর একজন মানুষের মন কখনই কোন পানি পড়া বা তাবিজ করে এতো তারা তারি পরিবর্তন করা যায় না, যেটা আমরা বিভিন্ন নাটক বা গল্পে পড়ে থাকি। মানুষের মন পরিবর্তন হতে অবশ্যই সময় লাগবে। অনলাইনে কোন কাজ দেওয়ার পূর্বে ভেবে রাখুন, আপনি যাকে বশ করতে আগ্রহী তার সঠিক জন্ম তারিখ, নাম, বাবা মায়ের নাম, ছবি ইত্যাদি আপনার কাছে আছে কি না। যে তান্ত্রিকের নিকট হতে সার্ভিস নিচ্ছেন সে কোন ধর্মের তান্ত্রিক আপনি কোন ধর্মের সেবা গ্রহন কারি সেটিও বড় বিষয়। কোন তান্ত্রিক যদি তাবিজ, কবচ, পানি পড়া, চিনি পড়া ইত্যাদি আপনাকে দেয় তবেও ধরে নিন আপনার কাজ হবে না। কারন এই সকল উপকরনে বর্তমান সময়ে কাউকে বশ করা হয়েছে এমন বাস্তব নজির বিরল। হ্যা আপনি হয়তো লোক মুখেই শুনে থাকবেন অমুকের হয়েছে অমুকের হয়েছে। কিন্তু প্র্যাকটিক্যাল কাউকে খুজে পাবেনা না। তান্ত্রিক কাজ নেওয়ার পূর্বে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা আপনার জানা দরকার সেটি হচ্ছে । যার জন্যেই তদবীর করুন না কেনো একমাত্র তান্ত্রিক এবং আপনি ছাড়া অন্য কেউ যেনো এ বিষয় কিছু জানতে না পারে। নতুবা কাজের ফল আপনার জন্য নয়।..... ..
তান্তিক গুরু আজিজ রহমান .      জ্বীন পরী সাধক ..ইমু 01757786808/