পৃষ্ঠা গুলি দেখুন

পুরুষ ‌‌বশী‌করন.‌মন্ত

Male attraction ‍spell (পুরুষ বশীকরণ)

If we look at the world of online Tantric side of him, he can see – the Tantric love spell dominates written upset, the girl or woman in their system love spell devising plans or more. We have forgotten all of our minds, not separated women or men, but the men and women in Conquest is less necessity. We have seen many women / girls not being able to find the man in his mind, it seems to be a life of fury,Men can talk to lots of people, a lot of news, look for Tadbir take place, but these little girls cannot, therefore, going to see more women problem. So today, we are keeping them for the benefit of women’s problems desire anniversary will post devising plans for the conquest of the male. not only that, Man desire anniversary of women that all women are willing to accept from us ultimately devising plans Most of all low-cost labor and money devising plans promise. This is the continuation of Tadbir. We are all aware of the current time for Love Attract amulet, charm, divination device that is not effective, so you can be following were offered various remedies.
Casting Instructions: The Conquest with white side will do, so that’s no moon, the first Saturn or Mars bars in the morning, when the house and prepared to sit down, then some of the flour with your right leg Second Shoes open a shed or Dishes left on the flour, pour it into the flour when shoes, full of flour out of the way when the sink, the flour will make the bread you. Now take three breads from there and place it in front of any dish, you have to beat three of the bread with your shoes, And from today I will say whatever. My husband will be forced to do this after eating this bread. Willing to be the creator of a woman with her bad behavior, strange, negligence or anything else in the world except you will not. The marriage lasted only for devising plans husbands / wives in the feature is available.

 Male attraction ‍spell (পুরুষ বশীকরণ)

অনলাইন জগতে আমরা যদি তান্ত্রিক সাইডগুলোর দিকে একটু দৃষ্টি দেই, তবে দেখতে পাবো- বশীকরন বিষয়ক তান্ত্রিক কনটেন্টগুলোই প্রাধান্য পায়,
আবার সেগুলোর মধ্যে মেয়ে বা নারী বশীকরন তদবীর বা তন্ত্র অধিক। আমরা ভুলে যাই আমাদের মন সকলেরই রয়েছে, নারী বা পুরুষ আলাদা নই, যদি নারী বশীকরণের প্রয়োজন পরে তবে সেই সাথে পুরুষ বশীকরণের প্রয়োজনীয়তাও কম নয়। আমরা দেখেছি অনেক নারী/মেয়ে তার মনের মানুষকে না পেয়ে সারাটি জীবন ধুকে ধুকে নিশ্বেষ হতে। পুরুষ মানুষ অনেকের সাথে আলোচনা করতে পারে, অনেক স্থানে তদবীরের জন্য খোজ খবর নিতে পারে,
কিন্তু মেয়েরা এসব তেমন করতে পারে না, সুতারাং দেখা যাচ্ছে মেয়েদের সমস্যাটাই বেশি। বিধায় আজ আমরা মেয়েদের সমস্যার কথা মাথায় রেখে তাদের সুবিধার জন্য মনোকামনা পূর্তির জন্য কয়েকটি পুরুষ বশীকরণ তদবীর পোষ্ট করবো। শুধু তাই নয়, নারীদের মনোকামনা পূর্তির জন্য যে সকল নারী আমাদের নিকট তদবীর গ্রহনে ইচ্ছুক তেনাদের সর্ব্বপেক্ষা কম শ্রম ও অর্থ ব্যায়ে তদবীর করারো প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। তারই ধারাবাহিকতায় আজকের নিচের তদবীরটি প্রদান করা হলো। আমরা সকলেই অবগত বর্তমান সময় তদবীরের জন্য তাবিজ, কবজ, মন্ত্র যন্ত্র তেমন ফলপ্রসু নয়, বিধায় আপনারা নিশঙ্কচে নিচের টোটকা করতে পারেন।
বিধিঃ যেহেতু বশীকরণ কর্ম শুক্ল পক্ষেই করতে হবে, তাই যে কোনো চন্দ্র মাসের প্রথম শনি বা মঙ্গল বার সকালে যখন বাড়ীতে খাবার তৈরী করতে বসবেন, সে সময় কিছু আটা নিয়ে আপনার ডান পায়ে ব্যবহৃত সেন্ডেলটি খুলে কোনো চালা বা বাসনে রেখে সেটিতে আটা ঢালবেন, আটা যখন সেন্ডেলটি পুর্ন ভাবে ডুবে যাবে তখন সেই আটা হতে সেন্ডেলটি বের করে, সেই আটা দিয়ে আপনাকে রুটি বানাতে হবে। এবার সেখান হতে তিনটি রুটি নিয়ে সামনে কোনো বাসনে রেখে আপনার সেই সেন্ডেল দিয়ে তিনটি বারি মারতে হবে আর মুখে বলবেন আজ থেকে আমি যা বলবো আমার স্বামী এই রুটি খাওয়ার পর হতে সেটি করতে বাধ্য হবে। এবার সেই রুটি আপনার স্বামীকে খাওয়ায়ে দিবেন। স্রষ্টা চাহে তো এরপর হতে কোনো নারীর স্বামী তার সাথে খারাপ আচরন, পরকীয়া, অবহেলা বা সংসারে আপনাকে ছারা অন্য কিছু করবে না। এই তদবীর শুধু মাত্র বিবাহীত স্বামী/স্ত্রীদের ক্ষেত্রেই প্রজোয্য

বশীকরণ কি . কখন কাকে . কিবাবে করবেন

মন্ত গুরু
বশীকরণ কি? কেন, কখন, কাকে, কোথায় ও কিভাবে করবেন?
আমাদের আজকের বিষয়টি তান্ত্রিকতার সবথেকে জনপ্রিয়, অত্যাধিক ব্যবহৃত, বিশ্বের সকল স্থানের সকল সময়ের শ্রেষ্ট চাহিদা সম্পন্য তদবীর বা তন্ত্র যার নাম বাংলায় “বশীকরণ/বশিকরন”। আজ আমরা জানবো বশীকরণ কি ? কেন, কাকে, কখন, কিভাবে বশীকরণ করা যায় বা করবো। এবং এ বিষয়ের উপর সংশ্লিষ্ট সকল বিষয় পর্যায়ক্রমে আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করবো।
বশীকরন-একটি তান্ত্রিক বা আধ্যাত্মিক প্রকৃয়া যা দ্বারা একজন মানুষের স্বাভাবিক বিরুপ মনকে মন্ত্র, তন্ত্র, যন্ত্র, দোওয়া, তাবিজ, টোনা, টোটকা ইত্যাদি প্রয়োগের মাধ্যমে নিজের প্রতি আকৃষ্ট বা আয়ত্বে আনা যায়। মনে রাখতে হবে- মানুষের মন কোন যন্ত্র চলিত ইঞ্জিন নয়, যে এর কোন একটি পার্টস পরিবর্তন করে দিলেন আর সাথে সাথে আপনার পিছু ধাওয়া করলো। তবে হ্যা এটিও সত্য যে বর্তমান হিপনোটাইজ, মেসমেরিজম, ত্রাটক ইত্যাদির দ্বারা সাময়ীক ভাবে একজন মানুষের সম্পূর্ণ জ্ঞান, বোধ, বুদ্ধি হরন করে তাকে দিয়ে তাৎক্ষণিক কোন কার্য সম্পাদন করানো যায়। (এ বিষয় বিস্তারিত প্রশিক্ষণ ও আলোচনা আমাদের অন্য একটি অধ্যায়ে করা হয়েছে) তবে সেটি বশীকরণ নয়। বশীকরণ করতে অবশ্যই সময়ের প্রয়োজন সময় লাগবেই, কারন এটি তো অন্য কিছু নয়, মানুষ্য মন, যে মনের জন্যই আজ সে আঠারো হাজার মাখলুখের মধ্যে শ্রেষ্ঠত্বের দাবিদার, এটিকে পরিবর্তন হতে কিছু সময় নেওয়াটাই স্বাভাবিক, না নেওয়াটা ভন্ডামী। তদবীরের প্রখরতার উপর নির্ভর করে ৭-১৮০ দিন কিংবা তার বেশি সময়ও লাগতে দেখা গেছে। একটি মানুষকে বশীকরণ করার তদবীর যদি আপনি একজন সৎ তান্ত্রিক দ্বারা করিয়ে থাকেন তবে আজ বা কাল বা একটি সময় সেই ব্যক্তি বশীকরণ হবেই হবে, এটি নিশ্চিত ধ্রব সত্য-কারন বিজ্ঞান বলে প্রতিটি কাজের একটি ফলাফল থাকতেই হবে, সেটা যেমন’ই হোক।
কেন একজনকে বশীকরণ করবো বা করা হয়, এর প্রয়োজনীয়তা কি? মানুষ সামাজিক জীব, সমাজে বাস করতে তাকে সকলের সাথে মিশতে হয়, প্রয়োজনের তাগিদেই অন্যের সাথে সখ্যতা তৈরী করতে হয়। আবার হৃদয় ঘটিত ব্যপার তো রয়েছেই। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, মানুষের নিজ স্বার্থের প্রয়োজনে যখন একজন মানুষকে অনেক বেশি প্রয়োজন পরে আর সেই ব্যক্তিটি তার আহ্বানে সারা না দেয় তখনি বশীকরণ করার চিন্তা বা প্রয়োজনীয়তা দেখা যায়। শুধু তাই নয়, স্বামী স্ত্রীর সর্ম্পক্যের মাঝেও তৃতীয় পক্ষের অনুপ্রবেশের কারনে বা মন মালিন্যের কারনে বিভেদ সৃষ্টি হয়। আপনি বিবাহিত অথচ অন্য আরেকটি মেয়েকে বা অন্যের স্ত্রীকে হটাৎ পছন্দ হয়ে গেলো, আপনার স্বামী হয়তো আপনার শারীরিক, মানুষিক বৈষয়িক কোন চাহিদা মেটাতে অপারগ এমতাবস্থায় আপনি অন্যের প্রতি আকর্ষিত হয়ে পরলেন এমনি হাজারো পরকীয়া ঠেকাতে, পরকীয়া করতে। আপনার সন্তান আপনার অবাধ্য, আপনার পিতা/মাতা আপনার অন্য কোন ভাই/বোন/ বোন জামাইয়ের প্রতি আসক্ত আপনাকে পাত্ত্বা দেয় না। আপনার ভাই বোনের সাথে আপনার মিল হচ্ছে না। আপনি হটাৎ কোথাও বেড়াতে গিয়ে কোন রূপসী যুবতী/যুবকের প্রতি আসক্ত, হতে পারে সে নেহায়েৎ গরিব ঘরের যে কারনে আপনার সাথে সর্ম্পক্য করার সাহস পাচ্ছে না। এমনও হয় সে উচ্চ বংশের আপনাকে পাত্তা দিচ্ছে না। সে অন্য পুরুষ বা মেয়েতে আসক্ত, তবুও আপনি তাকে পেতে চাইছেন। আপনার অফিসে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আপনার বস আপনার প্রতি সহানুভুতিশীল নয়, অন্যের প্রমোশন হচ্ছে আপনার হচ্ছে না, আপনার সহকর্মী যে আপনার ফেভারে থাকলে আপনার সুবিধা হতো কিন্তু সে আপনার প্রতি বিরুপ। আপনি রাজনীতি করেন কিন্তু আপনার প্রতি আপনার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের তেমন একটা সু নজর নেই, আপনি আপনার যোগ্য স্থান পাচ্ছেন না। আপনি কোন মেয়ে বা ছেলে কে জান প্রাণ দিয়ে চাইছেন কিন্তু তাকে কোন ভাবেই বোঝাতে বা বলতে পারছেন না। আপনি এমন একজনকে পছন্দ করেন যে কি না সর্ম্পকে আপনার সামজস্যপূর্ন নয়, যে সর্ম্পক্যটি অসামাজীক, তবুও আপনি চাইছেন, সে আপনার ধর্মের বা গোত্রের না, যা সমাজ বিরোধী যে কারনে বিপরীত ব্যক্তিটি আপনার আহ্বানে সারা দিচ্ছে না, আপনি যাকে চাইছেন সে আপনার বয়েসে অনেক বড়, ছোট, গরিব, বড়লোক, ভিন্ন ধর্মের, দেখতে সুন্দর, কুৎসিত, সামাজীক স্ট্যাটাস অনেক উঁচু, নিচু ইত্যাদি হাজারো ভিন্নতার কারনে বিপরিত ব্যক্তিটি আপনার প্রতি বিরুপ, বিতৃষ্ণ, সাড়া দিচ্ছে না সে সকল ক্ষেত্রে আমাদের প্রথম পদক্ষেপ বশীকরণ। এর মাধ্যমে নিজের ইচ্ছের সাথে তার ইচ্ছের সংমিশ্রন ঘটানো হয়, বা ঘটাতে বাধ্য করা হয়। এই বশীকরণ যে সকল সময় মঙ্গলের জন্যই করা হয়ে থাকে তা কিন্তু নয় অনেক সময় দেখা যায় নিজ স্বার্থ সিদ্ধির জন্য, অসৎ উদ্দেশ্য চারিতার্থ করার জন্য, অসামাজিক কার্যকলাপের জন্যেও কিছু অসাধু ব্যক্তি করে থাকে। যা সকল সময় সমাজের জন্য হিতকর নাও হতে পারে, আবার কোন ক্ষেত্রে একজনের জীবন বাচানোর তাগিদেও বশীকরণ জরুরী হয়ে পরে। যাই হোক এ সকল ক্ষেত্রেই আমরা বশীকরণের প্রয়োগ দেখতে পাই।
এখানে আমরা জানলাম কেন এবং কাকে বশীকরণ করার প্রয়োজন হয় এবার আলোচনা করবো কখন কি ভাবে করা হয় বা হবে। অনাদীকাল হতেই এই কাজটি সমাজের তান্ত্রিক, ফকির, বেদে, পীর, ওঝা, হুজুর, মাওলানা, আধ্যাত্মিক সিদ্ধ পুরুষ এই সকল সম্প্রদায়ের লোকেরাই করে থাকে। কারন এই কাজগুলো আমরা সাধারন মানুষ জানলেও তা করে তেমন ফল পাওয়া যায় না। এই কাজগুলোতে সাধারনত গ্রামীন সমাজ টোনা, টোটকা, জড়ি, বুটি, তাবিজ, কবজ ইত্যাদি ব্যবহার করে আসছে।
আমাদের সর্বসাধারনের আজ এটি জানা অত্যান্ত জরুরী যে কি কি দ্বারা বশীকরণ করা হয়ে থাকে- বর্তমান সময়েও দেখা গেছে তাবিজ, কবজ, যন্ত্র সাধারন ভাবে গাছের উপর টাঙ্গিয়ে, গাছের গোড়ায় পুঁতে, কিছু খাওয়ানো, শরীরে র্স্পশ্য করে, পায়ের নিচে, বিছানায় মাথার নিচে রেখে, ঘরে রেখে, বাড়ীতে কোথাও টাঙ্গিয়ে, নিজের সাথে গলায় বা হাতে ব্যবহার করে, শ্মশানে/কবরস্থানে, বহমান নদীতে, জঙ্গলে পুঁতে, বিভিন্ন প্রাণীর অংশ বিশেষ ব্যবহার করে, শরীরের ব্যবহৃত কাপড়, চুল, নখ, গাত্র ময়লা ইত্যাদি সংগ্রহ করে, ছবি, নাম, জন্ম তারিখ, পিতা মাতার নাম দিয়ে। চোখে চোখ রেখে তাকিয়ে থেকে, কথার মাধ্যমে তান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বিপরীত লিঙ্গকে বশীকরণ করা হয়, আর সাধারন ভাবে কোনও ব্যক্তি তার রুপ, গুন, অর্থ সম্পদ ইত্যাদি দিয়েও অন্যকে প্রভাবিত করে থাকে। কিন্তু বর্তমান সময়ে একটি প্রতারক ভন্ড তান্ত্রিক সম্প্রদায় সর্বসাধারনের মাঝে একটি কথা বেশ জোড়ালো ভাবেই ছড়িয়েছে যে নানা রকম আসন, চালান দ্বারা, জ্বীন, পরী, কালী সাধনা দ্বারা অন্যকে বশীকরণ করে দেয়। মনে রাখবেন এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভুয়া একটি কথা, সাধারনের মস্তিষ্কে এটি বর্তমানে একটি ভাইরাসের মতই ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে যে, এ ভাবে অন্যকে বশীকরণ করা যায় বা হয়।
দেখুন এই সাধনাগুলো (জ্বীন, পরী, কালী বা এ ধরনের শক্তি সাধনা) মূলত যারা বা যেনারা করে থাকে তা একান্তই ব্যক্তি স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্য নিয়ে। কখনই এ সকল শক্তি সাধক ব্যক্তি আপনাকে এই শক্তির দ্বারা আপনার আকাঙ্খীত ব্যক্তিকে বশীকরন করানো কাজ করবে না বা করানো সম্ভব নয়। কারন যে শক্তি আপনার নিয়ন্ত্রনাধিন নয়, যে শক্তি সাধন করতে আপনাকে সময় শ্রম অর্থ ব্যয় করে তার অনুগ্রহ লাভ করতে হয়, সেই শক্তিকে কোন ভাবে কি ভৃত্যের কাজ করানো সম্ভব??? হ্যা এ কথা সত্য যে আপনি যদি এমন কোন শক্তির সাধনা করেন, যদি আপনি এ শক্তির নিয়ন্ত্রক হয়ে থাকেন তবে তার মাধ্যমে আপনি আপনার প্রয়োজনানুসারে কোন স্বার্থ হাসিল, সম্পদ লাভ, কাউকে পছন্দ করলে তাকে নিয়ন্ত্রন করা ইত্যাদি করলেও করতে পারেন। কিন্তু তাকে আপনি কোন ভাবেই দাস বানাতে পারবেন না। অথচ আমাদের সমাজে এক শ্রেনীর অসাধু তান্ত্রিক নামধারী সর্বসাধারনের আবেগ অনুভুতী নিয়ে প্রতারনার ফাদ পেতে এটি বোঝায় যে তার নিকট জ্বীন, পরী, কালী ইত্যাদি রয়েছে এবং সে এই শক্তির দ্বারা নিমিশেই (কয়েক ঘন্টা বা কয়েকদিনেই আপনার আকাঙ্খীত ব্যক্তিকে আপনার বশে এনে দিবে)। একটি কথা মনে রাখবেন বর্তমান যুগে যে সকল তান্ত্রিকতা করা হয় বিশেষ করে তাবিজ, কবচ/কবজ, যন্ত্র ইত্যাদি করতেও একজন মানুষকে যতটুকু ন্যায়, নিতিবান, সৎ সিদ্ধ পুরুষ হতে হয়, আত্মিক সংগতি, আধ্যাত্মিকতার প্রয়োজন পড়ে বর্তমান সমাজে তার বড়ই অভাব। আমাদের গবেষনায় ও বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে বড় বড় সাইন বোর্ড ধারী অসংখ্য তান্ত্রিক নামধারী ব্যক্তি যারা বোম্বায়, দিল্লী, মাদ্রাজ, কলকাতা, ঢাকা, চট্টগ্রামের মত বড় বড় শহরে স্থাপনা গেড়ে বসে রয়েছে তেনাদের ৯৮% তান্ত্রিক’ই ফেইক। অনলাইন জগতে ইদানিং কালে অসংখ্য তান্ত্রিক সোস্যাল মিডিয়ায়, ওয়েব সাইড দিয়ে বসে রয়েছে যাদের মধ্যে অষ্ট্রেলিয়া, আমেরিকা, ইন্ডিয়া ও বাংলাদেশের ২-১ টি ছাড়া সকল সাইড ভুয়া ও ফেইক, যার অধিকাংশ সাইড অপ্রাপ্ত বয়ষ্ক কিছু ছেলেদের দ্বারা কপি পেষ্ট তৈরী নতুবা প্রতারনার ফাঁদ। এ বিষয় কোন সাহায্য নিতে বা তদবীর করানোর পূর্বে অবশ্যই সাইডগুলোর জন্ম হিষ্ট্রি দেখে তদবীর নেওয়ার জন্য অনুরোধ রইলো। নতুবা আপনার মূল্যবান সময়, শ্রম, অর্থ, চোখের জ্ল সকল কিছুই বৃথাই নষ্ট হবে।
সাধারন ভাবে দেখা গেছে বর্তমান যুগে পানি পড়া, মিষ্টি পড়া, ধূলা পড়া, পান পড়া, ফুল পড়া ইত্যাদি সহ যে কোন ধরনের তাবিজ, কবজ, গাছে টাঙ্গিয়ে, শ্মশানে বা কবরে পুতে, নদীতে ফেলে তার ফল পেয়েছে এমন মানুষ খুজে পাওয়া আর ডায়নোসর খুজে পাওয়া সমান। তবে এখনো যে এ সকল তদবীর হয় না সেটি বলা হচ্ছে না, বর্তমান সময়ে আমরা যদি মিডিয়ায় নজর রাখি তবে হয়তো আমরা দেখবো অনেক অনেক তান্ত্রিকতা সচল রয়েছে তবে তার প্রয়োগ বিধি পরিবর্তীত হয়েছে। ইউটিউব ভিডিওতে, এ্যন্ড্রোয়েড এ্যপে এমন হাজারো বশীকরণ তদবীরের দেখা মেলে কিন্তু বাস্তবিকে এ সকল কিছুই ভূয়া বা ফেইক, এগুলো দেখে বা এর পিছনে সময় শ্রম অর্থ নষ্ট করা সম্পূর্ণই বৃথা।
তাহলে কি ভাবে আপনি কাউকে বশীকরণ করবেন ? প্রথমত আপনাকে একটি কথাই পুনরায় বলবো আর তা হচ্ছে আপনার উর্বর মস্তিষ্ক্য ব্যবহার করুন, নিজের চিন্তার উন্নতি ঘটান, দৃষ্টি শক্তির প্রসার ঘটান তবে হয়তো এ সকলের মধ্যে সত্যিকারের তান্ত্রিকদের খোজ আপনি পেয়ে যাবেন। যার দ্বারা আপনার মনোরথ পূর্ণ হবে। যে আপনার মনের মানুষটিকে আপনার মনের সাথে মিলিয়ে দিবে। কখনই এই একটি বিষয় তারাহুড়ো করবেন না। মনে রাখা জরুরী তান্ত্রিক বিদ্যা বা কাজ গুরুমুখি, গোপন বিদ্যা। বিধায় আপনি কোন তান্ত্রিকের নিকট যাচ্ছেন আপনার বাবা, মাকে, বন্ধু বান্ধব বা আত্মিয় পরিজনকে সাথে নিয়ে তাদের বলে যাচ্ছেন তো আপনার কাজটি হবে না। হওয়ার সম্ভবনা নেই, আধ্যাত্মিক কাজ বিশেষ করে বশীকরণের ক্ষেত্রে আপনি যাকে বশীকরণ করছেন অদুর ভবিষ্যতে তাকেও আপনি এ ব্যপারে বলতে পারবেন না। এই কাজগুলো একাই করতে হয়। যদি স্রষ্টাকে বিশ্বাস করেন তবে একটি বিষয় উপলব্ধি আছে নিশ্চয়, কাউকে বলে যদি আপনি স্রষ্টার নিকট কিছু চান তবে তা কখনই পূরণ হবে না, আপনাকে তার কাছে চাইতে হবে গোপনে, সকলের অগচরে, একান্তই নিজেস্ব ভাবে অন্তরের সমস্ত আকুতি দিয়ে। তান্ত্রিক কাজ করানোর পূর্বে যার নিকট কাজটি করাচ্ছেন তার উপর আপনার পূর্ণ বিশ্বাস আস্থা থাকাটাও অত্যন্ত জরুরী। কেননা বিশ্বাসের নুণ্যতম ঘাটতিও আপনাকে সফল হওয়া হতে পিছিয়ে দেবে।
বর্তমান সময়ে কিছু আধুনিক রীতিতে তান্ত্রিক নিয়ম প্রয়োগ হচ্ছে, যার সাথে রয়েছে হিপনোটাইজম বা ত্রাটকের কিছু অংশ্য, এতে দূরে থেকে কিংবা কাছে থেকে যে কোনও ভাবেই বিপরীত লিঙ্গকে খুব সহজেই কনভেন্স করা যাচ্ছে। তবে আপনার এও যানা উচিৎ সকলের ক্ষেত্রেই সকল প্রয়োগ সমান নয়, বিশেষ করে আপনি যাকে বশীকরণ বা কনভেন্স করবেন সে কোন শ্রেনীর ব্যক্তি বা নারী সেটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারন কখনই একটি সাধারন অল্পশিক্ষিত, সকলের সাথে সমান ভাবে মেশা নারীকে বশীকরন করা আর একটি শিক্ষিত সম্ভ্রান্ত ঘরের নারীকে বশীকরণ করা এক কথা বা একই কাজ নয়, একজন সাধারন পুরুষকে বশীকরণ করতে যে শক্তি সময় শ্রম ব্যয় হয় একজন জনপ্রতিনিধিকে বশীকরণ করতে তার চাইতে অনেক বেশি সময় শ্রম শক্তির ব্যয় হবে, আর এটাই স্বাভাবিক। পূর্বের ন্যায় বর্তমান সময়ে ১০-২০ টাকা হাদিয়ায় হুজুরদের তাবিজে কাউকে বশ করা সম্ভব হয় না। কেউ করেও দিবে না। এ বিষয়গুলো মানতে হবে। আপনি যাকে আপনার জীবনের চাইতে বেশি চাইছেন তার ভালোবাসার নিকট অবশ্যই আপনার অর্থ ও শ্রম মুখ্য হওয়া উচিৎ হবে বলেও আমরা মনে করি না। একজন রাজনীতিবীদ নির্বাচনে জয়লাভ হতে জনগন ও জনপ্রতিনিধিদের কনভেন্স করার প্রয়োজন পরে এমন স্থানে যদি সে মনে করে একটি মাজারে ১০০-২০০ টাকা হাদিয়া দিয়ে একটি তেলেসমে কারামতি মিশরীয় বশীকরণ কবজ বা আজমির/ফুরফুরা শরীফের নামী কোন তাবিজ হাতে পড়লেই কুল্লু খালাসুন তবে তাকে বুদ্ধিমান বলা উচিৎ হবে না।
আমরা সর্বসাধরণের উদ্দেশ্যে বলবো বশীকরণ কখনই সকলের জন্যই একই রিতি নয়, প্রয়োজনের তাগিদে একজনকে বা একের অধিকজনকে একই সংগে বশীকরণ করার প্রয়োজন পরতে পারে, সকল ক্ষেত্রেই একই তন্ত্র বা বিধি কার্যকারি নয়, একজন পুরুষ ও একজন নারীকে বশীকরণের তদবীর কখনই একই নয়। একই সংঙ্গে ঘুরে বেরানো দুই বান্ধবিকে কনভেন্স করতে একই তদবীর কাজ হবে এমন সম্ভবনা শুন্য। বশীকরণ বিদ্যা মিথ্যা নয়, নতুবা আপনার আমার পূর্বপুরুষগণ সকলেই মিথ্যা প্রমানিত হবে। তবে পূর্বে যা যত সহজ ছিলো এখন তত সহজ নয়, পূর্বে যা যে ভাবে মিলতো এখন তা সেভাবে মিলে না, এ সকল কিছু আপনাকে মানতে হবে জানতে হবে। আপনারা যারা আর্থিক ভাবে স্বচ্ছল নন, তেনারা আমাদের ওয়েবে প্রদত্ত স্বয়ংসিদ্ধ কিছু টোটকা রয়েছে সেগুলো সঠিক নিয়মে করে দেখতে পারেন প্রয়োজনে আমাদের সাহায্য নিয়ে করতে পারেন, কারন আপনি যখন নিজের কাজ নিজে করবেন সেখানে থাকবে আপনার গভীর ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ, যার জন্য করছেন তাকে পাওয়ার প্রচন্ড ইচ্ছে, বিশ্বাস, শ্রদ্ধা, বিণয় বিধায় কাজটি হলেও হতে পারে এবং হওয়ার সম্ভবনাই ৯০%, যেনারা সময়, শ্রম, প্রয়োজনীয় ইকুইপমেন্ট কালেক্ট করতে অপারগ, ধর্মিয় আচার বিধি নিশেধ থেকে সর্বদা দুরে রয়েছেন তারা নিজেরা করে তেমন ফল পবেন না। বিধায় আমাদের স্বরনাপন্ন হতে পারেন নতুবা অবশ্যই ভালো ভাবে দেখে শুনে কোন সৎ যোগ্য তান্ত্রিকের নিকট গিয়ে মনের আকুতি জানাবেন, তার যথাযথ সন্মানী প্রদান করবেন, তাহলে সে চাহে তো আপনার কাজটি অনায়েসে করে দিবে। আমরা চাইনা কেউ সারাটি জীবন তার প্রিয় হারানো বেদনা বুকে বয়ে নিয়ে বেড়াক, বা কোনও প্রতারকের ক্ষপ্পরে পরে সর্বশান্ত হয়ে আজীবন তান্ত্রিকতা ভুয়া, ভন্ডামী এসব কাজ হয় না, সব তান্ত্রিক ফেইক এসব বলে বেরাক। আমরা এ কারনে আপনাদের সাধ্য ও আকাঙ্খার বিচারে প্রয়োজনে সম্পূর্ণ ফ্রিতেও কাজ করে দিতে প্রস্তুত তবে মনের আগ্রহ বা সন্দেহ মেটাতে কাজ করতে প্রস্তুত নই।
আপনারা আমাদের এই বশীকরণ বিষয়ক পোষ্টটিতে কিঞ্চিৎ উপকৃত হলে আমাদের শ্রম সার্থক হবে বলে মনে করছি। সকলের মঙ্গল কামনা রইলো। তান্তিক গুরু আজিজ রহমান 01757786808

বশীকরন কাজল প্রয়োগঃ

পুরুষ বশীকরণে কাজলের প্রয়োগঃ
ভালোবাসা কাজল বা বশীকরণের কাজল মূলত কাউকে বশীকরণের জন্যই ব্যবহৃত হয়। এই কাজল সাধারণ না এটি অতি বিশিষ্ট বা প্রভাবশালী হয়। এই কাজলকে শুধুমাত্র বশীকণে বা সম্মোহনের জন্যই ব্যবহার করা হয়। সামান্য কারণের জন্য এর প্রয়োগ করা নিষেধ। এটি বানাবার নিয়মাবলী আমরা আপনাদের জানাবো। তবে একটি কথা মাথায় রাখা জরুরী যে গুরু ছাড়া এ সকল কাজ করে তেমন কোন ফল আশা করা অনর্থক।
সর্বপ্রথম কোন জায়গা থেকে খুঁজে এমন একটি বিড়াল আনতে হবে যার সারা দেহ কালো লোমে ঢাকা। এরুপ বিড়াল পেলে তার গোঁফ কেটে নিজের কাছে রাখতে হবে। এবার এই চুলগুলি তুলো সহ পাকিয়ে পলিতা তৈরী করে তা ঘি এর প্রদীপে দিতে হবে। মধ্যরাতের পরে ঐ প্রদীপকে একটি নিরিবিলি ঘরে নিয়ে গিয়ে নিজ প্রেমিক বা প্রেমিকার ঘরের দিকে মুখ করে প্রদীপটা রাখতে হবে এবং প্রদীপের পলিতায় আগুন দিতে হবে। এই প্রদীপের উপর কোনও বড় বা কাঁচ রেখে কাজল তৈরী করতে হবে। যতক্ষণ প্রদীপ জ্বলবে ততক্ষণ নিচের মন্ত্রটি জপ করতে থাকবে।
মন্ত্রঃ “কালী কালী মহাকালী, কালী চলে আঁধীরাত, কালী বসে আঁধীরাত, কালী লাবে মহাকালী উসে মেরী মুহব্বত মেঁ দীবানা বানায়ে।”
এই বিধিমেনে কাজলটি তৈরী করে নিজের চোখে লাগিয়ে আপনি যাকে ভালোবাসেন তার নিকট গেলে সে আপনাকে দেখলেই আপনার প্রতি তার ভালোবাসা সৃষ্টি হবে। মন্ত গুরু . আজিজ রহমান . খুলনা . খালিস পুর বাজার ফোন 01757786808

সর্ব জন বশীকরন সুরমা প্রয়োগ%


সর্ব বশীকরণ সুরমা প্রয়োগঃ

ইসলামি বশীকরণ তন্ত্রে “বশীকরণ সুরমা একটি মহত্বপূর্ণ স্থান দখল করেছে। এটা বললে অত্যুক্তি হবে না যে এই সুরমা বশীকরণের জন্য ব্রহ্মাস্ত্র। এটা কখনো নিষ্ফল হয়নি এবং হবেও না। এই সুরমার প্রয়োগ করে হাজার হাজার হতাশ প্রেমিক বা প্রেমিকা নবজীবন লাভ করেছে ও প্রেমে সফলতা পেয়েছে।
আপনিও যদি প্রেমে ব্যর্থ হয়ে থাকেন তবে বশীকরণের এই ব্রহ্মাস্ত্রকে ব্যবহার করে দেখতে পারেন। বশীকরণ সুরমা বনোনোর নিয়ম নিচে দেওয়া হলো। প্রথমে আপনার প্রেমিক বা প্রেমিকার দ্বারা ব্যবহৃত এক টুকরা কাপড়ের ব্যবস্থা করতে হবে। এবার কালো সুরমা নিয়ে ঐ কাপড়ে জড়িয়ে নিতে হবে। এবার করবী ফুল নিয়ে হামান দিস্তায় কুটে তার সাথে সুরমা দিয়ে একটা গোলা তৈরী করতে হবে। এই গোলাটা রোদে শুকিয়ে নিতে হবে। এবার দশ সের ঘুঁটে নিয়ে জ্বালিয়ে ঐ আগুনে ওটা পুড়িয়ে নিতে হবে। ঠান্ডা হলে ঐ গোলাটা বের করে নিয়ে এক সপ্তাহ ধরে ঐ গোলাটাকে খলনোড়াতে পিষে একটি অভমন্ত্রিত সুরমা তৈরী করে নিতে হবে। এই ভাবে “বশীকরণ সুরমা” তৈরী হবে। সকালে স্নান করে দুই চোখেই কাঠির সাহায্যে সুরমা লাগিয়ে আপনার প্রেমিক বা প্রেমিকার কাছে যাবেন। সে স্বয়ং সম্মোহিত হবে। মনে রাখতে হবে যে সুরমা লাগিয়ে প্রেমিক বা প্রেমিকার ঘরে যাবার সময় পথে কারও দিকে তাকাবেন না বা কাহারো সাথে কথা বলবেন না। যদি কারো দিকে তাকান তবে সে সম্মোহিত হয়ে আপনার পিছনে ধাওয়া করবে।
(কেন, কখন, কাকে, কোথায় ও কিভাবে করবেন যে কোন প্রয়োজনে কল. করুন 

রত্ন ‌‌মন্তু ও ‌কবযে ‌ভাগ্য ‌ফেরানো:


রত্ন মন্ত্র ও কবচে ভাগ্য ফেরানোঃ

রত্ন-মন্ত্র বর্ণনাঃ

রত্ন ব্যবহার হাজার হাজার বছর ধরে চলে আসছে। সভ্যতার আলোকে উদ্ভাসিত হয়েছে যখন যে সব দেশ, নিজেদের নব নব রুপে সাজানোর জন্য নরনারী তখন থেকে সোনা রুপার গহনার সঙ্গে রত্ন ধারণ করা শুরু করে। ইতিহাস পূর্বকালে আদিম নরনারী বিবস্ত্রাবস্থায় বসবাস করলেও, তারা তাদের নগ্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে নানা প্রকার উল্কি আঁকতো, আর কণ্ঠে, বাহুতে এবং কোমরে পরতো নান প্রকার জীবজস্তর হাড়, দাঁত প্রভৃতি। সঙ্গে ফলের বীজও ধারণ করতো। এবং দেহের উল্কি থেকে শুরু করে কণ্ঠাদির হাড় তারা দলের পুরোহিতদের দ্বারা মন্ত্রপূত করে নিতে ভুলতো না। কারণ সেই সভ্যতাবিহীন মানুষের দল তখন থেকেই মনে মনে দৃঢ় বিশ্বাস করতো- এইগুলি মন্ত্রের দ্বারা শুদ্ধ করে নিলে কোনো অপদেবতা, কোনো দুর্যোগ এবং কোনো বাধা বিপত্তি তাদের ক্ষতি সাধন করতে পারবে না। এমন কি তারা নিবিড় অরণ্যের মধ্যে নানা প্রকার সরু- মোটা লতা দেহে ব্যবহার করতো মন্ত্রশুদ্ধি করে। সে যুগের মানুষ তাদের ক্ষীণ বুদ্ধি দৃষ্টিতে জেনেছিলো, জন্মের মুহূর্ত থেকে তার জীবনে নানা কষ্ট ও বাধা প্রতীক্ষা করছে তাকে আঘাত হানবার জন্য। কিন্তু সেই বাঁধাগুলির হাত থেকে ত্রাণ পাবার জন্য সে নানা মন্ত্র শেখে ও নানা বস্তু ব্যবহার করে। আর দলের পুরোহিতের স্বল্পজ্ঞান তাদের জীবনকে সুন্দর করবার গোপন কথা হয়তো জেনেছিলো নিভৃতে নানা চিন্তার দ্বারা।
এই মানব-মানবী নানরকমের পাথরও দেহে পরতো।
তারপর বহুকাল পার হল। তাম্র প্রস্তর যুগের পর থেকেই মানবজাতি নানা দতপ্রকার কারুকার্য করা অলংকার ও তার সঙ্গে রত্ন ব্যবহার করে। এই ব্যবহার নিছক দেহ-সজ্জা নায়- সেই ফেলে আসা দিনের সরণী ধরে তাদের মনে প্রবেশ করেছিলো ভবিষ্যৎ জীবনের অজানা আতঙ্কের অবর্ত থেকে উদ্ধার পাবার প্রয়াশ। তাই তারাও পূর্বপুরুষদের প্রদত্ত মন্ত্রশুদ্ধিতে প্রাণবন্ত অলংকার ও রত্নের ব্যবহার রীতি ও নানা মন্ত্র এবং মূল ধারণ করার আগ্রহে অগ্রাহান্বিত হয়ে পড়ে।
বিশ্বের সুপ্রাচীন সভ্যতা সিন্ধুজনপদ সভ্যতার যুগে সেই মানব মানবী ব্যাপকভবে নানা ধাতুর অলংকার ও রত্ন ধারণ করতো; করতো নান দেব-দেবীর পূজা, নানা রকমের যন্ত্রের দ্বারা নিজেদের রক্ষা করবার চেষ্টা। তার সেঙ্গ এলো মানব জাতিকে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করবার জন্য দৈবের সাহায্য লাভের প্রচেষ্টা।সেটাই লিঙ্গদেববাদ অথবা লিঙ্গ-যোনির নিবিড় আরাধনা।যা সূর্য রশ্মির মতো ছড়িয়ে পড়লো মেসোপটেমিয়া, সুমেরীয়, কাবালা ও মিশরের বুকে। তখনো কিন্তু বহিরাগত আর্যদের কোন স্পন্দন ভারতের বুকে পড়েনি।
সিন্ধুজনপদ সভ্যতাকে যদি ঐতিহ্যমণ্ডিত সভ্যতার ঊষালগ্ন ধরা হয় তাহলে দেখবো সেখান থেকে জ্যোতিষ, তন্ত্র-মন্ত্র ও পূজার অরুণের হলুদ ঝরা দিন। কোথায় তখন বহিরাগত আর্যদের আসার আশা? মনে রাখতে হবে এবং আমি বার বার বলছি সিন্ধুজনপদ সভ্যতাই পৃথিবীর বুকে যে নতুন ও চিরন্তন প্রথার সূত্রপাত করলো তা হলো তন্ত্র ও মন্ত্রের পরিপূর্ণতা। আদিম মানুষ নগ্নদেহে বৃক্ষের রস দিয়ে যে সব উল্কি পরতো এবং দেহে জীবহাড় ও দাঁত পরতো তা কিন্তু তন্ত্রের উদয়লগ্ন। মারণ, উচাটন, বশীকরণ, শান্তি ও মিলনের প্রচেষ্টা তার মধ্যে ছিলো তাতে সন্দেহ নেই। সেই বস্তুকেই আরো কুলীন করলো সিন্ধুজনপদ সভ্যতা। এই সভ্যতার যে লিপি পাঠ এখনো উদ্ধার হয়নি তাতে এটা কিন্তু প্রমাণিত হয় না- তারা বহিরাগত আর্যদের চেয়ে অনর্বর চিন্তাশক্তি নিয়ে বাস করতো। তারা যে অট্টালিকা, যে উপাসনাগার, যে মাটির মূর্তি ব্রোঞ্জের মূর্তি ও অলংকার এবং যে সব প্রতীক ব্যবহার করতো বা তৈরি করতো তাতে তাদের চিন্তাশক্তির সূক্ষ্মাতাই বোঝায়। এবং তারা শিখেছিলো অতি গোপন বিদ্যা ও পূজা। তা হলো জ্যোতিষ ও তন্ত্র।
পাশ্চাত্য ঐতিহাসিকরা ভারত সম্পর্কে সর্বদাই ইতরবিশেষ কথা বলে চলেন। তাঁরা যতই প্রমাণ করবার চেষ্টা করেন বহিরাগত আর্যরাই ঋগ্বেদ রচনা করে ভারতের আদিম মানুষকে সভ্যতার আলোকের সামনে এনেছেন, ততই এই সব পণ্ডিতদের নয়ন সম্মুখে প্রতিভাত হয় সিন্ধুজনপদ সভ্যতা। তখন আমাদের মনে হয় এই সব প্রাচ্যবাদীরা ককত সংকীর্ণমনা ও কত নীচু জাতের নিন্দুকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন।
বেদ বহিরাগত আর্যদের সৃষ্টি হলেও তাদের উপর সিন্ধুজনপদ সভ্যতার প্রভাব অনেক পড়েছে। আমাদের মনে রাখতে হবে- বহিরাগত আর্যরা ছিলো পশুপালক ও কৃষিসভ্যমানব। তারা তখনো নগর সভ্যতাকে চিন্তা করতে পারেনি। আর অপরদিকে সিন্ধুজনপদ সভ্যতা একাধারে নগর জীবনের সঙ্গে কৃষিজীবন ও পশুপালকের জীবনের সমন্বয় সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছিল। তাই তারা জ্যেতিষ ও তন্ত্রকে এতোখানি প্রকাশ করতে পেরেছিলো।
বেদের আর্যরা অবশ্য ভাগ্যকে সুপ্রসন্ন করাবার জন্য উন্মুখ হয় কিন্তু এই বিদ্যা শিখেছিলো সিন্ধুজনপদ সভ্যতার কাছ থেকে।তারা অলংকার ও নানাবিধ রত্নও মন্ত্রপূত করে ব্যবহার করা শিখেছিলো। তাদের যে ভবিষ্যৎ বক্তা তারা বরতে ঋষি নাম পেলেও পশ্চিম এমিয়াতে এরা ছিলে Magi নামে পরিচিত।এই সম্প্রদায় নর-নারীর ভাগ্য বিচার করে অশুভ ভাবকে নষ্ট করবার জন্য রত্ন, ধাতু ও মন্ত্র দ্বারা শোধিত বস্তু ব্যবহার করতে দিতেন। এই জন্য তাঁরা ছিলেন সমাজে সবার পূজ্য।
এই সব তন্ত্রমন্ত্র এবং রত্ন ধারনের প্রচার বৈদিক যুগেও ছিলো। আমাদের মনে রাখা দরকার বেদের ক্রিয়াকাণ্ডই তন্ত্রের বাহক মাত্র। পার্থিব বস্তুকে সুন্দরভাবে লাভ করাই এই ক্রিয়াকাণ্ড। এই ক্রিয়াকাণ্ডেরে মন্ত্রলোতে আমরা দেখি-ইন্দ্র, বরুণ, রুদ্র প্রভৃতি দেবতার কাছে শত্রুবিনাশের জন্য অধিক শস্যের জন্য, ভূমির ও নারীর উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধির জন্য, ভাগ্যকে সুপ্রসন্ন করবার জন্য আকুল প্রার্থনা ও তার সঙ্গে সঙ্গে যজ্ঞে হবিঃ দোয়া এই দাও দাও মন্ত্রের মধ্যে তন্ত্রের হিরণ্যগর্ভ মত্যের দ্বারা আবৃত হয়ে আছে। বিভিন্ন রোগ থেকে উদ্ধারের জন্য নানা মণির ব্যবহার, নানা মন্ত্রের দ্বারা হোম করা ও কবচ ধারন প্রথা সুন্দর ও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে অথর্ববেদে। সেখানে জ্যোতিষ ও তন্ত্র নিজস্ব আসন লাভ করেছে। যেমন অথর্ববেদের দশম খণ্ডের প্রথম অণুবাকে দেখি- বরণ নামক মণির প্রশংসা, ধারণবিধি, সর্পবিষের মন্ত্র ও চিকিৎসা, শান্তি কর্মানুষ্ঠান, তৃতীয় ও চতুর্থ অণুবাকে দেখি শক্রনাশাদি কাজে নানারকম মন্ত্র ও মণি ধারণের বিধান; ঙ্কম্ভ নামক সনাতন দেবতার স্তুতি ও শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিপাদন, পঞ্চম অণুবাকে শতৌদন যজ্ঞের মন্ত্রাদি এবং দেবীরুপা গভীর স্তুতি। উক্ত বেদের একাদশ কাণ্ডের প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও পঞ্চম অনুবাকে আয়ুষ্কামনায় বিবিদ মন্ত্র, শত্রুজয়ের মন্ত্র ইত্যাদি। শুধু তাই নয়-অথর্ববেদে দেখি বন্ধ্যা নারীর পুত্র হবার উপায়, মন্ত্র, যজ্ঞ, মণি ধারণ, মহাশান্তিকর্ম, অভয় প্রার্থনা, শস্যগৃহের রক্ষা, কবচ, জঙ্গিড়মণি ধারণ প্রভৃতির মন্ত্র।
মহাভারতের যুগে জ্যোতিষ শাস্ত্রও তন্ত্র শাস্ত্র বিরাটভাবে উৎকর্ষতা লাভ করেছিলো।তা আমি এই গ্রন্থের মধ্যে আলোচনা করেছি।এখন আমি আপনাদের কাছে রত্ন ও মন্ত্রের গোপন কথার প্রথম পাঠ দেবার চেষ্টা করবো।তা হলো আমার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা, পুরাণ ইতিহাস ও তন্ত্র গ্রন্থ থেকে নেওয়া।
ব্যবহারযোগ্য রত্নাদির নামঃ
আমরা চুনী, চন্দকান্তমণি, প্রবাল, পান্না, পোখরাজ, হীরা, নীলা, গোমেদ ও বৈদুর্যমণি- রত্নকেই শ্রেষ্ঠ বলে জ্ঞান 

( পরী সাধনা)


পরী সাধনা

 অর্থ ধন-সম্পদ এবং প্রভাবশালী হওয়ার উপায়ঃ

সর্বাগ্যে আমাদের জানা প্রয়োজন পরী সাধনা কে করবে? কেন করবে? জগতে যতগুলো শক্তি সাধনা রয়েছে তার প্রতিটির’ই রয়েছে নির্দিষ্ট কিছু উদ্দেশ্য। আমরা আমাদের নিজ ব্যক্তি সাধনা সিদ্ধির জন্যই বিভিন্ন সাধনা করে থাকি। অনেক সাধনা রয়েছে অর্থ প্রাপ্তির জন্য, অনেক সাধনা সম্নান প্রতিপত্তির জন্য, অনেক সাধনা সাংসারিক জীবনে সুখ প্রাপ্তির জন্য। তেমনি পরী সাধনার রয়েছে নির্দিষ্ট কিছু উদ্দেশ্য। অনেক মেয়ে বা নারী আমাদের নিকট পরী সাধনা করার জন্য অভিপ্রায় ব্যক্ত করে থাকেন। কিন্তু বাস্তবিকে পরী সাধনা কোন মেয়েলি সাধনা নয়, কোন নারী এই সাধনায় বিন্দু পরিমান উপকৃত হবে বলে মনেও হয় না। পরী সাধনা মূলত পুরুষদের জন্য একটি সাধনা, এই সাধনার মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে অবিবাহীত পুরুষের আত্মিক ও যৌবিক চাহিদা পূর্ণ করা ও সেই সাথে আর্থিক অনটন থেকে মুক্তি, তবে কেউ যদি শুধু আর্থিক উন্নতীর জন্য এই সাধনা করেন তবেও সে নিশ্চিত বিফল হবে। কারন এখানে বিষয়টি এমন যে আপনি একটি বিত্তশালী মেয়েকে বিয়ে করলেন এতে করে আপনার যেমন একটি নারী সঙ্গ হলো সেই সাথে আপনার আর্থিক সহযোগিতা হলো কিন্তু যদি মেয়েটিকে বিয়ে না করেন তবে সে আপনাকে ভিক্ষাও দিবে কি না সেটি অনিশ্চিত!!! তেমনি পরী সাধনার ক্ষেত্রটিও এমনি। তবে এ যাবৎ পর্যন্ত যতগুলো শক্তি সাধনার সাথে আমরা পরিচিত হয়েছি, সাধনা বিধি দেখেছি, ক্লাইন্টদের সফলতার হার নিরিক্ষণ করেছি তাতে পরী সাধনার মত সহজ সরল কোন সাধনা জগতে নেই, স্বল্প সময়ের কম পরিশ্রমে এর চাইতে ভালো কোন সাধনাই জগতে নেই। তবে এখানে একটাই জটিল শর্ত হচ্ছে যে কোনও লুচ্চা প্রকৃতির, নারী দেহ লোভি, বিবাহিত পুরুষের দ্বারাও এ সাধনা সম্ভব নয়। এই সাধনায় ভয় ভিতির বা কোন শারীরিক ক্ষতির আশংকা নেই। আপনি যদি পরবর্তীতে বিয়ে করতে চান তবেও সমস্যা নেই তবে আপনি বিয়ে করলে বা অন্য নারীতে আশক্ত হলে এই সাধনা আপনা হতেই বিলিন হয়ে যাবে।
আমরা এ যাবৎকাল পর্যন্ত পরী সাধনার জন্য সর্বমোট তিনটি প্রকৃয়া বা নিয়ম সংগ্রহ করতে পেরেছি যার মধ্যে এশিয়া মহাদেশের পরিমন্ডলে দুটি নিয়মে সাধনাটি খুব সহজেই সফল হয়। আমরা আপনাদের সাথে পর্যায়ক্রমে এ দুটি নিয়ম নিয়েই আলোচনা করবো। তবে পূরনো কথাটি আবারও নুতন করে বলছি (কখনোই আপনি সিদ্ধগুরুর স্বার্নিধ্য ছাড়া একা কোন সাধনা করতে যাবেন না।)
মন্ত্রঃ ”বিসমিল্লাহী রাহিমান রাব্বে ইন্নি মঙ্গল ফান্তসির”
সাধনা বিধিঃ প্রথমেই গুরুর আর্শিবাদ প্রাপ্ত হয়ে তার অনুমতি সাপেক্ষে একটি শুভ সময় মন্ত্রটি নির্দিষ্ট সংখক বার জপ করে সিদ্ধ করে নিতে হবে। এবার আপনাকে এমন একটি গৃহ নির্বাচন করবেন যে ঘরে কোন মহিলার যাতায়াত নেই বা কোন নারী সেখানে প্রয়োজনেও যায় না। এবার আপনাকে আপনার পোশাক নির্বাচন করতে হবে, পরী সাধনার জন্য রেশমী বা পশমী কাপড়’ই উপযুক্ত, আপনি খুব রঙ্গিন অর্থাৎ ঝকমকে নতুন পোষাক পরিধান করবেন সেই সাথে মাথায় পাগড়ি বা বিয়ের সময় বর যে ধরনের টোপড় পরে তেমন নতুন সুন্দর টোপড় পড়তে পারেন। এবার চন্দ্রমাসের প্রথম রাত্রি হতেই ( সেদিন যদি বৃহষ্পতিবার হয় তবেই ভালো) একটি পাঠ বা মোটা কাপড়ের তৈরী সবুজ রঙ্গের আসন পেতে বসবেন। সামনে বড় মাপের তিনটি তিন রঙ্গা মোমবাতি জ্বালাবেন, ঘরে সুগন্ধি ছড়িয়ে দিবেন, নিজ শরীরেও সুগন্ধি ব্যবহার করবেন, প্রয়োজনে ঘরে কিছু টাটকা সুগন্ধি ফুলের ব্যবস্থা করে রাখতে পারেন, এবার একটি তামা বা পিতলের থালায় আমাদের নিকট হতে প্রাপ্ত নকশাটি কস্তুরি, মেশক, গোলাপ জ্বল দিয়ে সুন্দর করে আকঁবেন। সেটি আপনার সামনে স্থাপন করবেন। সমস্ত কাজগুলো রাত্রি ১২ টার পর করবেন। এবার খুব সুন্দর করে যে কোনও দরুদ শরীফ ১০০ বার তেলাওয়াত করে উক্ত মন্ত্রটি এমন ভাবে পড়বেন যেন আপনি নিজ কানে শুনতে পান। আপনার মন্ত্র জপ অন্তত্য ৩ ঘন্টা পর্যন্ত চলবে এরপর আপনি সেই অবস্থায় মোমবাতি নিভিয়ে সেই আসনেই ঘুমিয়ে পড়বেন। এভাবে পর পর কয়েকদিন করলেই ( সাধারনত ৩-৭ দিন সময় লাগে) পরী এসে আপনার সামনে হাজির হবে। সে আসলে প্রথমেই আপনাকে তার নাম জানতে হবে তার পরীবার সর্ম্পকে বিস্তারিত জানবে। তার থাকার জন্য বাসস্থানের ব্যবস্থা করে রাখবে। কারন সে আপনার সাথে সর্ম্প্যে করলে তার জামায়াত বা তার পরীবারের কাছে ফিরে যেতে পারবে না। এ জন্য আপনাকে আপনার বাড়ীতে বা বাস্থানের এমন একটি স্থান নির্বাচন করতে হবে যেখানে দিনের বেলাতেও অন্ধকারচ্ছন্য থাকে, সুর্যের আলো পৌছায় না। এবার তাকে আহ্বানের নিয়মটি যেনে নিবেন, নিয়ে আপনি তাকে আপনার মনের খায়েস জানাতে পারেন, এতে সে খুশি হয়ে সেদিন হতেই বা পরবর্তী দিন হতেই আপনার মনের আকাঙ্খা পূর্ণ করতে তৎপর হবে। মনে রাখবেন লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু। তাকে আপনার নিজ স্বার্থে ব্যবহার করতে পারবেন সত্য কিন্তু তাকে কখনো নিজের চাকর বা দাসী ভাববেন না। এ বিষয় আরও বিস্তারিত আলোচনা এই চ্যাপ্টারের কোন অংশে করা হবে ইনশা আল্লাহ। ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ

জ্বীন ‌সাধনা . ‌‌মুসলিম ‌সাধনা



জ্বীন সাধনা এবং ধন সম্পদ লাভের উত্তম উপায়ঃ

আজ আমরা যে সাধনা বিষয় আলোচনা করতে যাচ্ছি, এশিয়া তথা সারা মুসলিম জাহানের মুসলমানদের একমাত্র আকাঙ্খার সাধনা জ্বীন সাধনা নিয়ে। আমরা এ বিষয় কিঞ্চিৎ আলোচনা করা ও এরপর সাধনার বিধি প্রদান করার ইচ্ছে পোষন করছি।
আমাদের সমাজে লোক মুখে ও বিভিন্ন ভন্ড প্রতারক তথাকথিত জ্বীন সাধকদের দ্বারা ছড়ানো গুজব গুলোর পর্দা উত্তোলন করবো। যেনে রাখুন আমাদের দেশের তথা এশিয়া মহাদেশের গ্রাম গঞ্জে বা শহরাঞ্চলে অনেক জ্বীন বাবা, জ্বীন হুজুরদের সাক্ষাৎ পাই যারা নাকি জ্বীন চালান দিয়ে নানা বিধ কর্ম করে থাকে, জ্বীন দ্বারা হারানো মানুষকে খুজে দেয়, হারানো বস্তুকে খুজে দেয়। প্রেমিক প্রেমীকার মিলন ঘটায়, একজন সাধক অন্য কোন ব্যক্তিকে জ্বীন উপঢৌকন হিসেবে বা অর্থের বিনীময় দিয়ে থাকে। অনেকে জ্বীন দ্বারা কবিরাজী করে থাকে কার কি রোগ কার কি সমস্যা রোগী দেখেই বলে দেয়। আসলে এ সকল কিছুই সম্পূর্ণ ফেইক, ভুয়া, ভন্ডামী। তাহলে প্রশ্ন জাগতে পারে জ্বীন দিয়ে আপনি কি করবেন, বা জ্বীন সাধক রা জ্বীন দিয়ে কি করে। প্রথমত আপনাদের এ বিষয় অজ্ঞতার কারনেই তথাকথিত জ্বীন হুজুর বাবারা আপনাদের স্বরলতার সুযোগ নিয়ে এমন প্রতারনা করছে। বস্তুত কোন জ্বীন সাধক যদি অন্য কোন ব্যক্তিকে এই বিষয়টি জানায় যে সে জ্বীন সাধক, বা তার সাহার্যাথ্যে কোন জ্বীন রয়েছে তবে সেই সময় হতেই সে এই শক্তি হতে হতাষ হবে অর্থাৎ তার জ্বীন তার সঙ্গ পরিত্যাগ করবে। আর কখনো সে জ্বীন দ্বারা নিজের বা অন্যের উপকার করতে পারবে না।
জ্বীন একটি শক্তি যা মানুষ তার পরিশ্রম তথা সাধনা দ্বারা তাকে নিজের প্রতি আকৃষ্ট করে এবং তাকে তার প্রয়োজনে ডাকার শক্তি অর্জন করে। এখানে আমাদের জানা উচিৎ সকল সময় সে আমাদের চাইতে অধিক ক্ষমতাবান, আর যে জিনিস কে দেখা যায় না সে এমনিতেই ক্ষমতাবান। আর নিজের চাইতে ক্ষমতাশালী কাউকে দিয়ে অন্যের কাজ করানো বা দাসবৎ ব্যবহার করার কথা বা ইচ্ছে দুটোই গন্ড মুর্খদের হতে পারে, জ্ঞানির হবে না। জ্বীন সাধনা দ্বারা আপনি নিজের স্বার্থ হাছিল করতে পারেন, নিজের উপকার করতে পারেন। নিজ আর্থিক অনটন, কোন ব্যক্তিকে নিজের প্রতি আকৃষ্ট করা, কোন গুপ্তধনের খোজ করা, আধ্যাত্বিক বিষয় জানা এক কথায় আপনার প্রয়োজনে তাকে নির্দিধায় কাজ করাতে পারেন। তবে কখনই আপনি তাকে অন্যের কাজ করাতে ব্যবহার করাতে পারবেন না। আর সাধারন একটি বিষয় বুঝতে পারে না অনেকেই সে যদি কাউকে অর্থ সম্পদ দেওয়ার ইচ্ছে করে তা অনায়েসেই দিতে পারে যা তার দ্বারা সম্ভব, কেন সে তা না করে তাকে দিয়ে কবিরাজি করাবে ভাবুন। আসলে এটি একটি পুরোদস্তুর ভন্ডামী। আবারো বলছি বিশ্বে জ্বীন সাধক রয়েছে অগনিত তবে তা আপনার জানা ব্যক্তিগুলো কখনই নয়, যারা সমাজে প্রতিষ্ঠিত, সফল তেনাদের মধ্যেই রয়েছে অনেকে যাদের দেখে হয়তো আপনি ভাবতেও পারবেন না তিনি জ্বীন সাধক। আমরা এ বিষয় আমাদের অন্য পোষ্টে বিস্তারিত আলোচনা করবো। আজ এই সাধনা করার কয়েকটি প্রচলিত নিয়মের মধ্যে একটি সহজ নিয়ম আপনাদের সামনে উপস্থিত করছি। মনে রাখতে হবে, জ্বীন সাধনা অবশ্যই একটি কঠিন সাধনা, এর চাইতেও বড় বিষয় হচ্ছে সম্পূর্ণ বিধি বিধান মেনে তাকে সারা জীবন নিজের নিয়ন্ত্রনে রাখা, কারন এই উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্য শক্তি আপনার একটু আচার বিধি পালনে সমস্যা হলেই আপনাকে ছেড়ে চলে যেতে পারে বা আপনার সমুহ ক্ষতিও করতে পারে। জ্বীন সাধকের অনেক সাধক সুধু বিধি বিধান না মেনে সাধনা করতে গিয়েই মৃত্যু মুখে পতিত হয়েছে। আপনি যদি একজন সিদ্ধ পুরুষের স্বার্নিদ্ধে এই সাধনা করেন তবে অনায়েসেই সাধনায় সফল হয়ে সারাটি জীবন, ভৌতিক-পার্থিব সকল ইচ্ছের পূর্নতা ও সুখ বয়ে আনতে পারবেন।
জ্বীন সাধনার দোওয়াঃ  বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম। আ’যামতু আ’লাকুম ইয়া মা’শারাল্ জিন্নি ওয়াল ইনসি রবতান রবতান, মাহলান মাহলান, নাশরান নাশরান, মাহশারান মাহশারান, বিহাক্কি সুলাইমানা পয়গামবারাইনি দাউদা আ’লাইহমাস সালামা হাজির শাও, হাজির শাও, হাজির শাও।
নিয়মঃ জ্বীন হাজির করতে অবশ্যই চন্দ্রমাসের প্রথম শুভদিন দেখে শুরু করতে হবে, অবশ্যই যদি চন্দ্রমাসের শুরুর দিনটি বৃহষ্পতিবার হয় তবে সেটি সবচাইতে ভালো দিন। সাধনার জন্য একটি নির্জন পাক পবিত্র ঘর নির্বাচন করতে হবে। ঘরটি উত্তর মুখি বা পূর্বমুখি হলে ভালো, পর্যাপ্ত আলো বাতাস ঘরে আসা যাওয়া করতে পারে এমন হলেই শ্রেয়। ঘর সকল সময় সুগন্ধি যুক্ত রাখতে হবে। এমন স্থানে ঘর নিতে হবে যেনো সেখানে অন্যমানুষদের কোলহ আওয়াজ শব্দ মুক্ত থাকে। গুরুর নির্দেশনা অনুযায়ী একটি শুভ মুর্হুত দেখে উপরক্ত দোওয়াটি মুখস্ত করতে হবে সেই সাথে নিচের দেওয়া নকশাটি গোলাপ জ্বল, মেশক, কস্তুরী সহযোগে কোন নতুন সাদা কাপড়ের টুকরায় লিখিতে হইবে।অন্তত্য ১৪ টি নকশা কোন শুভ মুহুর্তে লিখে সঙ্গে রাখিবে। নিজের শরীরে সকল সময় সুগন্ধি ব্যবহার করিবে। সেলাই বিহীন নতুন সাদা বা এক রঙ্গা পশমী কাপড় পোষাক হিসেবে ব্যবহার করিবে, মাথায় পাগড়ী বা বড় টুপি ব্যবহার করিবে, নিজ আসন অবশ্যই পশ্চিম মুখি করবে। একটি পাট বা পশমী বা চামরার তৈরী আসন ব্যবহার করবে, দোওয়া জপ করার জন্য মুক্তার তৈরী তসবি বা কাঠের তসবী ব্যবহার করিবে। এবার চন্দ্রমাসের প্রথম বৃহষ্পতিবার অর্ধরাত্রিতে নিজ আসনে পশ্চিমমুখে বসে, সামনে তিনটি মোমবাতি জ্বালাইবে কোন সুগন্ধি তৈল, প্রদিপ ও দিয়াশালাই সঙ্গে রাখিবে। গুরু প্রদত্ত নির্ধারিত দরুদ ১১ বার পাঠ করে উপরক্ত দোওয়াটি এগারশত বার পাঠ করিবে এবং পরবর্তীতে পূনরায় দরুদ ১১ বার পাঠ করিবে। এবার সেই স্থানে বসেই উপরক্ত নকশাটির একটি সলিতা বানাইয়া সেই মাটির প্রদিপে তৈল দিয়ে জ্বালাইয়া দিবে। প্রদিপ জ্বলিতে থাকিবে, সেই স্থানের পার্শ্বেই মাটিতে বিছানা করিয়া কাহারো সাথে কথা না বলিয়া দরুদ পড়িতে পড়িতে শুইয়া পড়িবে। এভাবে একাধারে এই সাধনা চলিতে থাকিবে। ‍যেদিন তুমি নিজের শরীরে ভার অনুভব করিবে, বা হটাৎ মোমবাতি নিভিয়া যাইবে বা সামনে কেউ উপস্থিত হইবে। তাহাকে দেখিয়া ভিত না হইয়া তাকে স্ব-সন্মানে সালাম প্রদান করিবে, তার নাম জিজ্ঞাসা করিবে। তাকে তোমার সাথে থাকিয়া তোমার প্রতিটি কাজে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ জানাইবে। তাকে পরবর্তীতে ডাকিবার জন্য বিধি জানিয়া লইবে। এবং তার দিকে কিছু কস্তুরী আতর বা গোলাপ জ্বল ছিটাইয়া তাকে বিদায় জানাইবে। এরপর হইতে নিজের প্রয়োজনে তাকে স্বরন করা মাত্র তার ‍উপস্থিতী অনুভব করিবে  জ্বীন সাধনার নকসা টি এই ..যে কোন সমসায় কল করুন 01978142 102

এ্যাটক ‌‌স‌াধনা


.‌ত্রাটক সাধনাঃ
জীবনের চলার পথে আমাদের সকলেরই রয়েছে
হাজারো স্বপ্নপূরনের লক্ষ্য, কিছু আশা, কিছু চাওয়া
ইত্যাদি কারন মানুষের জীবনের শুরুই হয় বিভিন্ন
চাহীদা দিয়ে। আমরা কেউ’ই সকল চাহীদা পূরনে
সমর্থ নই। আমাদের চাওয়ারও কোন শেষ নেই।। তবে
সমাজে কিছু কিছু মানুষ আছে যাদের আকাঙ্খার
চাইতে পাওয়াটা অনেক বেশি আবার কেউ কেউ না
চাইতেই অনেক কিছু পেয়ে যায় আবার কারও হয়তো
অধিকাংশ চাওয়াই পূর্ন হয়ে যায়, কিন্তু এমন মানুষের
সংখ্যা খুবই নগন্য। আমরা অনেকেই হয়তো বিশ্বাষ
করবো না যে এই বিংশ শতাব্দিতেও আমাদের
চারপাসে প্রতি ১০ জন সফল মানুষের বিষয়ে যদি
ভালো ভাবে খোজ খবর নেওয়া হয় তবে আমরা
জানতে পারবো তাদের ৭-৮ জনই কোন না কোন পীরের
মুরীদ, কোন তান্ত্রিক গুরুর শিশ্য, কোন সুফির খাদেম,
কোন দেবতার সাধক বা কোন শক্তির আর্শিবাদ
প্রাপ্ত। যা সাধারনত অত্যন্ত গোপন বিষয়।
আমরা আজ যে বিষয়ের উপর আলকপাত করবো তা
হলো “ত্রাটক” !!! আসলে এই “ত্রাটক” বিষয়টি কি,
আমরা এখানে ত্রাটক বলতে এমন এক সাধনাকে
বোঝাচ্ছি যা মানুষের তৃত্বিয় নেত্রের সাথে জরিত,
যা মানুষের ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়ের সাথে সংপৃক্ত। আধুনা
বিজ্ঞানের যুগে আমরা সকলেই হয়তো মেডিটেশন,
যোগ ব্যয়াম ইত্যাদি সর্ম্পকে বেশ ভালোই জানি, এই
“ত্রাটক” হচ্ছে এই গুলোরেই গুরু সমতূল্য। কারন এই একটি
মাত্র সাধনা দ্বারা ব্যক্তি তার অসম্পূর্ণ
স্বপ্নগুলোকে বাস্তবে রুপদিতে পারে। একটি বিষয়
মনে রাখতে হবে, কেউ বড় হয়ে জন্মায় না, প্রতিটি
মানুষ তার কর্ম সেই সাথে কর্মের সূযোগ্য সুবিধা
সমৃদ্ধ সুযোগের মাধ্যমেই উপরে উঠে বড় হয়.  ‌আর ‌ ‌এই এাটক ই হলো এক মর্ত পথ 
ষা মাধমে আপনার জীবনের সকল চওয়া  পাওয়া  পুরন করতে পারেন 
আপনি কি‌ ‌চান বা চান ‌‌না সবই করতে ‌পারবেন ..আপনি চাইলে কারো ভালো হবে . বা কারো ক্ষতি সাধন দুই 
করতে পারবেন . এই‌ এাটকের জে কি ক্ষমতা তা বলে সেস করা সম্ভব না পরে আরেক টি পোষ্টে আলোচনা
করব ‌. তান্তিক গুরু আজিজ রহমান ‌‌‌.‌ যে কোন সমদ্যা কল করুন. ‌‌যে কোন দেশ বা জেলা থেকে .ইমু 0157786808/

ব্ল্যাক ‌ম্যাজিক ‌র‌হস্য



ব্ল্যাক ম্যাজিক রহস্য
সভ্যতার আদি থেকেই জাদুবিদ্যা আর জাদুকর বিষয়ে মানুষের প্রচণ্ড রকম আগ্রহ। জাদুবিদ্যা মূলত অতীন্দ্রিয় আর প্রাকৃতিক শক্তিকে বশ করার বিদ্যা! ইংরেজি ‘ম্যাজিক’ শব্দের উদ্ভব হয়েছে ফারসি শব্দ মাজি থেকে! মাজিরা যে সব ক্রিয়া-কর্ম পালন করত, গ্রিকরা সেসবকে ম্যাজিক বলে অভিহিত করতেন! আর ম্যাজিকের সঙ্গে আত্মা বা ভূতের বিষয়টি চলে আসে অনিবার্যভাবে। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী ভূত হলো এমন এক জিনিস, যা মৃত ব্যক্তির আত্মা। আর তা জীবিত ব্যক্তির সামনে দৃশ্য আকার ধারণ বা অন্য কোনো উপায়ে আত্মপ্রকাশ করতে সক্ষম। ভৌতিক অভিজ্ঞতায় ভূতকে নানাভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। কখনো অদৃশ্য বা অস্বচ্ছ বায়বীয় আবার কখনোবা বাস্তবসম্মত সপ্রাণ মানুষ বা জীবের আকারে। আর এসব ভূত বা প্রেতাত্মার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে ভবিষ্যদ্বাণী বা কোনো কাজ করার বিদ্যাকে ব্ল্যাক ম্যাজিক, নেক্রোম্যান্সি বা কালো জাদু বলে। অন্যদিকে এক ধরনের বিশেষ ব্ল্যাক ম্যাজিক হচ্ছে ভুডু। ভুডুবিদ্যার সাহায্যে নাকি কবরের লাশ জ্যান্ত করে তাকে গোলামের মতো খাটানো যায়। অন্যদিকে শামানের কাজও মৃত মানুষের আত্মা নিয়ে। তবে ভুডুর সঙ্গে শামানদের পার্থক্য— এরা মন্দ আত্মার বিরুদ্ধে লড়াই করে। মন্দ আত্মাকে কাজে লাগায়। বিদেশি সিনেমায় এমনকি ভারতীয় সিরিয়ালে প্রায়ই দেখা যায়, একজন দুষ্ট ব্যক্তি একটি পুতুলের গায়ে সুচ ফুটিয়ে আরেক জায়গায় এক ব্যক্তিকে হত্যা করছে কিংবা অন্য কোনো উপায়ে ক্ষতি করার চেষ্টা করছে। বাংলায় একে ফুঁক দেওয়া, কবজ করা অথবা বাণ মারা বলে। এ ধরনের ঘটনা যারা ঘটায় তাদের ওঝা বলে। আর এ প্রক্রিয়াটিই বিশ্বব্যাপী ব্ল্যাক ম্যাজিক বা কালো জাদু নামে পরিচিত। খ্রিস্টধর্ম প্রবর্তনেরও আগের কথা। বহুকাল আগে পাশ্চাত্যে বিভিন্ন গোত্রের মধ্যে নির্দিষ্ট কোনো ধর্মের প্রচলন ছিল না। তবে তাদের মধ্যে অদ্ভুত কিছু বিশ্বাস ও কর্মকাণ্ডের চর্চা ছিল। এরা এক একটি গোত্র বিভিন্ন কাল্পনিক ভূত-প্রেত বা অশুভ আত্মার আরাধনা করত। যা আফ্রিকান ব্ল্যাক ম্যাজিক বা কালো জাদু নামে পরিচিত। এমনকি এখনো এ বিদ্যার গোপন অনুসারীরা তাদের এ বিদ্যা দিয়ে মানুষের ক্ষতি করে আসছে। এ বিদ্যায় পারদর্শীদের ডাকি বা ওঝা বলে আর আফ্রিকান ভাষায় এদের বলে কিনডকি।
👺আত্মাসংক্রান্ত ধারণা থেকেই উদ্ভব
পৃথিবীতে ধর্মের আবির্ভাবের আগেও মানুষের মধ্যে আধ্যাত্মিক চর্চা ছিল। আবার ধর্মের আবির্ভাবের পরও এই চর্চা অব্যাহত ছিল। বহুকাল আগে পাশ্চাত্যের ধর্মহীন গোত্রের মধ্যে অদ্ভুত কিছু বিশ্বাস ও কর্মকাণ্ডের চর্চা ছিল। এরা এক একটি গোত্র বিভিন্ন কাল্পনিক ভূত-প্রেত বা অশুভ আত্মার আরাধনা করত। আর নিজেদের প্রয়োজনে এই আত্মাকে ব্যবহার করত। এই বিশ্বাসের চর্চা মূলত ছিল আফ্রিকানদের মধ্যে। আর তাই বিশ্বজুড়ে এটি আফ্রিকান ব্ল্যাক ম্যাজিক বা কালো জাদু নামে পরিচিত। এমনকি এখনো এ বিদ্যার গোপন অনুসারীরা তাদের এই চর্চা চালিয়ে যাচ্ছে।
মূলত প্রাক-শিক্ষিত সংস্কৃতির সর্বপ্রাণবাদ ও পূর্বপুরুষ পূজার মধ্যে ভূত বা আত্মাসংক্রান্ত ধ্যান-ধারণার প্রথম বিবরণ পাওয়া যায়। সে যুগে কিছু নির্দিষ্ট ধর্মীয় প্রথা, অন্ত্যেষ্টি সংস্কার, ভূত তাড়ানো অনুষ্ঠান ও জাদু অনুষ্ঠান আয়োজিত হতো। আর এসব আয়োজনের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল মৃত আত্মার সন্তুষ্টি আনয়ন। মূলত আত্মাসংক্রান্ত সেই ধ্যান-ধারণা থেকেই ব্ল্যাক ম্যাজিক বা কালো জাদুর বিবর্তন।

👹রোজাদের দাপুটে প্রথা
আদিম সমাজে ওইভাবে ধর্মের চর্চা না থাকলেও যেসব লোক আধ্যাত্মিক চর্চা করতেন, তাদের আলাদা দাপট ছিল। সাধারণ মানুষ এদের প্রচণ্ড রকম ভয়ের চোখে দেখতেন। আদিম সমাজের এমনই এক ধরনের মানুষ ছিল যাদের উইচ-ডক্টর বা রোজা নামে ডাকা হতো। এরা এমন ব্যক্তি ছিলেন যারা ব্ল্যাক ম্যাজিক জানতেন। অতীন্দ্রিয় শক্তির বলে প্রেতাত্মাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারতেন। আর প্রেতাত্মাদের দিয়ে সম্ভব-অসম্ভব যে কোনো কাজ করে ফেলতে পারতেন খুব সহজেই। সে কারণে ওই সময় রোজারা একাধারে চিকিৎসক, জাদুকর এবং পুরোহিতের ভূমিকা পালন করতেন। বর্তমানকালেও আদিম-সামাজিক ব্যবস্থায় বসবাসকারীদের মধ্যে উইচ-ডক্টর বা রোজাদের প্রভাব দেখা যায়। আদিম জাতিদের মধ্যে রোজাদের খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হতো।
রোজারা তাদের ডাকিনীবিদ্যা খাটিয়ে আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিতে পারত। চোর বা হত্যাকারী ধরা ও শাস্তি প্রদানে রোজাদের অপরিহার্য ভূমিকা ছিল। এ ছাড়াও তারা জাদুবিদ্যার সাহায্যে রোগ নির্ণয় এবং এর প্রতিকার করতেন। তারা তাদের শিশুদের রোগাক্রান্ত করতে পারতেন এবং মানুষের মৃত্যুও ঘটাতে পারতেন। মানুষের মৃত্যু ঘটানোর জন্য তারা নানা ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করতেন। কখনো মানুষের একটি ছোট আকৃতির পুতুল তৈরি করে তাতে পিন বিদ্ধ করতেন। আবার কখনো কোনো লোকের চুল বা নখের টুকরো সংগ্রহ করে তা মাটিতে পুঁতে রাখতেন। এগুলো যখন আস্তে আস্তে শুকিয়ে যেত মানুষটিও ক্রমেই মৃত্যুমুখে পতিত হতো। রোজারা প্রায়ই রোগের চিকিৎসার জন্য গাছ-গাছড়া, লতাপাতা ব্যবহার এবং রোগের সংক্রমণ দূর করার জন্য জল ব্যবহার করত। কখনো তারা জাদুকরী পাথরসহ জল ছিটিয়ে দিত।
তারা জাদুকরী গান, প্রার্থনা এবং আশ্চর্য ভঙ্গিমায় নৃত্য করত। এর উদ্দেশ্য ছিল সাধারণ মানুষের মনকে প্রভাবিত করা। রোজারা সব সময় রঙিন পোশাক পরত, মুখোশ ধারণ এবং মুখমণ্ডল চিত্রিত করত। কেউ কেউ পশুর চামড়াও পরিধান করত। বস্তুত মানুষকে সম্মোহিত করত। আর লোকজন বিশ্বাস করতে বাধ্য হতো যে তাদের সৌভাগ্যের জন্য রোজারাই দায়ী।
👺 ভুডু বনাম শামান
ভুডু (Voodoo) হচ্ছে এক ধরনের ব্ল্যাক ম্যাজিক বা ডাকিনীবিদ্যা। শোনা যায়, ভুডুবিদ্যার সাহায্যে নাকি কবরের লাশ জ্যান্ত করে তাকে গোলামের মতো খাটানো যায়। শামানের কাজও মৃত মানুষের আত্মা নিয়ে। তবে ভুডুর সঙ্গে শামানদের পার্থক্য হলো— এরা মন্দ আত্মার বিরুদ্ধে লড়াই করে। মন্দ আত্মাকে কাজে লাগায়। ভুডু এক ধরনের অপবিদ্যা। যারা ভুডুবিদ্যা জানে, তারা নাকি ইচ্ছা করলেই যাকে খুশি তার ক্ষতি করতে পারে। তাই এ বিদ্যায় পারদর্শীদের অনেকেই এড়িয়ে চলেন।
তবে শামান সব সময় ন্যায়ের পক্ষে কাজ করে। শামানকে কেউ বলে জাদুকর, কেউ কবিরাজ। শামান কথাটি এসেছে সাইবেরিয়ার তুঙ্গুস ভাষী মেষ পালকদের কাছ থেকে। অষ্টাদশ শতাব্দীর ভ্রমণকারীরা প্রথম শামানদের ব্যাপারে বিশ্ববাসীকে অবহিত করে। জানা যায়, শামানরা এমন ধরনের মানুষ যাদের রয়েছে অবিশ্বাস্য শক্তি। মৃত ব্যক্তির আত্মার কাছ থেকে জ্ঞান সংগ্রহ করে তারা। ইচ্ছা করলেই নাকি নশ্বর দেহ ত্যাগ করে স্বর্গ বা নরকে স্বচ্ছন্দে প্রবেশ করতে পারে। শামানদের প্রধান বাসস্থান এক সময় সাইবেরিয়া হলেও সোভিয়েতদের অত্যাচারে তারা দেশ ত্যাগে বাধ্য হয়। তারা ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বের নানা জায়গায়। শামান বর্তমানে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে উত্তর আমেরিকা এবং পশ্চিম ইউরোপের শহরাঞ্চলেও। শামানরা তাদের নানা সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড প্রদর্শনের জন্য ভ্রমণ করছে চিলির সান্তিয়াগো থেকে শুরু করে কোরিয়ার সিউল পর্যন্ত। যদিও অনেক দেশের সরকার শামানিক চর্চাকে অবৈধ এবং বিপজ্জনক বলে বর্ণনা করেছে। কিন্তু রোমান্টিক মানুষের কাছে শামান হলো ধর্মীয় অভিজ্ঞতা লাভের গাইড। আর জাতীয়তাবাদীরা শামানকে মনে করে প্রাচীন সাংস্কৃতিক জ্ঞানের বাহক।
👺শামানদের ইতিবৃত্ত
শামানদের মতে, আমাদের চারপাশে যত উপাদান রয়েছে সব কিছুর মাঝে আছে আত্মার অস্তিত্ব। ‘ভুডু’ কথার অর্থও ‘আত্মা’। এই শব্দটির উৎপত্তি ফন জাতির কাছ থেকে। এরা ইউয়ি সম্প্রদায়ের আত্মীয়। ভুডু চর্চার উৎপত্তি হাইতিতে। তবে আফ্রিকায় এর চর্চা ব্যাপক। ব্রাজিল, জ্যামাইকাতেও কিন্তু কম ভুডু চর্চা হয় না। তবে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন নাম। যেমন, হাইতিতে বলা হয় ভুডু, ব্রাজিলে ক্যানডোমবল, জ্যামাইকাতে ওবিয়াহ ইত্যাদি। পশ্চিম আফ্রিকার মানুষ সবচেয়ে বেশি বিশ্বাস করে ভুডুতে সেখানকার কমপক্ষে ২৫ লাখ মানুষ এ বিদ্যার অনুরাগী। এ চর্চা সবচেয়ে বেশি হয় আফ্রিকার ঘানায়। ঘানার ককুজানের অধিবাসীরা এ বিদ্যাটির সাংঘাতিক অনুরাগী। এরা অসুখ-বিসুখে সরকারি হাসপাতালের ডাক্তারদের কাছে যাওয়ার চেয়ে ভুডু চিকিৎসকদের ওপর অনেক বেশি ভরসা করে।
শামানরাও তাই। আত্মার ওপর এদের বিশ্বাস গভীর। এদের ধারণা, আত্মা তাদের সব বিপদ থেকে রক্ষা করবে। বংশপরম্পরায় এ বিশ্বাস চলে আসছে তাদের মাঝে। আফ্রিকায় যারা ভুডু চর্চা করে তারাও কিন্তু বংশানুক্রমে এ কাজ করে আসছে। আফ্রিকান বাবা-মা তাদের সন্তানদের এ বিদ্যা চর্চায় উৎসাহ জোগায়। প্রতিদিনই সকালে পূজারিরা স্থানীয় দেবতাদের উদ্দেশে নৈর্বেদ্য অর্পণ করে তারপর নিজের কাজে বের হয়। শামানরা শুধু বিশ্বাস করে আত্মায়। তাদের কোনো দেবতা নেই। তবে ভুডু শুধু বিশ্বাস করে আত্মায়। তাদের কোনো দেবতা নেই। তবে ভুডু অনুসারীদের বিভিন্ন দেবতা আছে। যেমন ফ্লিমানি কোকু হলো রোগ মুক্তির দেবতা, হেভিও সো হলো, বিদ্যুৎ এবং ব্রজের দেবতা, মেমি ওয়াটা ধন-সম্পদের দেবী ইত্যাদি। দেবতার ওপর তাদের এত বিশ্বাস যে, তারা মনে করে আগুন তাদের ক্ষতি করতে পারে না। ছুরি দিয়ে পেট কাটলেও তারা ব্যথা পায় না। তারা বলে, দেবতারা তাদের সব বিপদ থেকে রক্ষা করে।
শামানরাও বলে আত্মা তাদের সব রোগ মুক্তির পথ বাতলে দেয়। যারা এ সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী, তারা বলে শামানদের রয়েছে অলৌকিক ক্ষমতা। এরা আত্মার শক্তিতে বলীয়ান হয়ে স্বাস্থ্য, খাদ্য, উর্বরতা বিষয়ক সব সমস্যারও সমাধান করে দিতে পারে। শামানদের ব্যাপ্তি সাইবেরিয়া থেকে ল্যাপল্যান্ড, বিব্বত, মঙ্গোলিয়া, উত্তর এবং দক্ষিণ আমেরিকা (বিশেষ করে আমাজন এলাকায়) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, এমনকি ভারতেও বিস্তৃত। পূর্ব ভারতে সোরা নামে এক উপজাতি আছে, জঙ্গলে বাস করে। এরাও শামান সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী। সোরা উপজাতির লোকেরা মৃতের সঙ্গে কথা বলে। এখানে শামানের ভূমিকা সাধারণত পালন করে মহিলারা। তারা দুই ভুবন অর্থাৎ পৃথিবী ও স্বর্গের মাঝে সমন্বয় সাধন করে বলে শামান অনুসারীদের বিশ্বাস। মহিলা শামানকে কবর দেওয়া হয়। এরপর তার আত্মা চলে যায় অন্য ভুবনে। সেখানে মৃত ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে সে। লোকে মহিলাকে কথা বলতে দেখে। সোরাদের মতে, মৃত্যু মানে কারও অস্তিত্বের ধ্বংস নয়। মৃত্যু তাদের কাছে নতুন আরেক জীবন মাত্র। মৃত্যুর পরেও আত্মা যথেষ্ট শক্তিশালী থাকে, তাদের আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলে— এমনটিই বিশ্বাস সোরা উপজাতির।
👺শয়তানের প্রতীক
ব্ল্যাক ম্যাজিকের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো প্রতীক ও সংকেতচিহ্নের ব্যবহার। অনিষ্টকারী শয়তানের প্রতীককে ব্ল্যাক ম্যাজিশিয়ানরা কাজে লাগিয়ে এসেছেন যুগ যুগ ধরে। শয়তানের প্রতীক হিসেবে বিভিন্ন সভ্যতার মানুষের বিশ্বাস ছিল সেটি হচ্ছে— শিং। ব্ল্যাক ম্যাজিক চর্চায় শিং তাই অপরিহার্য। এক সময়ের বিখ্যাত জাদুকর ছিলেন জোহান রোসা। তার একটা মন্ত্রপুত আংটি ছিল। যেটায় একটা প্রেতাত্মাকে তিনি আটকে রেখে ছিলেন আর এটাকে দিয়ে সব কাজ করাতেন। তার মৃত্যুর পরে প্রকাশ্য জনসভায় আংটিটা হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ভেঙে ফেলা হয়েছিল। গর্ভবতী নারীদের প্রসব বন্ধ করা থেকে শুরু করে যৌনাকাঙ্ক্ষা চিরতার্থ করার মতো বীভৎস সব জাদু বিধানের চর্চা হতো তখন। এ সময়ে বিশ্বাস করা হতো বশীকরণের মাধ্যমে মানুষকে দাস বানিয়ে রাখা যায়। যে কোনো বিপজ্জনক কাজে যাওয়ার আগে ‘প্রয়োজনীয় মন্ত্রপুত জামা’ পরে যাওয়ার রীতি ছিল, কুমারী মেয়ের বড় দিনের এক সপ্তাহ ধরে এই ধরনের জামা ঘরে বুনত। ‘বান’ ছেঁড়ার কথা বাংলাদেশে অপরিচিত নয়, মধ্যযুগের এই (Magical Arrow) ধারণাটার ব্যাপক প্রচার ছিল। বিশ্বাস করা হতো এভাবে মানুষের ক্ষতি করা সম্ভব! মধ্যযুগে রেনেসাঁর আলো যতই ছড়াক না কেন, ব্ল্যাক ম্যাজিশিয়ানদের হাত থেকে কেউই রক্ষা পায়নি।
👺জাদুবিদ্যার নানান প্রকার
জাদুবিদ্যার প্রচলন সব সময়ই কৌতূহলজনক। সেজন্য বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সমাজবিদ- নৃতাত্ত্বিকরা সমাজে প্রচলিত জাদু বিধানগুলো পর্যালোচনা করে এর শ্রেণি বিভাগ করার চেষ্টা করেছেন। যেমন স্যার জেমস জর্জ ফ্রেজারের মতে জাদুবিদ্যার বিধানগুলো প্রধানত দুই রকমের হোমিওপ্যাথিক এবং কনটেজিয়াস ম্যাজিক।
হোমিওপ্যাথিক ম্যাজিক সব সময়ই শত্রু ধ্বংসের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়। এক্ষেত্রে শত্রুর প্রতিমূর্তি [মোম, মাটি, কাঠ, কাপড়] বা ছবি ইত্যাদি তৈরি করে পুড়িয়ে বা ছুরি দিয়ে কেটে ধ্বংস করা হয়। ধারণা এই যে, মূর্তিটা যে যন্ত্রণা পাচ্ছে, শত্রুও তেমন যন্ত্রণা বা আঘাত পাচ্ছে। এটাকে ব্ল্যাক ম্যাজিক বলে। তবে এই জাদু আবার অনেক সময় মানুষের উপকার বা ভালোর জন্যও ব্যবহার করা হয়। যেমন ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপে এমন একটা জাদু বিধান আছে, কোনো নারীর সন্তান হচ্ছে না, তখন একটা কাঠের ছোট শিশু বানিয়ে নিঃসন্তান রমণীটির কোলে বসিয়ে আদর করে। এর ফলে তার সন্তান হবে এমন ভাবা হয়। কখনো কখনো রোগের চিকিৎসার জন্যও এই ধরনের জাদুর প্রয়োগ দেখা যায়। অন্যদিকে কনটেজিয়াস ম্যাজিক হচ্ছে মানুষের শরীরের বিভিন্ন অংশ বিশেষ যেমন চুল, নখ, থুথু বা পরিধেয় বস্ত্রের মাধ্যমে জাদু করে মানুষের ক্ষতি বা উপকার করা। এক্ষেত্রে শত্রুর আঙ্গুলের নখ, চুল, ভ্রু, থুথু -এসব সংগ্রহ করে মোমের সাহায্যে শত্রুর একটা অবিকল প্রতিরূপ তৈরি করা হয়। প্রতিমূর্তিটি ছয় দিন ধরে মোমের তাপে ঝলসাতে হবে এবং সাত দিনের দিন মূর্তিটি পুড়িয়ে ফেললে শত্রুর মৃত্যু হবে! জাদুবিদ্যার ধরন আর প্রকারভেদ নিয়ে অনেকে অনেক মত দিয়েছেন, তাদের সব মতবাদ একসঙ্গে করলে বলা যায় জাদুবিদ্যা প্রধানত তিন ধরনের। প্রথমত, সৃজনধর্মী জাদু বা হোয়াইট ম্যাজিক। ফসলের ভালো উৎপাদন, বৃষ্টি নামানো, গাছে ভালো ফল হওয়া প্রেম বা বিয়ে ইত্যাদির উদ্দেশ্যে এ জাদু ব্যবহৃত হয়। দ্বিতীয়ত প্রতিরোধক জাদু। এই জাদুকেও হোয়াইট ম্যাজিকের মধ্যেই ফেলা যায়। এটা বিপদ-আপদ এড়ানো, রোগব্যাধি দূর করা আর কালো জাদুর প্রভাব এড়ানোর কাজে ব্যবহার করা হয়। আর সর্বশেষ প্রকারটিই হচ্ছে ব্ল্যাক ম্যাজিক বা ধ্বংসাত্মক ম্যাজিক। এটি রোগব্যাধি সৃষ্টি, সম্পত্তি ধ্বংস, জীবন নাশের কাজে ব্যবহার করা হয়। ডাইনিবিদ্যায় এর প্রয়োগ বেশি দেখা যায়। সেই প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে আজ পর্যন্ত এর প্রভাব দেখা যায় রাজনীতি, অর্থনীতি ও সংস্কৃতির ওপর। জাদুবিদ্যার প্রাচীন ইতিহাস যদি আমরা খুঁজে দেখতে চাই তাহলে আমাদের দৃষ্টি দিতে হবে সেই প্যালিওলিথিক যুগের গুহামানবদের গুহাচিত্রের দিকে। অরিগেনেসিয়া নামক গুহায় বেশ কিছু মুখোশ পরা মানুষ আর জন্তু জানোয়ারের ছবি দেখা যায়, যেখানে মানুষগুলোর হাতের আঙ্গুলের প্রথম গিঁট পর্যন্ত কাটা! যদিও নৃতাত্ত্বিকেরা এদের কুষ্ঠরোগাক্রান্ত মানুষ বলে বর্ণনা করেছেন। তবে জাদুবিদ্যা বিশারদদের মতে মৃত্যুকে জয় করার জন্যই হাতের আঙ্গুল কেটে তা নিবেদন করার রীতি সে আমলে প্রচলিত ছিল। দেহের অংশ বিশেষ দিয়ে গুণ [ব্ল্যাক ম্যাজিক] করার রীতি এদেশেও দেখা যায়। প্রাচীন ধর্মগ্রন্থগুলোতেও নানা আঙ্গিকের জাদুবিদ্যা চর্চার প্রমাণ পাওয়া যায়। সমসাময়িক ধর্মগুরু আর জনগণের মধ্যে। জাদুবিদ্যার এই চর্চা কখনই থেমে থাকেনি। গোপনে একদল ব্ল্যাক ম্যাজিকের চর্চা করে যাচ্ছে।
👺নানান দেশে প্রাচীনকাল থেকেই...
ব্ল্যাক ম্যাজিকের চর্চা হয়ে আসছে বহুকাল আগে থেকেই। কোনো নির্দিষ্ট গোষ্ঠী বা সভ্যতার লোক নয় ইতিহাস বলে বিভিন্ন সভ্যতায় বিভিন্ন গোষ্ঠীর মানুষের একটি অংশ কালো জাদুর চর্চা করে আসছে। কালো জাদু তাই কোনো দেশ কাল পাত্রে সীমাবদ্ধ নয়। ইহুদিরা মিসরে বন্দী অবস্থায় অবস্থানের সময়েই মিসরীয় জাদুবিদ্যার দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল। অবশ্য তাদের নিজেদেরও আলাদা বৈশিষ্ট্যময় জাদু বিশ্বাস ছিল। ইহুদি জাদুকরেরা বাষ্পস্নানের মাধ্যমে বলি আর উপহার দিয়ে অতিপ্রাকৃত শক্তিকে বশ করার চেষ্টা করত। এদের জাদু চর্চায় স্থূল যৌনাচার হতো। এ ছাড়া অল্পবয়স্ক বালকদের ব্যবহার করত অতীন্দ্রিয় শক্তির সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে। কালো জাদুর ইতিহাস বলে, ব্ল্যাক ম্যাজিকে বিশেষ দক্ষ ব্যক্তিদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ছিলেন কিং সলোমন। তার ‘দ্য কি অব সলোমানদ’ বইটি পরবর্তীকালে জাদুবিদ্যার সর্বশ্রেষ্ঠ বই হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে।
ভারতীয় উপমহাদেশের প্রাচীন ধর্মগ্রন্থগুলোতেও জাদুবিদ্যা আর ধর্মের একটা জটিল সংমিশ্রণ দেখা যায়। এখনকার সমাজেও এমন অনেক বৈদিক জাদুবিদ্যাগত প্রক্রিয়া এখনো চালু আছে। হরপ্পা মহেঞ্জোদারতে উত্খননে প্রাপ্ত রিং স্টোনগুলো জাদুবিদ্যায় ব্যবহার করা হতো বলে জন মার্শাল ধারণা করেন। এ ছাড়া জাপানের প্রাচীন শিন্টো ধর্মের মধ্যে জাদুবিদ্যা চর্চার কথা জানা যায়। জাপানিরা বিশ্বাস করে, চালের মধ্যে ব্ল্যাক ম্যাজিক প্রতিহত করার বিশেষ শক্তি আছে। এ ছাড়া রাস্তার সঙ্গমস্থলও তাদের কাছে বিশেষভাবে পবিত্র। এসব স্থানে তারা এখনো জননেন্দ্রিয়র প্রতীক চিহ্ন স্থাপন করে, বিশ্বাস করে এই প্রতীক অশুভ শক্তিকে দূরে সরিয়ে রাখবে! জাপানিদের মতো চীনাদেরও ভূতপ্রেত সম্পর্কে বেশ ভালোই ভয়ভীতি ছিল। মজার ব্যাপার হলো, চীনের ঘরবাড়ি ও পুল নির্মাণে একটা বিশেষ দেবতা চীনাদের প্রভাবিত করেছে। এই দেবতার নাম হলো শা। শা হলো একটা অপদেবতা। আর চীনারা বিশ্বাস করে এই অপদেবতা সব সময়ে সোজা রেখা বরাবর চলে। তাই এটাকে প্রতিহত ছাদে আঁকা হতো বক্রতা আর কোণ! গ্রিকদের জাদুবিদ্যার জন্য বিশেষ বর্ণমালার সৃষ্টি করেছিল। এগুলো লেখা হতো পবিত্র কালি দিয়ে। আর লেখার সময় বার বার পাঠ করা হতো।
👺ছোট্ট শিশুর দেহে ৫০ সুই
প্রাচীনকালে কালো জাদুর বহু ব্যবহারের কথা শোনা গেলেও এখন ততটা বড় আকারে জাদুচর্চা করার কথা শোনা যায় না। তবে একেবারেই থেমে নেই কালো জাদু। সাম্প্রতিককালেরএমন দুটি ঘটনা মিডিয়ায় আলোড়ন তুলেছে। ব্ল্যাক ম্যাজিকের শিকার হয়ে সরাসরি হাসপাতালে ভর্তি হয় মাত্র দুই বছর বয়সী এক শিশু। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাকে দ্রুত চিকিৎসা দিতে গিয়ে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গেলেন চিকিৎসক। কারণ এ-ক্সরে রিপোর্টে শিশুটির শরীরের ভিতরের বিভিন্ন অংশে পাওয়া গেল ৫০টির মতো সুই। সুইগুলো দেখেই ব্ল্যাক ম্যাজিকের কথা মনে পড়ে গেল। ৫০টি সুইয়ের মাঝে ১৭টি ছিল বাচ্চা ছেলেটির পরিপাকতন্ত্রের ভিতরে। এই ঘটনা ছড়িয়ে পড়ল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ঘটনার তদন্তের জন্য পুলিশ ডাকা হলো। পুলিশও প্রাথমিক মন্তব্য করল, কেউ একজন ব্ল্যাক ম্যাজিক বা কালো জাদুর অংশ হিসেবে ছেলেটির দেহে সুই ঢুকিয়ে দিয়েছে। প্রথম সুইটি পাওয়া গেল শিশুটির বাম ফুসফুসের ভিতরে। এক্স-রে করার পর দেখা গেল শিশুটির পেট, গলা, ঘাড় ও পায়ে মোট ৫০টির মতো সুই ঢুকানো হয়েছে। এরপর আর বুঝতে বাকি থাকে না শিশুটি ভয়াবহ ব্ল্যাক ম্যাজিকের শিকার হয়েছে। শিশুটিকে তার এক আত্মীয় হাসপাতালে নিয়ে আসে কিন্তু নিরাপত্তার স্বার্থে তার নাম প্রকাশ করেনি বিখ্যাত ডেইলি মেইল। ছেলেটির মায়ের নাম মারমা সুজা স্যান্তস। তিনি পুলিশকে জানান, যখন তিনি কর্মস্থলে যেতেন তখন শিশুটিকে দেখাশোনা করতেন শিশুটির দাদিমা। কিন্তু কেউ নিশ্চিত নন, শিশুটির দেহে কে সুই ঢুকিয়েছেন। ধারণা করা হয় তার সৎ বাবা এই কাজটি করে থাকতে পারেন কারণ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি ব্ল্যাক ম্যাজিক অনুশীলন করতেন। অভিযুক্ত অভিযোগ অস্বীকার করলেও এ নিয়ে বিস্তারিত তদন্ত চলছে।
👹 যেকোনো প্রশ্ন ও পরামর্শে যোগাযোগ নাম্বার : IMO, 01757786808

সর্বজন ‌বশীকরন ‌গুটিকা

সর্বজন বশীকরণ গুটিকা
আপনি কি কোন কোম্পানির মালিক, কোন এলাকার চেয়ারম্যান কিংবা কোন এলাকার এম.পি অথবা হতে চান এক সমাজ সেবক।
যেকোন ধরনের সমাজের পরিচিত ব্যক্তি হতে হলে আপনাকে অবশ্যই জনবল দরকার পড়বে। কিংবা একজন অফিসের মালিক হলেও কিন্তু আপনাকে কয়েক হাজার শ্রমিক দিয়ে কাজ করাতে হবে। তবে আপনি কি পারবেন এত গুলো লোককে সঠিক ভাবে চালিয়ে নিতে। তাদের কি সবার মন যোগাতে পারবেন? অবশ্যই না। কারন আপনি এক জন মানুষ তাই কিভাবে এতগুলো মানুষের মন জয় করতে পারেন আপনি। অবশ্যই তা করতে আপনি ব্যর্থ হবেন। তেমনি একজন সমাজ সেবক কিন্তু সবার কাছে প্রিয় ব্যক্তি হতে পারেন না। কারন মানুষ হলো খাদ্য ভোজী প্রাণী। তাই তারা যেখানে খাবার বেশি পায় ঠিক সেখানেই তারা শ্লোগান দিয়ে থাকেন। তাই তখন আপনার কথা ভুলে যায়। আপনি নির্বাচনের সময় দেখবেন আপনার সাথে পিছনে রয়েছে কয়েক হাজার জনগন তাদের কে দিয়ে আপনি আপনার প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। চারিদিক থেকে অনেক সাড়া পাচ্ছেন। মনে হয় আপনি নির্বাচনে জয়ী হবেন। কিন্তু এই ধারণা আপনার সবচেয়ে বড় ভুল। কারণ আপনি দেখবেন নির্বাচনের পূর্বে কয়েক হাজার লোক আপনার ভোটার কিন্তু ফলাফলের বেলায় দেখবেন যে আপনার বাক্সে এক হাজার ও ভোট পড়েনি। আপনার পাশে থাকা ব্যক্তিই অন্যের দিকে হেলে পড়েছিল নির্বাচনের আগের রাতে। তাই অাপনার এই ফলাফল। কিভাবে আপনি আপনার জনবলকে বশ করে রাখবেন। এ বিষয় নিয়ে আমাদের আজকের আলোচনা। নিম্নলিখিত বিষয়টি নির্বাচনের কয়েক মাস পূর্বে প্রয়োগ করলে আপনি উপরওয়ালার দয়ায় নির্বাচনে জয়ী হতে সক্ষম হবেন। কেউ আপনাকে ঠেকাতে পারবেনা। আর অফিসের মালিকের ক্ষেত্রে সবসময় প্রয়োগ করা যাবে।মন্ত্র-“ওঁ নমোঃ ভগবতে উড্ডামহেশ্বরায় মোহয় মোহয় মিলি মিলি ঠঃ ঠঃ স্বাহা।”
শুদ্ধস্থানে শুদ্ধবস্ত্রে বসে ধুপ-দ্বীপ জ্বালীয়ে প্রথমে উক্ত মন্ত্রটি ৩০০০০ (ত্রিশ হাজার) বার জপ করে সিদ্ধ করে নিতে হবে। তারপর প্রয়োগ করতে হবে।
প্রয়োগ বিধিঃ- শ্বেত-শরিষা, দেবদারু গাছের মুল একত্রে পেষণ করে বটিকা প্রস্তুত করতে হবে। পরে এই বটিকা মুখে রেখে, যার সঙ্গে কথাবার্তা বলবে, সেই বশীভুত হবে।
বিঃদ্রঃ- নির্বাচনে সকল ভোটার বশীভূত করে ভোট পাওয়ার বিশেষ একটি তদবীর আমরা প্রদান করতেছি, আপনারা যাহারা এই তদবীরটি গ্রহণ করতে ইচ্ছুক শুধু তারাই আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।  বিদেশ ‌থেকে ‌ইমু 01757786808/ বাংলাদেদ থেকে 01978142102/

নারী ‌বশী‌করন ‌টোটকা

নারী বশিকরন টোটকা :

বশিকরণ টোটকা সবচাইতে সহজ এবং দ্রুত ফল দান কারী যেমন কোন মন্ত্র বা তন্ত্র প্রয়োগ করলে যেমন ৭ দিনের সাধনা করলে প্রায় ৪৯ দিন লেগে যায় কিন্তু টোটকাতে প্রায় সাতে সাতে সব্বর্চ ১৪ দিন লাগতে পারে। তাই এতে সমস্য এবং সময় দুটোই কম কিন্তু একটা জিনিস খেয়াল রাখতে হয় তা হলো সঠিক দিন এবং সঠিক পয়ান।

নিচে দুটো বহুল পরিক্ষিত টোটকা দেওয়া হলো ব্যবহার করুন-

যে স্ত্রীকে বশ করতে চান তার ঋতু কালিন ব্যবহৃত কাপরের একটি টুকরো সাধরনত গ্রামের মেয়েরা এক কাপর কয়েকদিন/কয়েক বার ব্যবহার করে এটা খুজে বের করার দায়িত্ব আপনাদের তবে আমি এটুকু বলবো মেয়ের ঋতুকালীন কাপর খুজতে গিয়ে আবার মেয়ের মায়ের কাপর নিয়ে আসবেন না। এবার সেই কাপরের কিঞ্চিৎ কেটে নিয়ে তাতে রেডির তৈল মাখিয়ে আগুনে জ্বালাবেন এবং সেটাকে কাজল বানাবেন এবার সেই কাজল চোখে দিয়ে সেই মেয়ের সাথে দেখা করবেন। এবার দেখেন সেই মেয়ে আপনাকে কি বলে, সে অবশ্যই আপনাকে মনে করবে না যে আপনি তার বাপ চাচা বা অন্য কেউ !

আবার অশ্বনী নক্ষত্রে পলাশ গাছের শিকর হাতে নিয়ে সেই দিন যদি আপনার কাঙ্খিত মেয়ের সাথে দেখা করেন তবে সেই মেয়ে আপনাকে দেখা মাত্র বিচলিত হবে এতে বিন্দু মাত্র সন্দেহ নাই । তবে পলাশ গাছ খুজে পাওয়া টা কঠিন । তবে আপনি কিছু কিছু গাছ নিজ প্রয়োজনে আপনার বসত বাড়ীর চারপাশে লাগাতে পারেন এতে আপনার প্রেমিক হৃদয়ের স্বারাদিতে যেমন কাজে লাগবে প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করতেও কাজে লাগবে এবং ঔষধি গাছ হিসাবে তো লাগবেই।। তাই গাছটি আজই খুজে বের করুন।.. তান্তিক গুরু আজিজ রহমান।
তন্ত মন্ত কালো যাদু টোটকা তাবিজ ও
জ্বিন চালানের মাধমে তদবির করা হয়
যে কোন কাজ ৩/৫দিনে ১০০%গ্যারান্টিতে করা হয়। কথায় নয় কাজে পমান।
আপনারা যে কোন দেশ বা জেলা থকে অনলাইনের মাধমে তদবির করতে পারেন।
সরা সরি ঠিকানা। খুলনা। খারিস পুর বাজার রোড ২৫/৩..যে কোন সমসায় ইনবক্সে যোগা যোগ করুন বা কল করুন 01757786808

তান্তিক ‌সেবা

থার্ড আই রেডিয়েশন হা আপনি যদি আপনার বাবা মা ভাই বোন ওস্তাদ শিক্ষক বন্ধু প্রেমিক পরিচিত যে কাহারো সাথে মরোনত্তর বিশেষ কোন বিষয় জানার জন্য যোগাযোগ করতে ইচ্ছুক হয়ে থাকেন তবে অবশ্যই আমাদের সহায্য নিতে পারেন। বিশ্বে একমাত্র আমরাই কোন প্রকার ব্লাক ম্যাজিক, কুফুরী, জীবন নাষের সংঙ্কা ছারাই নিরাপদে আপনার পরলোকগত প্রিয়জনের সাথে আদলোচনা করাতে সক্ষম। সর্ত প্রযোজ্য ‌. সেবা * প্রেম .ভালোবাসায় ব্যাথ*  *বশীকরন . বিচ্ছেদ‌ . শত্রুর থেকে মুক্তি . মামলা মোকাদ্দামা.  স্বামী স্তীর অমিল . সংসারে অ শান্তি *  বান মারন *জাদু টোনা * বাণ কাটা * পালাতক ব্যাক্তি হাজির করা* দোকানে বেচা কিনা বিদ্দি *
লেখা পরায় অমনো যু্গি*  প্ররিক্ষায় পাস *
 মহিলাদের ছেলে সন্তান হয়না*  মনের মানুষ কে বাধ্য করা * যৌন রোগ* চর্মরোগ* মাথাবেথ্যা *  জন্ডিস * যে কোন মানসিক রোগ.* কবিরাজি চিকিংসা ও তান্তিক সেবা পেতে আমাদের সাইটে যোগা যোগ করুন মার্ত 3/5 দিনে 100%গ্যারান্টিতে তদবীর করা হয় ..ফোন .01978142102

ফেক ‌আইডি ‌থেকে ‌সাবধান

                                বন্ড প্রতারক হতে সবাই ‌সাবধান
আমরা এই পেইজটি রেগুলার আপডেট করার চেষ্টা করছি কিন্তু প্রতিনিয়ত এতো পরিমান ভুয়া ও ফেক সাইট তৈরী হচ্ছে যে তা নজর কারার মত, শুধু এটা সমস্যা নয় আমাদের নামের ডুপ্লিকেট করেও কতিপয় অসাধু বালক পেইজ খুলে ব্লগ সাইট খুলে প্রতারনার আশ্রয় নিয়েছে। নিচে আবার কিছু আপডেট করা হলো>> আমাদের লগো ও মন্ত্রগুরু এ্যসোসিয়েশন খুজে পেতে সমস্যা যাতে সর্বসাধারনের না হয় সে কারনেই এই পদক্ষেপ।। কিছু ফেক আইডি তুলে ধরলাম
যেমন . জাদু টোনা 
মহামায়াবী মন্ত্র গুরু
মহা মায়াবী ক্ষমতার অধীকারি (তান্ত্রিক)
তান্ত্রিক সাধু নারায়ণ চান্ডাল (মন্ত্র গুরু)
তান্ত্রিক পলক আচার্য(মন্ত্র গুরু শিষ্য )
সর্ব মন্ত্রের অধিকারী
মহামায়াবী মন্ত্র গুরু
মন্ত্র-গুরু কালোযাদু বশীকরণ মন্ত্র দোয়া ও তাবিজ
মন্ত্র গুরু
তন্ত্র মন্ত্রওকালোযাদু বিদ্যার গুরু
তন্ত্র গুরু Community
অদ্ভুত কবিরাজী শিক্ষা(তন্ত্র মন্ত্র টোটকা গুরু)
তন্ত্র ও মন্ত্র গুরু Attractions/Things to Do
কালা জাদুকর
মন্ত্র গুরুর তাবিজ Montro Gurur Tabiz Publisher
Montro Guru (কালো যাদু )
মন্ত্র তন্ত্র তাবিজ ও কালো যাদু শিক্ষা Business Services
তন্ত্র ও মন্ত্র গুরু Attractions/Things to Do
তান্ত্রিক Community
মন্ত্র দ্বারা সমাধান সাদা ও কালোজাদুর ভাণ্ডার Writer
মন্ত্র তন্ত্র ,যাদু টোনা, ত্রাটক সাধন বিদ্যা Book Store
সর্বস্রেষ্ঠ তান্ত্রিক
মহা তান্ত্রিক কৈলাশী
মন্ত্র - তন্ত্র এসোসিয়েশন Public Group
তান্ত্রিক সাধক মহা গুরু
তাবিজ তনত শিখানো হয়
ভয়ংকর তান্ত্রিক গুরু(সকল তন্ত্র মন্ত্রের অধিকারী )
কালো জাদু তন্ত্র সাধনা
সর্ব তান্ত্রিক গুরু(খান আলতাব চিশতী)
অদ্ভত কবিরাজি
জীন সাধক
Táñträ Sädhñä
যাদু মন্ত্রে সমাধান
সর্বস্রেষ্ঠ তান্ত্রিক
ভয়ংকর যাদুকর
সর্ব মন্ত্রধারী শ্রীকান্তসেন(শ্রীকান্ত সেন)
ভৈরব তান্ত্রিক
আদিওআসল কবিরাজী
মন্ত্র গুরু
তন্ত্র মন্ত্রওকালোযাদু বিদ্যার গুরু
কালযাদুতন্ত্রশক্তি
কামরূপ কামাক্ষা মন্ত্র গুরু
মন্ত্র-গুরু সকল সমস্যার সমাধান
আজমেরী রুহানী আজম 

কালো ‌জাদু ‌কি

👾👾 ব্ল্যাক ম্যাজিক রহস্য
সভ্যতার আদি থেকেই জাদুবিদ্যা আর জাদুকর বিষয়ে মানুষের প্রচণ্ড রকম আগ্রহ। জাদুবিদ্যা মূলত অতীন্দ্রিয় আর প্রাকৃতিক শক্তিকে বশ করার বিদ্যা! ইংরেজি ‘ম্যাজিক’ শব্দের উদ্ভব হয়েছে ফারসি শব্দ মাজি থেকে! মাজিরা যে সব ক্রিয়া-কর্ম পালন করত, গ্রিকরা সেসবকে ম্যাজিক বলে অভিহিত করতেন! আর ম্যাজিকের সঙ্গে আত্মা বা ভূতের বিষয়টি চলে আসে অনিবার্যভাবে। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী ভূত হলো এমন এক জিনিস, যা মৃত ব্যক্তির আত্মা। আর তা জীবিত ব্যক্তির সামনে দৃশ্য আকার ধারণ বা অন্য কোনো উপায়ে আত্মপ্রকাশ করতে সক্ষম। ভৌতিক অভিজ্ঞতায় ভূতকে নানাভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। কখনো অদৃশ্য বা অস্বচ্ছ বায়বীয় আবার কখনোবা বাস্তবসম্মত সপ্রাণ মানুষ বা জীবের আকারে। আর এসব ভূত বা প্রেতাত্মার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে ভবিষ্যদ্বাণী বা কোনো কাজ করার বিদ্যাকে ব্ল্যাক ম্যাজিক, নেক্রোম্যান্সি বা কালো জাদু বলে। অন্যদিকে এক ধরনের বিশেষ ব্ল্যাক ম্যাজিক হচ্ছে ভুডু। ভুডুবিদ্যার সাহায্যে নাকি কবরের লাশ জ্যান্ত করে তাকে গোলামের মতো খাটানো যায়। অন্যদিকে শামানের কাজও মৃত মানুষের আত্মা নিয়ে। তবে ভুডুর সঙ্গে শামানদের পার্থক্য— এরা মন্দ আত্মার বিরুদ্ধে লড়াই করে। মন্দ আত্মাকে কাজে লাগায়। বিদেশি সিনেমায় এমনকি ভারতীয় সিরিয়ালে প্রায়ই দেখা যায়, একজন দুষ্ট ব্যক্তি একটি পুতুলের গায়ে সুচ ফুটিয়ে আরেক জায়গায় এক ব্যক্তিকে হত্যা করছে কিংবা অন্য কোনো উপায়ে ক্ষতি করার চেষ্টা করছে। বাংলায় একে ফুঁক দেওয়া, কবজ করা অথবা বাণ মারা বলে। এ ধরনের ঘটনা যারা ঘটায় তাদের ওঝা বলে। আর এ প্রক্রিয়াটিই বিশ্বব্যাপী ব্ল্যাক ম্যাজিক বা কালো জাদু নামে পরিচিত। খ্রিস্টধর্ম প্রবর্তনেরও আগের কথা। বহুকাল আগে পাশ্চাত্যে বিভিন্ন গোত্রের মধ্যে নির্দিষ্ট কোনো ধর্মের প্রচলন ছিল না। তবে তাদের মধ্যে অদ্ভুত কিছু বিশ্বাস ও কর্মকাণ্ডের চর্চা ছিল। এরা এক একটি গোত্র বিভিন্ন কাল্পনিক ভূত-প্রেত বা অশুভ আত্মার আরাধনা করত। যা আফ্রিকান ব্ল্যাক ম্যাজিক বা কালো জাদু নামে পরিচিত। এমনকি এখনো এ বিদ্যার গোপন অনুসারীরা তাদের এ বিদ্যা দিয়ে মানুষের ক্ষতি করে আসছে। এ বিদ্যায় পারদর্শীদের ডাকি বা ওঝা বলে আর আফ্রিকান ভাষায় এদের বলে কিনডকি।
👺আত্মাসংক্রান্ত ধারণা থেকেই উদ্ভব
পৃথিবীতে ধর্মের আবির্ভাবের আগেও মানুষের মধ্যে আধ্যাত্মিক চর্চা ছিল। আবার ধর্মের আবির্ভাবের পরও এই চর্চা অব্যাহত ছিল। বহুকাল আগে পাশ্চাত্যের ধর্মহীন গোত্রের মধ্যে অদ্ভুত কিছু বিশ্বাস ও কর্মকাণ্ডের চর্চা ছিল। এরা এক একটি গোত্র বিভিন্ন কাল্পনিক ভূত-প্রেত বা অশুভ আত্মার আরাধনা করত। আর নিজেদের প্রয়োজনে এই আত্মাকে ব্যবহার করত। এই বিশ্বাসের চর্চা মূলত ছিল আফ্রিকানদের মধ্যে। আর তাই বিশ্বজুড়ে এটি আফ্রিকান ব্ল্যাক ম্যাজিক বা কালো জাদু নামে পরিচিত। এমনকি এখনো এ বিদ্যার গোপন অনুসারীরা তাদের এই চর্চা চালিয়ে যাচ্ছে।
মূলত প্রাক-শিক্ষিত সংস্কৃতির সর্বপ্রাণবাদ ও পূর্বপুরুষ পূজার মধ্যে ভূত বা আত্মাসংক্রান্ত ধ্যান-ধারণার প্রথম বিবরণ পাওয়া যায়। সে যুগে কিছু নির্দিষ্ট ধর্মীয় প্রথা, অন্ত্যেষ্টি সংস্কার, ভূত তাড়ানো অনুষ্ঠান ও জাদু অনুষ্ঠান আয়োজিত হতো। আর এসব আয়োজনের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল মৃত আত্মার সন্তুষ্টি আনয়ন। মূলত আত্মাসংক্রান্ত সেই ধ্যান-ধারণা থেকেই ব্ল্যাক ম্যাজিক বা কালো জাদুর বিবর্তন।

👹রোজাদের দাপুটে প্রথা
আদিম সমাজে ওইভাবে ধর্মের চর্চা না থাকলেও যেসব লোক আধ্যাত্মিক চর্চা করতেন, তাদের আলাদা দাপট ছিল। সাধারণ মানুষ এদের প্রচণ্ড রকম ভয়ের চোখে দেখতেন। আদিম সমাজের এমনই এক ধরনের মানুষ ছিল যাদের উইচ-ডক্টর বা রোজা নামে ডাকা হতো। এরা এমন ব্যক্তি ছিলেন যারা ব্ল্যাক ম্যাজিক জানতেন। অতীন্দ্রিয় শক্তির বলে প্রেতাত্মাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারতেন। আর প্রেতাত্মাদের দিয়ে সম্ভব-অসম্ভব যে কোনো কাজ করে ফেলতে পারতেন খুব সহজেই। সে কারণে ওই সময় রোজারা একাধারে চিকিৎসক, জাদুকর এবং পুরোহিতের ভূমিকা পালন করতেন। বর্তমানকালেও আদিম-সামাজিক ব্যবস্থায় বসবাসকারীদের মধ্যে উইচ-ডক্টর বা রোজাদের প্রভাব দেখা যায়। আদিম জাতিদের মধ্যে রোজাদের খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হতো।
রোজারা তাদের ডাকিনীবিদ্যা খাটিয়ে আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিতে পারত। চোর বা হত্যাকারী ধরা ও শাস্তি প্রদানে রোজাদের অপরিহার্য ভূমিকা ছিল। এ ছাড়াও তারা জাদুবিদ্যার সাহায্যে রোগ নির্ণয় এবং এর প্রতিকার করতেন। তারা তাদের শিশুদের রোগাক্রান্ত করতে পারতেন এবং মানুষের মৃত্যুও ঘটাতে পারতেন। মানুষের মৃত্যু ঘটানোর জন্য তারা নানা ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করতেন। কখনো মানুষের একটি ছোট আকৃতির পুতুল তৈরি করে তাতে পিন বিদ্ধ করতেন। আবার কখনো কোনো লোকের চুল বা নখের টুকরো সংগ্রহ করে তা মাটিতে পুঁতে রাখতেন। এগুলো যখন আস্তে আস্তে শুকিয়ে যেত মানুষটিও ক্রমেই মৃত্যুমুখে পতিত হতো। রোজারা প্রায়ই রোগের চিকিৎসার জন্য গাছ-গাছড়া, লতাপাতা ব্যবহার এবং রোগের সংক্রমণ দূর করার জন্য জল ব্যবহার করত। কখনো তারা জাদুকরী পাথরসহ জল ছিটিয়ে দিত।
তারা জাদুকরী গান, প্রার্থনা এবং আশ্চর্য ভঙ্গিমায় নৃত্য করত। এর উদ্দেশ্য ছিল সাধারণ মানুষের মনকে প্রভাবিত করা। রোজারা সব সময় রঙিন পোশাক পরত, মুখোশ ধারণ এবং মুখমণ্ডল চিত্রিত করত। কেউ কেউ পশুর চামড়াও পরিধান করত। বস্তুত মানুষকে সম্মোহিত করত। আর লোকজন বিশ্বাস করতে বাধ্য হতো যে তাদের সৌভাগ্যের জন্য রোজারাই দায়ী।
👺 ভুডু বনাম শামান
ভুডু (Voodoo) হচ্ছে এক ধরনের ব্ল্যাক ম্যাজিক বা ডাকিনীবিদ্যা। শোনা যায়, ভুডুবিদ্যার সাহায্যে নাকি কবরের লাশ জ্যান্ত করে তাকে গোলামের মতো খাটানো যায়। শামানের কাজও মৃত মানুষের আত্মা নিয়ে। তবে ভুডুর সঙ্গে শামানদের পার্থক্য হলো— এরা মন্দ আত্মার বিরুদ্ধে লড়াই করে। মন্দ আত্মাকে কাজে লাগায়। ভুডু এক ধরনের অপবিদ্যা। যারা ভুডুবিদ্যা জানে, তারা নাকি ইচ্ছা করলেই যাকে খুশি তার ক্ষতি করতে পারে। তাই এ বিদ্যায় পারদর্শীদের অনেকেই এড়িয়ে চলেন।
তবে শামান সব সময় ন্যায়ের পক্ষে কাজ করে। শামানকে কেউ বলে জাদুকর, কেউ কবিরাজ। শামান কথাটি এসেছে সাইবেরিয়ার তুঙ্গুস ভাষী মেষ পালকদের কাছ থেকে। অষ্টাদশ শতাব্দীর ভ্রমণকারীরা প্রথম শামানদের ব্যাপারে বিশ্ববাসীকে অবহিত করে। জানা যায়, শামানরা এমন ধরনের মানুষ যাদের রয়েছে অবিশ্বাস্য শক্তি। মৃত ব্যক্তির আত্মার কাছ থেকে জ্ঞান সংগ্রহ করে তারা। ইচ্ছা করলেই নাকি নশ্বর দেহ ত্যাগ করে স্বর্গ বা নরকে স্বচ্ছন্দে প্রবেশ করতে পারে। শামানদের প্রধান বাসস্থান এক সময় সাইবেরিয়া হলেও সোভিয়েতদের অত্যাচারে তারা দেশ ত্যাগে বাধ্য হয়। তারা ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বের নানা জায়গায়। শামান বর্তমানে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে উত্তর আমেরিকা এবং পশ্চিম ইউরোপের শহরাঞ্চলেও। শামানরা তাদের নানা সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড প্রদর্শনের জন্য ভ্রমণ করছে চিলির সান্তিয়াগো থেকে শুরু করে কোরিয়ার সিউল পর্যন্ত। যদিও অনেক দেশের সরকার শামানিক চর্চাকে অবৈধ এবং বিপজ্জনক বলে বর্ণনা করেছে। কিন্তু রোমান্টিক মানুষের কাছে শামান হলো ধর্মীয় অভিজ্ঞতা লাভের গাইড। আর জাতীয়তাবাদীরা শামানকে মনে করে প্রাচীন সাংস্কৃতিক জ্ঞানের বাহক।
👺শামানদের ইতিবৃত্ত
শামানদের মতে, আমাদের চারপাশে যত উপাদান রয়েছে সব কিছুর মাঝে আছে আত্মার অস্তিত্ব। ‘ভুডু’ কথার অর্থও ‘আত্মা’। এই শব্দটির উৎপত্তি ফন জাতির কাছ থেকে। এরা ইউয়ি সম্প্রদায়ের আত্মীয়। ভুডু চর্চার উৎপত্তি হাইতিতে। তবে আফ্রিকায় এর চর্চা ব্যাপক। ব্রাজিল, জ্যামাইকাতেও কিন্তু কম ভুডু চর্চা হয় না। তবে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন নাম। যেমন, হাইতিতে বলা হয় ভুডু, ব্রাজিলে ক্যানডোমবল, জ্যামাইকাতে ওবিয়াহ ইত্যাদি। পশ্চিম আফ্রিকার মানুষ সবচেয়ে বেশি বিশ্বাস করে ভুডুতে সেখানকার কমপক্ষে ২৫ লাখ মানুষ এ বিদ্যার অনুরাগী। এ চর্চা সবচেয়ে বেশি হয় আফ্রিকার ঘানায়। ঘানার ককুজানের অধিবাসীরা এ বিদ্যাটির সাংঘাতিক অনুরাগী। এরা অসুখ-বিসুখে সরকারি হাসপাতালের ডাক্তারদের কাছে যাওয়ার চেয়ে ভুডু চিকিৎসকদের ওপর অনেক বেশি ভরসা করে।
শামানরাও তাই। আত্মার ওপর এদের বিশ্বাস গভীর। এদের ধারণা, আত্মা তাদের সব বিপদ থেকে রক্ষা করবে। বংশপরম্পরায় এ বিশ্বাস চলে আসছে তাদের মাঝে। আফ্রিকায় যারা ভুডু চর্চা করে তারাও কিন্তু বংশানুক্রমে এ কাজ করে আসছে। আফ্রিকান বাবা-মা তাদের সন্তানদের এ বিদ্যা চর্চায় উৎসাহ জোগায়। প্রতিদিনই সকালে পূজারিরা স্থানীয় দেবতাদের উদ্দেশে নৈর্বেদ্য অর্পণ করে তারপর নিজের কাজে বের হয়। শামানরা শুধু বিশ্বাস করে আত্মায়। তাদের কোনো দেবতা নেই। তবে ভুডু শুধু বিশ্বাস করে আত্মায়। তাদের কোনো দেবতা নেই। তবে ভুডু অনুসারীদের বিভিন্ন দেবতা আছে। যেমন ফ্লিমানি কোকু হলো রোগ মুক্তির দেবতা, হেভিও সো হলো, বিদ্যুৎ এবং ব্রজের দেবতা, মেমি ওয়াটা ধন-সম্পদের দেবী ইত্যাদি। দেবতার ওপর তাদের এত বিশ্বাস যে, তারা মনে করে আগুন তাদের ক্ষতি করতে পারে না। ছুরি দিয়ে পেট কাটলেও তারা ব্যথা পায় না। তারা বলে, দেবতারা তাদের সব বিপদ থেকে রক্ষা করে।
শামানরাও বলে আত্মা তাদের সব রোগ মুক্তির পথ বাতলে দেয়। যারা এ সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী, তারা বলে শামানদের রয়েছে অলৌকিক ক্ষমতা। এরা আত্মার শক্তিতে বলীয়ান হয়ে স্বাস্থ্য, খাদ্য, উর্বরতা বিষয়ক সব সমস্যারও সমাধান করে দিতে পারে। শামানদের ব্যাপ্তি সাইবেরিয়া থেকে ল্যাপল্যান্ড, বিব্বত, মঙ্গোলিয়া, উত্তর এবং দক্ষিণ আমেরিকা (বিশেষ করে আমাজন এলাকায়) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, এমনকি ভারতেও বিস্তৃত। পূর্ব ভারতে সোরা নামে এক উপজাতি আছে, জঙ্গলে বাস করে। এরাও শামান সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী। সোরা উপজাতির লোকেরা মৃতের সঙ্গে কথা বলে। এখানে শামানের ভূমিকা সাধারণত পালন করে মহিলারা। তারা দুই ভুবন অর্থাৎ পৃথিবী ও স্বর্গের মাঝে সমন্বয় সাধন করে বলে শামান অনুসারীদের বিশ্বাস। মহিলা শামানকে কবর দেওয়া হয়। এরপর তার আত্মা চলে যায় অন্য ভুবনে। সেখানে মৃত ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে সে। লোকে মহিলাকে কথা বলতে দেখে। সোরাদের মতে, মৃত্যু মানে কারও অস্তিত্বের ধ্বংস নয়। মৃত্যু তাদের কাছে নতুন আরেক জীবন মাত্র। মৃত্যুর পরেও আত্মা যথেষ্ট শক্তিশালী থাকে, তাদের আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলে— এমনটিই বিশ্বাস সোরা উপজাতির।
👺শয়তানের প্রতীক
ব্ল্যাক ম্যাজিকের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো প্রতীক ও সংকেতচিহ্নের ব্যবহার। অনিষ্টকারী শয়তানের প্রতীককে ব্ল্যাক ম্যাজিশিয়ানরা কাজে লাগিয়ে এসেছেন যুগ যুগ ধরে। শয়তানের প্রতীক হিসেবে বিভিন্ন সভ্যতার মানুষের বিশ্বাস ছিল সেটি হচ্ছে— শিং। ব্ল্যাক ম্যাজিক চর্চায় শিং তাই অপরিহার্য। এক সময়ের বিখ্যাত জাদুকর ছিলেন জোহান রোসা। তার একটা মন্ত্রপুত আংটি ছিল। যেটায় একটা প্রেতাত্মাকে তিনি আটকে রেখে ছিলেন আর এটাকে দিয়ে সব কাজ করাতেন। তার মৃত্যুর পরে প্রকাশ্য জনসভায় আংটিটা হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ভেঙে ফেলা হয়েছিল। গর্ভবতী নারীদের প্রসব বন্ধ করা থেকে শুরু করে যৌনাকাঙ্ক্ষা চিরতার্থ করার মতো বীভৎস সব জাদু বিধানের চর্চা হতো তখন। এ সময়ে বিশ্বাস করা হতো বশীকরণের মাধ্যমে মানুষকে দাস বানিয়ে রাখা যায়। যে কোনো বিপজ্জনক কাজে যাওয়ার আগে ‘প্রয়োজনীয় মন্ত্রপুত জামা’ পরে যাওয়ার রীতি ছিল, কুমারী মেয়ের বড় দিনের এক সপ্তাহ ধরে এই ধরনের জামা ঘরে বুনত। ‘বান’ ছেঁড়ার কথা বাংলাদেশে অপরিচিত নয়, মধ্যযুগের এই (Magical Arrow) ধারণাটার ব্যাপক প্রচার ছিল। বিশ্বাস করা হতো এভাবে মানুষের ক্ষতি করা সম্ভব! মধ্যযুগে রেনেসাঁর আলো যতই ছড়াক না কেন, ব্ল্যাক ম্যাজিশিয়ানদের হাত থেকে কেউই রক্ষা পায়নি।
👺জাদুবিদ্যার নানান প্রকার
জাদুবিদ্যার প্রচলন সব সময়ই কৌতূহলজনক। সেজন্য বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সমাজবিদ- নৃতাত্ত্বিকরা সমাজে প্রচলিত জাদু বিধানগুলো পর্যালোচনা করে এর শ্রেণি বিভাগ করার চেষ্টা করেছেন। যেমন স্যার জেমস জর্জ ফ্রেজারের মতে জাদুবিদ্যার বিধানগুলো প্রধানত দুই রকমের হোমিওপ্যাথিক এবং কনটেজিয়াস ম্যাজিক।
হোমিওপ্যাথিক ম্যাজিক সব সময়ই শত্রু ধ্বংসের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়। এক্ষেত্রে শত্রুর প্রতিমূর্তি [মোম, মাটি, কাঠ, কাপড়] বা ছবি ইত্যাদি তৈরি করে পুড়িয়ে বা ছুরি দিয়ে কেটে ধ্বংস করা হয়। ধারণা এই যে, মূর্তিটা যে যন্ত্রণা পাচ্ছে, শত্রুও তেমন যন্ত্রণা বা আঘাত পাচ্ছে। এটাকে ব্ল্যাক ম্যাজিক বলে। তবে এই জাদু আবার অনেক সময় মানুষের উপকার বা ভালোর জন্যও ব্যবহার করা হয়। যেমন ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপে এমন একটা জাদু বিধান আছে, কোনো নারীর সন্তান হচ্ছে না, তখন একটা কাঠের ছোট শিশু বানিয়ে নিঃসন্তান রমণীটির কোলে বসিয়ে আদর করে। এর ফলে তার সন্তান হবে এমন ভাবা হয়। কখনো কখনো রোগের চিকিৎসার জন্যও এই ধরনের জাদুর প্রয়োগ দেখা যায়। অন্যদিকে কনটেজিয়াস ম্যাজিক হচ্ছে মানুষের শরীরের বিভিন্ন অংশ বিশেষ যেমন চুল, নখ, থুথু বা পরিধেয় বস্ত্রের মাধ্যমে জাদু করে মানুষের ক্ষতি বা উপকার করা। এক্ষেত্রে শত্রুর আঙ্গুলের নখ, চুল, ভ্রু, থুথু -এসব সংগ্রহ করে মোমের সাহায্যে শত্রুর একটা অবিকল প্রতিরূপ তৈরি করা হয়। প্রতিমূর্তিটি ছয় দিন ধরে মোমের তাপে ঝলসাতে হবে এবং সাত দিনের দিন মূর্তিটি পুড়িয়ে ফেললে শত্রুর মৃত্যু হবে! জাদুবিদ্যার ধরন আর প্রকারভেদ নিয়ে অনেকে অনেক মত দিয়েছেন, তাদের সব মতবাদ একসঙ্গে করলে বলা যায় জাদুবিদ্যা প্রধানত তিন ধরনের। প্রথমত, সৃজনধর্মী জাদু বা হোয়াইট ম্যাজিক। ফসলের ভালো উৎপাদন, বৃষ্টি নামানো, গাছে ভালো ফল হওয়া প্রেম বা বিয়ে ইত্যাদির উদ্দেশ্যে এ জাদু ব্যবহৃত হয়। দ্বিতীয়ত প্রতিরোধক জাদু। এই জাদুকেও হোয়াইট ম্যাজিকের মধ্যেই ফেলা যায়। এটা বিপদ-আপদ এড়ানো, রোগব্যাধি দূর করা আর কালো জাদুর প্রভাব এড়ানোর কাজে ব্যবহার করা হয়। আর সর্বশেষ প্রকারটিই হচ্ছে ব্ল্যাক ম্যাজিক বা ধ্বংসাত্মক ম্যাজিক। এটি রোগব্যাধি সৃষ্টি, সম্পত্তি ধ্বংস, জীবন নাশের কাজে ব্যবহার করা হয়। ডাইনিবিদ্যায় এর প্রয়োগ বেশি দেখা যায়। সেই প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে আজ পর্যন্ত এর প্রভাব দেখা যায় রাজনীতি, অর্থনীতি ও সংস্কৃতির ওপর। জাদুবিদ্যার প্রাচীন ইতিহাস যদি আমরা খুঁজে দেখতে চাই তাহলে আমাদের দৃষ্টি দিতে হবে সেই প্যালিওলিথিক যুগের গুহামানবদের গুহাচিত্রের দিকে। অরিগেনেসিয়া নামক গুহায় বেশ কিছু মুখোশ পরা মানুষ আর জন্তু জানোয়ারের ছবি দেখা যায়, যেখানে মানুষগুলোর হাতের আঙ্গুলের প্রথম গিঁট পর্যন্ত কাটা! যদিও নৃতাত্ত্বিকেরা এদের কুষ্ঠরোগাক্রান্ত মানুষ বলে বর্ণনা করেছেন। তবে জাদুবিদ্যা বিশারদদের মতে মৃত্যুকে জয় করার জন্যই হাতের আঙ্গুল কেটে তা নিবেদন করার রীতি সে আমলে প্রচলিত ছিল। দেহের অংশ বিশেষ দিয়ে গুণ [ব্ল্যাক ম্যাজিক] করার রীতি এদেশেও দেখা যায়। প্রাচীন ধর্মগ্রন্থগুলোতেও নানা আঙ্গিকের জাদুবিদ্যা চর্চার প্রমাণ পাওয়া যায়। সমসাময়িক ধর্মগুরু আর জনগণের মধ্যে। জাদুবিদ্যার এই চর্চা কখনই থেমে থাকেনি। গোপনে একদল ব্ল্যাক ম্যাজিকের চর্চা করে যাচ্ছে।
👺নানান দেশে প্রাচীনকাল থেকেই...
ব্ল্যাক ম্যাজিকের চর্চা হয়ে আসছে বহুকাল আগে থেকেই। কোনো নির্দিষ্ট গোষ্ঠী বা সভ্যতার লোক নয় ইতিহাস বলে বিভিন্ন সভ্যতায় বিভিন্ন গোষ্ঠীর মানুষের একটি অংশ কালো জাদুর চর্চা করে আসছে। কালো জাদু তাই কোনো দেশ কাল পাত্রে সীমাবদ্ধ নয়। ইহুদিরা মিসরে বন্দী অবস্থায় অবস্থানের সময়েই মিসরীয় জাদুবিদ্যার দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল। অবশ্য তাদের নিজেদেরও আলাদা বৈশিষ্ট্যময় জাদু বিশ্বাস ছিল। ইহুদি জাদুকরেরা বাষ্পস্নানের মাধ্যমে বলি আর উপহার দিয়ে অতিপ্রাকৃত শক্তিকে বশ করার চেষ্টা করত। এদের জাদু চর্চায় স্থূল যৌনাচার হতো। এ ছাড়া অল্পবয়স্ক বালকদের ব্যবহার করত অতীন্দ্রিয় শক্তির সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে। কালো জাদুর ইতিহাস বলে, ব্ল্যাক ম্যাজিকে বিশেষ দক্ষ ব্যক্তিদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ছিলেন কিং সলোমন। তার ‘দ্য কি অব সলোমানদ’ বইটি পরবর্তীকালে জাদুবিদ্যার সর্বশ্রেষ্ঠ বই হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে।
ভারতীয় উপমহাদেশের প্রাচীন ধর্মগ্রন্থগুলোতেও জাদুবিদ্যা আর ধর্মের একটা জটিল সংমিশ্রণ দেখা যায়। এখনকার সমাজেও এমন অনেক বৈদিক জাদুবিদ্যাগত প্রক্রিয়া এখনো চালু আছে। হরপ্পা মহেঞ্জোদারতে উত্খননে প্রাপ্ত রিং স্টোনগুলো জাদুবিদ্যায় ব্যবহার করা হতো বলে জন মার্শাল ধারণা করেন। এ ছাড়া জাপানের প্রাচীন শিন্টো ধর্মের মধ্যে জাদুবিদ্যা চর্চার কথা জানা যায়। জাপানিরা বিশ্বাস করে, চালের মধ্যে ব্ল্যাক ম্যাজিক প্রতিহত করার বিশেষ শক্তি আছে। এ ছাড়া রাস্তার সঙ্গমস্থলও তাদের কাছে বিশেষভাবে পবিত্র। এসব স্থানে তারা এখনো জননেন্দ্রিয়র প্রতীক চিহ্ন স্থাপন করে, বিশ্বাস করে এই প্রতীক অশুভ শক্তিকে দূরে সরিয়ে রাখবে! জাপানিদের মতো চীনাদেরও ভূতপ্রেত সম্পর্কে বেশ ভালোই ভয়ভীতি ছিল। মজার ব্যাপার হলো, চীনের ঘরবাড়ি ও পুল নির্মাণে একটা বিশেষ দেবতা চীনাদের প্রভাবিত করেছে। এই দেবতার নাম হলো শা। শা হলো একটা অপদেবতা। আর চীনারা বিশ্বাস করে এই অপদেবতা সব সময়ে সোজা রেখা বরাবর চলে। তাই এটাকে প্রতিহত ছাদে আঁকা হতো বক্রতা আর কোণ! গ্রিকদের জাদুবিদ্যার জন্য বিশেষ বর্ণমালার সৃষ্টি করেছিল। এগুলো লেখা হতো পবিত্র কালি দিয়ে। আর লেখার সময় বার বার পাঠ করা হতো।
👺ছোট্ট শিশুর দেহে ৫০ সুই
প্রাচীনকালে কালো জাদুর বহু ব্যবহারের কথা শোনা গেলেও এখন ততটা বড় আকারে জাদুচর্চা করার কথা শোনা যায় না। তবে একেবারেই থেমে নেই কালো জাদু। সাম্প্রতিককালেরএমন দুটি ঘটনা মিডিয়ায় আলোড়ন তুলেছে। ব্ল্যাক ম্যাজিকের শিকার হয়ে সরাসরি হাসপাতালে ভর্তি হয় মাত্র দুই বছর বয়সী এক শিশু। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাকে দ্রুত চিকিৎসা দিতে গিয়ে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গেলেন চিকিৎসক। কারণ এ-ক্সরে রিপোর্টে শিশুটির শরীরের ভিতরের বিভিন্ন অংশে পাওয়া গেল ৫০টির মতো সুই। সুইগুলো দেখেই ব্ল্যাক ম্যাজিকের কথা মনে পড়ে গেল। ৫০টি সুইয়ের মাঝে ১৭টি ছিল বাচ্চা ছেলেটির পরিপাকতন্ত্রের ভিতরে। এই ঘটনা ছড়িয়ে পড়ল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ঘটনার তদন্তের জন্য পুলিশ ডাকা হলো। পুলিশও প্রাথমিক মন্তব্য করল, কেউ একজন ব্ল্যাক ম্যাজিক বা কালো জাদুর অংশ হিসেবে ছেলেটির দেহে সুই ঢুকিয়ে দিয়েছে। প্রথম সুইটি পাওয়া গেল শিশুটির বাম ফুসফুসের ভিতরে। এক্স-রে করার পর দেখা গেল শিশুটির পেট, গলা, ঘাড় ও পায়ে মোট ৫০টির মতো সুই ঢুকানো হয়েছে। এরপর আর বুঝতে বাকি থাকে না শিশুটি ভয়াবহ ব্ল্যাক ম্যাজিকের শিকার হয়েছে। শিশুটিকে তার এক আত্মীয় হাসপাতালে নিয়ে আসে কিন্তু নিরাপত্তার স্বার্থে তার নাম প্রকাশ করেনি বিখ্যাত ডেইলি মেইল। ছেলেটির মায়ের নাম মারমা সুজা স্যান্তস। তিনি পুলিশকে জানান, যখন তিনি কর্মস্থলে যেতেন তখন শিশুটিকে দেখাশোনা করতেন শিশুটির দাদিমা। কিন্তু কেউ নিশ্চিত নন, শিশুটির দেহে কে সুই ঢুকিয়েছেন। ধারণা করা হয় তার সৎ বাবা এই কাজটি করে থাকতে পারেন কারণ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি ব্ল্যাক ম্যাজিক অনুশীলন করতেন। অভিযুক্ত অভিযোগ অস্বীকার করলেও এ নিয়ে বিস্তারিত তদন্ত চলছে।
👹 যেকোনো প্রশ্ন ও পরামর্শে যোগাযোগ নাম্বার : IMO, 01757786808