মেডিটেশন ‌কি ‌কেনো ‌কিবাবে ‌করবেন ‌‌মেডিটেশনের ‌উপকারীতা.

মেডিটেশন কি,কেন, কিভাবে করলে কি উপকার হয় জেনে নিনঃ-মেডিটেশন কি
মেডিটেশন হলো সচেতন দেহ মন এবং মস্তিষ্ককে শিথিল করার আধুনিক বৈজ্ঞানিক এবং সহজ প্রক্রিয়া। মেডিটেশনের মাধ্যমে আমরা আমাদের শরীরকে শিথিল এবং মন ও মস্তিষ্ককে প্রশান্ত করতে পারি। ফলে টেনশন অস্থিরতা মুক্ত হয়ে আমরা সচেতনভাবে দেহ-মনে সুখানুভূতি তৈরি এবং সবসময় তা উপভোগ করতে পারি। দৈনন্দিন জীবনে প্রতিটি কাজ করতে পারি অনন্দ নিয়ে, পেতে পারি সহজ সাফল্য। অর্থাৎ শারীরিক মানসিক বৈষয়িক প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রশান্তিতে থাকার জন্যে, মেডিটেশন হচ্ছে দেহমনে সে অবস্থা সৃষ্টির একটি সহজ বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া। যেমন, টেনশন। মেডিটেশনের প্রথম লাভই হলো টেনশনমুক্তি। বলা হয় টেনশন ও শিথিলায়ন একসাথে থাকতে পারে না। যে শরীরে টেনশন থাকে, সে শরীরে শিথিলায়ন থাকে না। আর শিথিল হলে টেনশন পালিয়ে যায়। আর আমরা এখন জানি, মনোদৈহিক ৭৫ ভাগ রোগের কারণই টেনশন। তাই মেডিটেশন করলে আপনি অনায়াসেই শতকরা ৭৫ ভাগ মনোদৈহিক রোগ যেমন, মাইগ্রেন, সাইনুসাইটস, ঘাড়ে-পিঠে-কোমরে বা শরীরের যেকোন স্থানে দীর্ঘদিনের ব্যথা, হজমের সমস্যা, আইবিএস, এডিডিটি, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, অনিদ্রা প্রভৃতি রোগগুলো থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন। আর যদি আপনি মেডিটেশন শুরুর আগে থেকেই এই সকল রোগে রোগান্বিত থাকেন তাহলে মেডিটেশনের মাধ্যমে তা চিরতরে নিরাময় থাকতে পারবেন। আর অন্যান্য রোগ নিরাময়েও ওষুধ ও সার্জারির পাশাপাশি সুস্থ জীবন -দৃষ্টি এবং মেডিটেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আপনি মেডিটেশন করার
মাধ্যমে শিখবেন অখন্ড মনোযোগ ও অল্পসময়ে পড়া আয়ত্ত করার টেকনিক। একজন গৃহিণী হিসেবে আপনি মেডিটেশন করে পাবেন সুখি পারিবারিক জীবন যাপনের আনন্দ। একজন পেশাজীবি হয়ে সবসময় মাথা ঠান্ডা রেখে আপনি নিতে পারবেন সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত। আর একজন সফল মানুষ হওয়ার জন্যে মেডিটেশনে মনছবি চর্চা করে আপনি আপনার জীবনের যেকোন চাওয়াকে পরিনত করতে পারেন স্বতঃস্ফূর্ত পাওয়ায়। আর ইবাদত উপাসনায় একাগ্রতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আত্মিক আধ্যাত্মিকভাবে আপনি অগ্রসর হতে পারেন ধ্যানের পথ ধরে। এভাবে একটি প্রশান্ত মন, সুস্থ জীবনে ও কর্মব্যস্ত সুখী জীবন যাপনের জন্যেই আপনার প্রয়োজন মেডিটেশন করা
যেভাবে শুরু করবেন মেডিটেশনঃ
খুব সাধারণ কিছু নিয়ম অনুসরণ করে আপনি অনায়াসেই হারিয়ে যেতে পারেন মেডিটেশনের গভীরে। ধ্যানের শক্তিকে কাজে লাগাতে পারেন দেহের স্বাস্থ্য উদ্ধারে, মেধার বিকাশে, সম্ভাব্য সংকট নিরসনে, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে, চেতনার অভ্রভেদী বিস্তারে। মেডিটেশনের প্রাথমিক প্রস্তুতি হিসেবে আপানাকে বেছে নিতে হবে একটা শান্ত নিরিবিলি জায়গা যেখানে কিছুক্ষণ সময় আপনি নিজের মতো করে কাটাতে পারবেন। প্রথমেই সহজ ভাবে বসুন। যেভাবে বসতে আপনি আরামবোধ করেন। এটা আপনি মেঝেতে বা বিছানায় বসতে পারেন বা পারেন চেয়ারে বসতে। মেডিটেশনের সময় হালকা আলো থাকবে। পর্যাপ্ত বাতাস থাকবে। কখনো অন্ধকার রুমে মেডিটেশন করবেন না। রাতে যখন মেডিটেশন করবেন সবসময় হালকা আলো জ্বালিয়ে করবেন। একটু যদি হাত মুখ ধুয়ে নেন বা ঠান্ডা পানির ঝাপটা মুখে দিয়ে নেন তো খুব ভালো হবে। এছাড়া ঢিলেঢালা আরামদায়ক পোশাক পরবেন। এবং চশমা খুলে নেবেন। যদি সকালে করেন তবে সকালে বারান্দার হালকা রোদে মেডিটেশন করতে পারেন। শুরু করার আগে আপনার যেকোন একটি আনন্দের ঘটনা বা স্মৃতিকে মনে করুন। মনে নিয়ে আসুন একটা আনন্দভাব। এবার হালকাভাবে চোখ বন্ধ করুন। চোখের দুই পাতাকে ধীরে ধীরে জোড়া লেগে যেতে দিন। এবার নাক দিয়ে লম্বা দম নিন। আস্তে আস্তে মুখ দিয়ে দম ছাড়ুন। দম নিতে নিতে আপনি ভাবুন প্রকৃতি থেকে অফুরন্ত প্রাণো শক্তি আপনার শরীরে প্রবেশ করছে। আর দম ছাড়তে ছাড়তে ভাবুন শরীরের সকল দূষিত পদার্থ বাতাসের সাথে বেরিয়ে যাচ্ছে। এবার কিছুক্ষণ ধীরে ধীরে নাক দিয়ে দম নিন, ধীরে ধীরে নাক দিয়ে ছাড়ুন। এবার মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করুন দমের ওপর। মনের চোখে কল্পনা করুন বাতাস কীভাবে নাক দিয়ে ঢুকছে, নাক দিয়ে বেরুচ্ছে। বাতাস স্বাভাবিক ভাবে যাওয়া আসা করুক। আপনি শুধু দমের প্রতি মনোযোগ দিন। এভাবে কিছুক্ষণ দম নেয়া এবং দম ছাড়ার পর আপনি অনুভব করবেন যে আপনার শরীর শিথিল হয়ে আসছে। এখন আপনি কল্পনা করুন একটা চমৎকার প্রাকৃতিক পরিবেশ যেটাকে কল্পনা করলেই আপনার মন প্রশান্তি আনন্দে ভরে উঠবে। এটাকে বলা যেতে পারে আপনার মনের বাড়ি। যে স্তরে মনের যেকোনো কল্যাণমুখী পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ব্রেনকে আপনি পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারবেন। যেমন মনে মনে বলতে পারেন, এখন থেকে আমার স্মৃতিশক্তি বাড়বে। আত্মবিশ্বাস ও সাহস বাড়বে। আমার মনোযোগ বাড়বে। শরীর ও মন সবসময় সুস্থ থাকবে। এবার জেগে ওঠার পালা। কিছু সময় এটা ১০, ১৫ বা ২০ মিনিটও হতে পারে মনের এক চমৎকার প্রশান্ত অবস্থায় কাটিয়ে আপনি মেডিটেশন থেকে বাস্তবে ফিরে আসবেন।  ..  উপকারীতা ..মেডিটেশন করলে কি কি উপকার পাউয়া যায় .মেডিটেশনের উপকার এক কথায় বলতে গেলে বহুমুখী ও বিবিধ। নিয়মিত মেডিটেশন করার ফলে আপনার জীবন হবে আরো সহজ, আরো সুন্দর, আরো উপভোগ্য। আপনি পাবেন সুস্থ দেহ, প্রশান্ত মন, কর্মব্যস্ত সুখি জিবন। মেডিটেশন করতে করতে একসময় থার্ড আই ওপেন হয়ে যায় তখন মেডিটেশনের দ্বারা আপনি যাহাই আকাঙ্খা করবেন তার বাস্তবে রুপ পাবেন। থার্ড আই ওপেন করে নিজের সকল চাহিদা মেটাতে পারবেন প্রিয়জনকে কাছে পাবেন। সবার মন জয় করতে পারবেন। উপকারীতা..
১. মেডিটেশনে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে। ২. হৃদরোগেরও উপশম হয় মেডিটেশনে। ৩. আবেগ, অভিমান, হীনম্মন্যতা দূর করে। ৪. মানসিক চাপ কমায়। ৫. চিন্তাশক্তির প্রথরতা বাড়ে। ৬. মনোকষ্ট দূর করে। ৭. দীর্ঘায়ু লাভ হয়। ৮. দেহতন্ত্রের সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সুন্দরভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। ৯. অনিদ্রা থেকেও মুক্তি পেতে সক্ষম। ১০. মনের উদ্বিগ্ন, হতাশা, অশান্তি দূর করে। ১১. স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক। ১৩. মনের একাগ্রতা বাড়ে। ১৪. প্রিয়জনকে ফিরে পাওয়া যায়। ১৫. পরিবারের প্রত্যেক জনের উপরে সুখের ছায়া রুপান্তর করা যায়। ১৬. যে কাউকে নিজের প্রতি আকৃষ্ট করা যায়। ১৭. চাকুরীতে তাড়াতাড়ি প্রমোশন লাভ করা যায়। ১৮. যেকারোর মাইন্ড পড়া ও বুঝা যায়। ১৯. আপনার মনের কথা গুলি অন্যের মাইন্ডে পৌঁছে দেওয়া যায়। ২০. সবখানে নিজেকে হাইলাইট হিসেবে প্রমাণ করা যায়। ইত্যাদি চাহিদা গুলি মেডিটেশনের দ্বারা পূরণ করা যায়। { বিঃদ্রঃ- উপরোক্ত আলোচনার দ্বারা আপনারা মেডিটেশন শুরু করতে পারেন। তবে ভালো হয় মেডিটেশন ফুল কোর্চ টি যেকোন ভালো মানের প্রতিষ্ঠান থেকে কোর্চ টি ফুল ফিল করা। বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে মেডিটেশন কোর্চ শেখানো হচ্ছে। আপনারা চাইলে আমাদের কাছ থেকেও মেডিটেশন কোর্চটি সংগ্রহ করতে পারেন আমাদের কাছ থেকে মেডিটেশন কোর্চ টি নিলে আপনারা অনেক লাভবান হবেন। কারণ আমরা মেডিটেশনের মধ্যে ত্রাটক বিষয়ক কয়েকটি অধ্যায় যোগ করেছি যেগুলো সম্পূর্ণ ফ্রিতে আমরা দিয়ে থাকি। তাই আমাদের কাছ থেকে মেডিটেশন কোর্চ টি সল্প মূ্ল্যেই সংগ্রহ করুন ও নিয়মিত কোর্চ টি মেকাপ করুন। ধন্যবাদ।} ইমু 01978142102/montrogurbd12@gmail.com

পুরাতন পোষ্ট গুলি দেখুন