আপনার অবচেতন মনের শক্তি

আপনার অবচেতন মনের শক্তি যা বদলে দিতে পারে আপনার জীবন।   আপনি আপনার অবচেতন মনের শক্তি সম্পর্কে ধারনা
করতে পারবেন না যতক্ষণ না পর্যন্ত এই শক্তিকে
আপনি পূর্ণভাবে ব্যবহার করছেন।অবচেতন মনের এই
শক্তি দিয়ে আপনি যে কোনো কিছু করতে পারবেন।
প্রতিনিয়ত আমাদের মস্তিষ্কে অসংখ্য নেতিবাচক
চিন্তা হানা দেয়।এইসব নেতিবাচক চিন্তা থেকে
আমরা নিজেদের একটা বলয়ে সীমাবদ্ধ করে ফেলি।
ফলে আমরা নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করতে চাই।এইসব
সীমাবদ্ধতা কিন্তু আমাদের নিজেদেরই সৃষ্ট,বাইরের
কোনো কিছু আমাদের মাঝে এই সীমাবদ্ধতা তৈরি
করে না।অর্থাৎ আমাদের চিন্তা-ভাবনার পদ্ধতিই
আমাদের নিয়ন্ত্রণ করে।আর এখানেই আপনি আপনার
অবচেতন মনের ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারেন।
কিভাবে অবচেতন মন কাজ করে?
আমাদের সচেতন মন যে কোনো কিছুর সিদ্ধান্ত এবং
পরিকল্পনা গ্রহণ করে বিভিন্ন তথ্য থেকে যা সে
গ্রহণ করে মস্তিষ্কের দুটি জায়গা হতে।এদের নাম
“Chatterbox” এবং “Higher-self” ।এরপর সচেতন মন
আমাদের অবচেতন মনকে সে পরিকল্পনা এবং
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ করতে বলে।অবচেতন মন
কিন্তু এর ভালো-মন্দ বিচার করতে যায়না বা কোনো
প্রশ্নও করে না সচেতন মনকে এসব নিয়ে।অবচেতন মন
শুধুমাত্র তার শক্তিকে ব্যবহার করে আমাদের
যেদিকে যেতে হবে সেদিকে পরিচালিত করে এবং
অতীতে আমাদের কাজের উপর ভিত্তি সামনে যা
করতে হবে তা বলে দেয়।
কিন্তু অবচেতন মনের একটা ব্যাপার হলো আমাদের
সচেতন মন যদি কখনো কোনো ভুল করে তবে সে ভুল
থেকে বের করে আনার দায়িত্ব নেয় সে নেয়।তখন
অবচেতন মন সচেতন মনকে তার দায়িত্বের কথা মনে
করিয়ে দেয় যা সে ভুলে গিয়েছে এবং ক্ষেত্র
বিশেষ সে নিজেই সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে।এটি
আপনি যেমন ভাবেন তার চেয়েও অনেক বেশি
শক্তিশালী।
অবচেতন মনের ক্ষমতা যা যে কোনো কিছু বদলে
দিতে পারেঃ
আমাদের মস্তিষ্ক সবসময় আমাদের চারপাশের
সমস্যা এবং সিদ্ধান্ত নিয়ে যুদ্ধ করে।কিন্তু
আমাদের মস্তিষ্ক যখন নতুন করে আমাদের
পারিপার্শ্বিকতা নিয়ে ভাবতে শুরু করে তখন কিছু
ব্যাপার পরিবর্তিত হতে শুরু করে যার কিছু লক্ষণ
আছে।এই পরিবর্তনের সময় আমাদের অবচেতন মনের
শক্তি সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে।এখানে কিছু উপায় দেয়া
আছে যার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার
চিন্তা-শক্তির উন্নতি হয়েছে।
ভয়ের অনুভূতি কমে যাবেঃ
যখন অবচেতন মনের শক্তি বাড়বে তখন আপনার আগে
যেসব বিষয়ের উপর ভয় ছিল তা কমে যাবে।আপনার
সীমাবদ্ধতার গন্ডিও আরো ছোটো হবে।আপনার
সচেতন মনেই তখন সূক্ষ্ম বুদ্ধিবৃত্তির বিকাশ ঘটবে।
আপনার হতাশার অনুভূতি ধীরে ধীরে কমতে শুরু করবে
যা আপনাকে সবসময় উদ্বিগ্ন করে তুলতো এবং যা
ছিল দূর্বল অবচেতন মনের বহিঃপ্রকাশ।অবচেতন মন
শক্তিশালী হলে আপনি যে কোনো কঠিন সময়েও
ভেঙ্গে পড়বেন না।
শান্তিঃ
আপনার চারপাশের ভয় যখন কমে যাবে তখন আপনি
এক ধরণের শান্তি অনুভব করবেন।আপনার অবচেতন মন
তখন তার পূর্ণ শক্তি নিয়ে কাজ করা শুরু করবে।
চারপাশের সবকিছুতে শান্তি অনুভব করবেন আপনি।
আপনার জীবনে অনেক কঠিন সময় আসবে কিন্তু তবুও
সেই কঠিন সময়ে আপনার চিন্তা-ভাবনাকে আপনি
সঠিক পথে পরিচালিত করতে পারবেন।অর্থাৎ
অবচেতন মনের শক্তি তখনই স্পষ্ট হয়ে উঠবে যখন
আপনি নিজেকে এবং চারপাশ নিয়ে শান্তি অনুভব
করবেন।
সুস্বাস্থ্যঃ
শক্তিশালী অবচেতন মনের আরেকটি ভূমিকা হলো
এটি আমাদের স্বাস্থ্যের উপরও প্রভাব ফেলে।যখন
অবচেতন মন আপনার মস্তিষ্কের সন্নিবেশিত তথ্য
নিয়ে কাজ করবে তখন আপনার মানসিক শক্তি বৃদ্ধি
পাবে এবং আপনার নিজেকে জরাজীর্ণ মুক্ত মনে
হবে।আপনি নিজের মাঝে তারুণ্যের শক্তি অনুভব
করবেন যারা নেতিবাচক চিন্তা করে তাদের চেয়ে।
আপনার এই মানসিক অবস্থা আপনার শারীরিক
অবস্থার উপরও প্রভাব ফেলবে।আমরা সবাই-ই জানি
মন ভালো থাকলে শরীরও ভালো থাকে।তাই অবচেতন
মনের শক্তি বৃদ্ধির ফলে আপনার শারীরিক অবস্থাও
ভালো থাকবে।আপনি কম রোগে-শোকে ভুগবেন।
আধ্যাত্নিকতাঃ
আপনি যখন অবচেতন মনকে অনুসরণ করা শুরু করবেন তখন
আপনার মাঝে আধ্যাত্নিকতার বোধ জাগ্রত হবে।
আপনি প্রার্থনা এবং মেডিটেশনের প্রতি অধিক
মনোযোগী হবেন তখন।আপনি আপনার জীবনে যে
সিদ্ধান্ত নিবেন তা হবে অনেক অর্থপূর্ণ। এখানে
আধ্যাত্নিকতা বলতে বুঝানো হয়েছে আপনি এমন
মানসিকতার হবেন যা আপনাকে সবসময় শান্ত,নিজের
লক্ষ্যের প্রতি অবিচল এবং আপনাকে সবসময়
জীবনের প্রতি ইতিবাচক থাকতে শেখাবে।এবং
আপনার অবচেতন মনের শক্তি দিয়ে আপনাকে
জীবনের যে কোনো প্রতিকূল অবস্থাকে অতিক্রম
করতে শেখাবে।
ভালো ঘুমের সহায়কঃ
আপনি আপনার অবচেতন মন থেকে যখন ধীরে ধীরে
সরে যাবেন তখন আপনি ইনসোমনিয়ায় আক্রান্ত
হবেন।আপনার মন প্রশান্ত থাকলে তখন আপনার
ভালো ঘুম হবে কারণ আপনার মস্তিষ্কের সব তথ্য তখন
“Chatterbox” থেকে অন্য জায়গায় গিয়ে জমা থাকে।
আমরা যখন ঘুমে থাকি তখন আমাদের সচেতন মন
দ্বারা আমরা যে সব তথ্য গ্রহণ করি তা অবচেতন মন
গ্রহণ করে।একই সাথে আপনি আপনার সচেতন মনকে
যাবতীয় হতাশা,দুশ্চিন্তা ঝেড়ে ফেলে একটা
ভালো ঘুম দেবার জন্য তৈরি করেন।
আত্মবিশ্বাসঃ
আমাদের আত্মবিশ্বাস সবসময় বাড়ে কমে আমাদের
মনের সৃষ্ট বিভিন্ন ভয় থেকে এবং এইসব ভয় আসে
ক্রমাগত আমাদের মস্তিষ্কের বিভিন্ন তথ্য হতে।
কিন্তু আমাদের অবচেতন মন যখন আমাদের উচ্চতর
চিন্তা-ভাবনা থেকে আরো তথ্য গ্রহণ করে তখন
আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ে।এই অবস্থায় আমরা
বুঝতে পারি যে আমরা আসলে কে! এবং আমরা সঠিক
সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারি।এর ফলে
নিজেদের প্রতি আত্ম-ভালোবাসা তৈরি হয়
আমাদের।
সাফল্যঃ
যখন আপনার চিন্তা-ভাবনা ইতিবাচক হবে তখন
আপনার সাফল্য অবশ্যই আসবে।আর্থিকভাবে এবং
যে কোনো সম্পর্কের ক্ষেত্রে আপনি সফল হবেন।
কারণ অবচেতন মন আমাদের ইতিবাচক চিন্তার পথ
দেখাতে সক্ষম।আপনার সফলতায় আপনি নিজেই
অনুপ্রাণিত হবেন তখন।এভাবে এক সময় অবচেতন মন
দ্বারা চালিত হওয়া আপনার দৈনন্দিন ব্যাপার হয়ে
দাঁড়াবে।

দুর দেশের খবর জানার মন্ত


দুর দেশের খবর জানার মন্ত
***দুর দেশের খবর জানাঃ *****
দুর দেশের খবর জানাঃ “আগম নিগম কী খবর লগাবে
সোহহং পারব্রহ্ম কো নমস্কার।” বিধিঃ অনেক
তান্ত্রিক আছে যারা মনে করে যদি কোন ভাবে এক
স্থানে বসে অন্য স্থানের খবর বলে দেওয়া যায়
তাহলে কেমন হয়। অনেক তান্ত্রিক অবশ্য বিভিন্ন
সাধনা দ্বারা এবং কেউ কেউ শুধু মাত্র অনুমান ও
অভিজ্ঞতার দ্বারা অনেক সময় নির্ভূল তথ্য দিয়ে
থাকে যা অনেকে জ্বিন সাধনা বলে চালিয়ে দেয়,
আসলে একজন জ্বিন সাধক কোথাও আসর বসিয়ে
অন্যের খবর বলার মত কাজ করে পেট চালাবে না।
এটি একটি মিথ্যাকথা।। যা হোক আপনি যদি এমন
কাজটি করতে চান তবে উপরোক্ত মন্ত্রটি বিধি
পূর্বক কোন শুভক্ষণে শুরু করে একাধারে ৪০ দিন ২৫০
বার করে জপ করতে হবে। এরপর এটি সিদ্ধ হবে তখন
সাধক কোন সুদ্ধাশনে বসে চোখ বন্ধ করলেই তার
সামনে সে যা জানতে চায় তা দেখতে পাবে।

শিক্ষা থীদের নিদেশনা




শিক্ষা থীদের নিদেশনা
গভির রহস্যপূর্ন এই আত্নিক বিজ্ঞান শিক্ষা করিতে
শিক্ষার্থীর আত্নবিশ্বাস, স্থির সংকল্প, অধ্যবসায়
ও সহিঞ্চুতা থাকা আবশ্যক। যে কেহ এই কয়টি
মানষিক গুনের সাহায্য এই গুপ্ত বিদ্দ্যা ও শাখা
বিজ্ঞান সমূহ হাতে কলমে শিক্ষা করিতে সমর্থ।
উক্ত গুণগুলোর সহায়তায় যে কেবল এই বিদ্দ্যা
চর্চ্চায় সাফল্য লাভ করা যায়, তাহা নয়,
যথোপযুক্তরুপে প্রযুক্ত হইলে উহারা প্রত্যেক গৃহীত
কার্যেই মানুষকে সিদ্ধি দান করিয়া থাকে।
ফলতঃ মানুয়ের কর্ম্ম-জীবনের সাফল্য সমধিক
পরিমাণে উহাদের উপরেই নির্ভর করে।
শিক্ষার্থীর সর্ব্বাগ্রে চাই আত্ন-বিশ্বাস। সে এই
বিদ্দ্যা শিক্ষা করিয়া কৃতকার্য্য্  হইতে সম্পূর্ন
সমর্থ, এরুপ স্থির ধারনাকেই “আত্ন-বিশ্বাস” বা
আত্ন-প্রত্যয় বলে। আত্ন-বিশ্বাসি ব্যক্তিগণ অত্যন্ত
কঠিন কার্যেও সিদ্ধিলাভ করিতে পারেন। আর
স্বীয় ক্ষমতার প্রতি আস্থাশূন্য ব্যক্তি সহজ কার্যেও
সর্ব্বদা বিফলমনোরথ হয়। সংসারের সকল কর্ম্ম
অপেক্ষা নিদ্রিত মনঃশক্তিকে জাগ্রত করিতে
সর্ব্বাপেক্ষা অধিক আত্ন-বিশ্বাসের প্রয়োজন।
এজন্য তাহাকে স্বীয় ক্ষমতার প্রতি দৃঢ়রূপে
আস্থাবান হইয়া শিক্ষায় প্রবৃত্ত হইতে হইবে। তজ্জন্য
তাহাকে এরুপ একটি ধারনা হৃদয়ে সর্ব্বদা বদ্ধমুল
রাখিতে হইবে যে, যখন সহস্র সহস্র ব্যক্তি এই
বিজ্ঞান শিক্ষা করিয়া সফলকাম হইয়াছে তখন সেও
ইহা শিক্ষা করিতে পারিবে। দৃঢ় আত্ন-প্রত্যয়ের
সহিত সে এই উপদেশ গুলির প্রতিও বিশ্বাস স্থাপন
করিবে, অন্ন্যথায় তাহার সিদ্ধি লাভের আশা অতি
অল্প। চিকিৎসক প্রদত্ত কোন ঔষধের প্রতি রোগীর
বিশ্বাস না থাকিলে যেমন উহার সাহায্য রোগীর
রোগ আরাগ্য হয় না। সেইরুপ এই উপদেশ গুলির প্রতি
আস্থা শূন্য হইলে এই বিদ্দ্যা শিক্ষায় সেও সাফল্য
লাভ করিতে পারিবে না।
তৎপরে সিদ্ধি লাভের নিমিত্ত তাহার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা
চাই।সংকল্পের দৃঢ়তাই সিদ্ধি লাভের আদি কারণ।
স্থির সংকল্প ব্যতীত কেহ কখনও এই অদ্ভুত ক্ষমতা
লাভ করিতে সমর্থ হয় না। দুই সপ্তাহে হউক, দুই মাসে
হউক অথবা অপেক্ষাকৃত অধিক সময়েই হউক, যে
পর্যুন্ত তাহার অভীষ্ট সিদ্ধি না হইবে, তদবধি সে
কখনও সংকল্প ভ্রষ্ট হইবে না।এ বিষয়ের কিছু, ও
বিষয়ের কিছু শিক্ষা করা যাহাদের স্বভাব এবং
যাহারা একটি কার্য্য আরম্ভ করিয়া উহার সুসম্পন্ন
না হইতেই অপর বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে, তাহারা এই
সকল গুপ্ত বিজ্ঞান শিক্ষার উপযুক্ত পাত্র নহে।
অতএব, যদি সে এই অদ্ভুদ রহস্যপূর্ন বিষয়টি শিক্ষা
করিতে আন্তরিক অভিলাষী হইয়া থাকে, তবে যে
পর্যুন্ত এই শক্তি তাহার আয়ত্তাধীন না হয়, ততদিন
সে, “নিশ্চিয়ই সিদ্ধি লাভ করিব” বলিয়া দৃঢ়
প্রতিজ্ঞ থাকিবে।
তৎপরে তাহার অধ্যবসায় ও সহিঞ্চুতা অবশ্যক। এই
কর্ম্মময় সংসারে এমন কার্য্য অতি বিরল যাহা
অধ্যবসায় ও সহিঞ্চুতা বলে সম্পন্ন হয় না। একটি
কার্য্য প্রথমে যত কঠিন বলিয়াই বোধ হউক, অধ্যবসায়
ও সহিঞ্চুতার সহিত চেষ্টা করিলে উহা নিশ্চয়
সুসম্পন্ন করা যায়। এই বিষয়গুলো এখানে যতদুর সম্ভব
সরল ভাষায় লিখিত হইয়াছে, এবং আমি আশা করি
যে, শিক্ষার্থী এই নিয়ম-প্রনালীগুলো যথাযথরুপে
অনুসরণ করিলে, সে প্রথম বা দ্বিতীয় চেষ্টাতেই
“শারীরিক পরীক্ষাগুলিতে” কৃতকার্য্য হইবে।আর
যদি সে শিক্ষার প্ররাম্ভে উহাতে দুই-একবার
অকৃতকার্য্য হয়, তথাপি নিরাশ হইয়া চেষ্টা
পরিত্যাগ করিবে না। বরং ধৈর্য্যবলন পূর্ব্বক দ্বিগুন
উৎসাহের সহিত পূনঃ পূনঃ চেষ্টা করিবে এবং
উহাতে সাফল্য লাভ না হওয়া পর্য্যন্ত চেষ্টায় বিরত
থাকিবে না।শিক্ষার্থী শুনীয়া হয়তো আশ্বস্ত হইবে
যে, আমার শিক্ষার প্রাককালীন কোন একটি
বিশেষ পরীক্ষায় আমি ৩৮ বার অকৃতকার্য্য হইয়াও
চেষ্টা পরিত্যাগ করি নাই। ফলতঃ অকৃতকার্য্যতা
হইতে অভিজ্ঞতা জন্মে এবং পরে সেই অভিজ্ঞতাই
মানুষকে যথাসময়ে সিদ্ধির পথে পরিচালিত করিয়া
থাকে।
শিক্ষার্থী আমার নিয়মগুলো সর্ব্বদা গোপনে
রাখিবে, এবং উহার এক বর্নও কাহারো অলস
অনুসন্ধিৎসা পরিতৃপ্তির জন্য কদাপি প্রকাশ করিবে
না।কারন ইহা একটি গোপন বিষয়।যে কোন গুপ্ত বিষয়
গোপনে রক্ষা করার উপরেই উহার কার্য্যকরী শক্তি
নির্ভর করে। এজন্য সাধু-সন্ন্যাসীদের নিকট হইতে
প্রাপ্ত কিম্বা স্বপ্নলব্ধ ঔষধাদির নাম লোকে
অপরের নিকট প্রকাশ করে না। ইহার কোন অংশ যদি
তাহার সহজ বোধ্য না হয়, তবে যে বরাবর আমার নিকট
মোবাইল বা মেইল যোগে যোগাযোগ করিবে।এবং
উহা সবিস্তরে বুঝিয়া লইবে।কিন্তু কখনও অপরকে
দেখাইয়া বুঝিয়া লইবার চেষ্টাও করিবে না।আর সে
কখনও উহার নিয়ম-প্রনালীগুলো অপর কোন ব্যক্তি বা
বই থেকে নিয়ম-প্রনালীর সহিত মিশ্রিত করিয়া
কার্য্য করিবে না।।আমি আমার সাইটের মাধ্যমে
এবং যোগাযোগের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট সময়ের
মধ্যে এই বিদ্দ্যা শিখাইয়া দিব বলিয়া প্রতিশ্রুতি
দিয়াছি।সুতারাং সে তাহার শিক্ষার ভার আমার
উপর সম্পূর্ণরুপে ন্যস্ত রাখিয়া নিশ্চিন্তে থাকিতে
পারে। যদি এই নিষেধ সত্ত্বেও কোন শিক্ষার্থী
ঐরুপ কোন কার্য্য করে, তবে তাহার কৃতকার্য্যতার
জন্য আমি দায়ী হইবো না।
পদার্থ বিজ্ঞানের ন্যায় ত্রাটক বিদ্যারো ভালো-
মন্দ দুইটা দিক আছে, এবং এই শক্তি লোকের উপকার
এবং অপকার দুই রকম কার্যেই নিয়োজিত হইতে
পারে। এই শক্তি দ্বারা মানুষের যেমন অশেষ প্রকার
মঙ্গল সাধন করা যায়, পক্ষান্তরে আবার উহার
সাহায্যে তাহার গুরুতর অনিষ্ঠও সাধিত হইতে পারে।
এই নিমিত্ত শিক্ষার্থীর নিকট আমার একটি বিশেষ
অনুরোধ এই যে, সে যেন মৎ প্রদত্ত এই উপদেশগুলোর
সাহায্যে শক্তি লাভ করিয়া কাদপি কাহারো
কোনরুপ অনিষ্ঠের চেষ্টা না পায়। যাহারা হীন
স্বার্থের  বাশবর্তী হইয়া এই শক্তির সাহায্যে
লোকের অনিষ্ট করিতে প্রবৃত্ত হয়, তাহারা সমাজের
পরম শত্রু। তাহারা মানুষের বিচারালয়ের কবল হইতে
মুক্তি পাইতে পারিলেও পরম নিয়ন্তার বিচারালয়ে
তাহাদের কৃত পাপের সমুচিত দন্ড পাইবে।
শিক্ষার্থী সদুদ্দেশ্যে অনুপ্রানিত হইয়া এই বিদ্দ্যা
চর্চ্চা রুপ সাধনায় প্রবৃত্ত হইলে, সে অল্পায়াসেই
সিদ্ধি লাভে সমর্থ হইবে। ইহাতে কোন সন্দেহ নাই।।

অদৃশ্য হবার কালো যাদু


অদৃশ্য হবার কালো যাদু মন্ত
ম ন্ত্রঃ বিসমিল্লাহির রহমানির
রহিম।
আলি বা তা ছা-
ইয়া ফা ওয়া হা;
ক্বাফ আলিফের হরফন-
জ্বীন সূরার বাদশা।
দোহাই কামাখ্যা মা;
কেউ যেনো না দেখে মোরে-
দেখলে মা পদ্মা হবে"
রাবণের মহা স্বচ্ছর.!
ডানে থাক ইসরাফিল-
বামে থাক মনাইসা মা"
শরীর এক্ষণি গায়েব হয়ে যা.!
বাক্যের দাপটে বাক্য লড়ে;
বাক্য যদি লড়ে চড়ে-
দোহায় মা পদ্মার মাথা জটা;
কার্তিকের পায়ে পড়ে।
নিয়মঃ মন্ত্র ১২০০ বার পাঠ করে
সিদ্ধি করে নিতে হবে। তারপর ১০৮
বার পাঠ করে প্রয়োগ করতে হবে।
নোটঃ আমার কাছে অনুমতি নিয়ে
কাজ করতে হবে। অন্যথায় বিপদের
সম্মুক্ষিন হতে হবে।।  আপনারা যারা এই অদৃশ্যা হবার
কালো যাদু বিদ্যা টি শিখতে চান আমাদের।সাথে যোগা যোগ করুন। ১০০%গ্যারান্টিতে পশীক্ষন দেয়া হয়
বিফলে পুরো মুলো ফেরত।

গুরুজীর ব্যক্তিগতো জীবনি একটি অধ্যায়


।গুরুজীর ব্যক্তিগত জিবনী হতে একটি
অধ্যায়
প্রচীনকাল থেকেই তিব্বতীয় তান্ত্রিক ও লামাদের
মধ্যে ‘তৃতীয় নেত্র’ জাগরণের সাধনা প্রচলিত আছে
এবং এখনও লামাদের মধ্যে এই বিচিত্র সাধনা পদ্ধতি
অনুসৃত হয়। নিচে এক পর্যটকের প্রত্যক্ষ করা এই
বিচিত্র সাধনা পদ্ধতির বিবরণ দেওয়া হল। তন্ত্র
সাধনায় ভারতের থেকে তিব্বত অনেকটা এগিয়ে
আছে। ওখানে লামাদের অদ্ভুত ক্ষমতা সত্যিই
আশ্চর্যের বিষয়। বেশ কিছু পর্যটক তাদের তিব্বত
যাত্রার বিবরণীতে অনেক প্রকার চমৎকার ঘটনার
বর্ণনা দিয়েছেন। তারা হাওয়ায় ভেসে বেড়াতে
পারে এমনও বলা হয়েছে। এছাড়া লামাদের যে সব
পরম্পরাগত নিয়মানুসারে বিচিত্র ও অদ্ভুত পদ্ধতিতে
উত্তরসূরী মনোনীত করা হয় তার কার্যক্রম বেশ রহস্যে
ঘেরা। এক লামার মৃত্যুর পর তার অনুগামী শিষ্যেরা
খোঁজ করত তিনি আবার কোথায় জন্ম নিয়েছেন। এই
কারণে সকল অবতারকেই লামা বলা হত। লামাদের
পুনর্জন্মে পূর্ণ বিস্বাস ছিল তাই তারা উক্ত লামার
মৃত্যুর পর তার পুনর্জন্ম কোথায় হয়েছে তা খুঁজে বার
করত। তিব্বতকে তন্ত্রানুগামী রহস্যময় দেশ বলা হয়।
তারী লামাদের বিবরণ এখনও তিব্বতে বিদ্যমান।
তিব্বতের লামরা, যারা বৌদ্ধধর্মাবলম্বী, তারা
পুনর্জন্মে বিশ্বাস রাখে। এর স্পষ্ট অর্থ হল যে তারা
আত্মার অস্তিত্বে বিশ্বাসী। এই প্রসঙ্গে একটি সত্য
ঘটনার উল্লেখ করছি।
মাথার উপর কান পর্যন্ত ঢাকা রোয়া ওঠা চামড়ার
টুপি ও গাঢ় লাল রঙের হাঁটু পর্যন্ত ঢাকা গাউন পরে
একটি উচু কালো টিলার উপর বসে সে ধ্যানমগ্ন ছিল।
তার ডানহাতে সোনা দিয়ে নক্সা করা একটি পবিত্র
চক্র বরাবর ঘুরছিল এবং তার মুখ থেকে খুব নিচু স্বরে
“ওঁং পদ্মে মণি হুম” ধ্বনি সর্বদা শোনা যাচ্ছিল। তার
ফর্সা, সংকুচিত চেহারা ছিল যথেষ্ট আকর্ষক। আমি
চুপ করে তার সামনে দাঁড়িয়েছিলাম। ধ্যানমগ্ন
অবস্থায় তাকে কিছু জিজ্ঞাসা করা উচিত নয় এই
ভেবে।
আমার এই দীর্ঘ রোমঞ্চকর যাত্রাপথে এমন বহু লামার
সাক্ষাৎ পেয়েছি, কিন্তু এই বৃদ্ধ লামার চেহারায় যে
তেজ দেখেছি এমনটা আর কারও মধ্যে দেখিনি।
যৌবনকালে সে নিশ্চয়েই অদ্ভুত ধরনের ছিল। আমি
কল্পনায় মগ্ন ছিলাম। কিন্তু দৃষ্টি বরাবর তার উপরেই
ছিল। তার হাতের চক্র একই গতিতে ঘুরে চলেছিল।
চক্রের ঘূর্ণন ও শব্দ পরিবেশকে অমৃতময় করে
রেখেছিল।
হঠাৎ ঐ বৃদ্ধ লামা আমার উপস্থিতির কথা বুঝতে
পারল। সে চোখ মেলে তাকাল। গম্ভীর স্বরে আমাকে
প্রশ্ন করল, ‘তাহলে তুমি এসে গেছ?’
কাল তুমি লমছোংগে ছিলে না? অপরিচিত ঐ
ব্যক্তির সঠিক প্রশ্ন শুনে আমি হতবার হলাম।
“গ্যাংটক থেকে রবিবার রওনা হয়েছে?”
আমি বিনয়ের সঙ্গে বললাম, “ আজ্ঞে হ্যাঁ”
সে এবার তার হাতের ঘূর্ণায়মান চক্রটি থামিয়ে
অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে সেটাকে চুম্বুন ও নমস্কার করে
নিজের চামড়ার থলির মধ্যে রেখে দিল। যন্ত্রটি
চক্রাকারে ঘোরানো লামাদের একটি পবিত্র কর্ম
অনেকটা আমাদের মালা জপ করার মতো। সেই উঁচু
টিলা থেকে নিচে নেমে সে ঠিক আমার সামনে
এসে দাঁড়াল। বলল, “তামাং গুম্ফা যাবে না?”
হ্যাঁ। আমি প্রত্যত্তরে বললাম।
সে এবার আগে আগে চলতে লাগল আর আমি তাকে
অনুসরণ করতে লাগলাম। এবার আমার পূর্ণ বিস্বাস হল
যে উক্ত লামা নিশ্চিত কোন সিদ্ধ পুরুষ। মানুষের
মনের কোন খবরই তার অজানা নয়। তাকে কিছু বলার
প্রয়োজনই হল না। সে সবই জানত। ঠিক এই রকমই
লমছোংগেও এক লামার দেখা মিলেছিল।
আমাকে দেখেই সে বলেছিল “তামাং গুম্ফা যাবে
না?”
আমি হ্যাঁ বলার পর সে ওখানে যাবার
পথ বাতলিয়ে দিয়েছিল।
সকাল সকাল উঠে ভাড়া করা খচ্চরের পিঠে আমি
রওনা হলাম। খচ্চরওয়ালা পাহাড়ের তলদেশে এসে
আমাকে বলল, “তামাং গুম্ফা এই পাহাড়েই আছে”
সে দুবার রাস্তার হদিশ দিয়ে চলে গেল, বলল, “উপরে
গিয়ে কাউকে জিজ্ঞাসা করে নেবে” আমি ও ঠিক
তেমনই করলাম। চড়াই পেরিয়ে অনেক সংকীর্ণ ও
কঠিন রাস্তা পাড়ি দিয়ে উপরে এসে সর্বপ্রথম সেই
লামাকেই নজরে এল, যে ধ্যানমগ্ন ছিল এবং এখন
আমাকে তার সাথে নিয়ে যাচ্ছে।
কিছুটা দূরে ঘূর্ণায়মান পথ ছিল। বড় বড় পাহাড়ের
পাশ দিয়ে ঘুরে ঘুরে ঐ পথ নিচে নেমে গেছে।
কিছুটা পথ পেরোতেই একটি বড় গোল গম্বুজওয়ালা
বাড়ি নজরে এল। এর কালো পাথর ও গঠনশৈলী বলে
দিচ্ছিল যে এটা একটিা গুম্ফা। হয়তো এটাই তামাং
গুম্ফা।
এর সংকীর্ণ পাথরের দরজা দিয়ে সে ভিতরে চলে
গেল। আমি তাকে অনুসরণ করলাম। আসলে এটা একটা
খব সুন্দর গুম্ফা। এখানে বেশ কিছু ভগবান বুদ্ধের মূর্তি
বানানো আছে।
যত্রতত্র অনেক লামাকে দেখতে পাওয়া গেল। তাদের
মাথায় কান পর্যন্ত ঢাকা টুপি, রং বেরং এর
গাউনপরা এবং প্রায় সবারই হাতে ধর্মচক্র ঘুরছে।
গুম্ফার মধ্যে থেকে “ওঁম্ পদ্মে মণি হুম” এর মিষ্টি
ধ্বনি শোনা যাচ্ছে। ঐ লামা সোজা সামনের ঘরে
চলে গেল। সেই ঘরে ভগবান বুদ্ধের একটি সম্পূর্ন নগ্ন
মূর্তি রাখা আছে।
তার নিচে পাথরের কয়েকটি চেয়ার রাখা আছে।
একটি চেয়ারে তিনি নিজে বসে আমাকেও বসতে
ইঙ্গিত করলেন। আমি বসে পড়লাম।
“এটিই তামাং গুম্ফার” তিনি বললেন। জিজ্ঞেস
করলেন, “কার সাথে দেখা করতে চাও?”
ঐ গুম্ফার শান্ত, ধার্মিক ভাবগম্ভীর পরিবেশে আমি
মুগ্ধ হলাম। প্রশ্ন শুনে আমি যেন স্বপ্ন থেকে জেগে
উঠলাম। সঙ্গে সঙ্গে বললাম ‘লাম গুরু ছেরিংগের
সাথে। ওনার নিমন্ত্রণেই আমি এখানে আসতে সাহসী
হয়েছি।
উত্তর শুনে লামার মুখে চওড়া ব্যঙ্গ হাসি ফুটে উঠল।
হয়তো উনি আমাকে উপহাস করছিলেন। হঠাৎই আমি নত
মস্তক হয়ে অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে বললাম “ আপনাকে
প্রণাম”
লামা ছেরিংগ হেসে উঠলেন। এবার বললেন “এ
যাত্রা তো খুবই দর্গম তবে বিশেষ কষ্ট হবে না।” আমি
বললাম, “না প্রভু এ যাত্রা তো দুর্গম বলে মনে হয়নি
বরং বেশ রুচিকর বলেই মনে হয়েছে।” “তোমার চিঠি
গ্যাংটক থেকে আমার লোক গিয়ে নিয়ে এসেছিল।
কিন্তু তুমি জানো কি যে ওটা ছিল সিকিম আর এটা
তিব্বত?”
আমি হেসে ফেললাম।
“তোমার সাথে ভিক্ষুণী মায়ার দেখা হয়েছে?”
আমি বললাম, হ্যাঁ পথে দেখা হয়েছিল। সে বলেছিল,
আপনি তামাংদেরই একজন। “এখানে আসার ইচ্ছা তো
তখনই ছিল, কিন্তু তোমার আসার কথা শুনে দেরি হল।
চিনারা এখানকার অনেক কিছুই তছনছ করে দিয়েছে।
এখন আমি ও এখান থেকে চলে যাব।”
আমি আমার সামনে গম্ভীর হয়ে বসা লামা গুরু
ছেরিংগকে অবাক হয়ে দেখতে লাগলাম। মনে প্রশ্ন
জাগলো, সর্বব্যাপী , সর্বত্র, অন্তর্যামী যিনি, যিনি
এতবড় একজন সাধক, সেই লামাগুরু কেন চিনাদের হাত
থেকে এই সব জিনিসকে বাঁচাতে পারলেন না? তন্ত্র
কি এতই দুর্বল?
আমাকে মৌন দেখে লামা গুরু ছেরিংগ বলে উঠলেন,
তুমি যা চিন্তা করছো তা আমি বুঝতে পারছি। হয়তো
পথেও এই কথা তোমার মনে এসেছিলো। কিন্তু দেখ
আমরা প্রকৃতির কাজে বাধা দেই না। দুশো বছর আগে
আমাদের গুরু বলেছিলেন, তিব্বতের উপর একদিন হলুদ
রাক্ষসের জোরদার আক্রমন হবে। আমাদেরকে এটা
প্রতিহত করতে হবে। কিন্তু েএর ফলে প্রকৃতির পূর্ভ
নির্ধারিত নিয়মকে ভাঙ্গতে হবে। একে আমরা কেমন
করে ভাঙ্গব? না তা সম্ভব নয়। এ সব আমাদের ভুগতেই
হবে। এটাই নিয়তি।
উনি উঠে গেলেন। হঠাৎ আমি চমকে গেলাম। ওখান
থেকেই চিৎকার করে বললেন ঠুনঠুন ! এ তুমি কী করছো?
এ কথা বলেই উনি খুব জোরে ছুটে গেলেন।
আমি এক মুহুর্তের জন্য অবাক হয়ে তখনি তার পিছু
ধাওয়া করলাম। হয়তো গুম্ফার মধ্যে কোন অঘটন ঘটে
গেছে। তার পূর্বাভাস পেয়েই লামা ছেরিংগ ছুটে
গেছেন। উনি সামনের দরজা খুলে উপরে উঠতে
লাগলেন।
ওটা একটি গলির দরজা। গলির শেষে সিঁড়ি। সিঁড়ির
উপর আবছা আলো। ওনার পিছনে আমিও ছিলাম।
সিঁড়িতে চড়তেই সামনে একটা ছোট সবুজ মাঠ দেখতে
পেলাম। চারিদিকে উচুভুমি দিয়ে ঘেরা।
লামা গুরু ছেরিংগ সামনে এগিয়ে গেলেন।
কিছু দুর থেকে আমি দেখলাম একটা নিম গাছের
নিচে বেশ বড় জায়গা ঘিরে আগুনের বেষ্টনী জ্বলছে
আর তার উপরে একটা কড়াই চড়ানো আছে। ঐ কড়াইতে
অজানা কোন বস্তু ফুটছে। নিম গাছের সাথে একটা
চোদ্দ পনের বছরের ছেলেকে বেঁধে রাখা হয়েছে।
তার হাত পা পিছমোড়া করে বাঁধা। পা থেকে কোমর
পর্যন্ত তার গাছের সাথে বাাঁধা। হয়তো ছেলেটা খুব
ঘাবড়িয়ে গেছে। ভয়ের কারণে সে মাঝে মাঝেই
জিভ দিয়ে শুকনো ঠোটেকে ভিজিয়ে নিচ্ছল।
লামা গুরু ছেরিংগ কিছুদুর থেকে চেঁচিয়ে
জিজ্ঞাসা করলেন-ঠুনঠুন! ত্রি জটার মালিশ দিয়েছ
একে? কড়াইটার পাশে একটি বেটে লামা
দাঁড়িয়েছিল। তার হাতের ত্রিশুলটা ঝকমক করছিল।
সে ছেলেটাকেই মনোযোগ দিয়ে দেখছিল।
হঠাৎ লামা গুরু ছেরিংগ এর কষ্ঠস্বর শুনে চমকে ঘুরে
তাকাল। ততক্ষণে লামা গুরু ছেরিংগ তার একদম
পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। উনি তার বক্তব্যের
পূনরাবৃত্তি করলেন। লামা ঠুঠুন যেন চমকে গেল। তার
চেহারা ফ্যাকাশে হয়ে গেল। হয়তো সে তার নিজের
দোষ বুঝতে পেরেছিল। তার মাথা নিচেু হয়ে গেল।
তিনি আরও বললেন- আমি সব দেখছিলাম। আমি যদি
সব দিকে নজর না রাখি তাহলে তোমরা যে কী করে
বসবে তা জানি না। ছেলেটা মরে যেত যে।
লামা ঠুনঠুন ভীতস্বরে অত্যন্ত বিনীত ভাবে বলল,
গুরুদেব, আমি ভুলে গেছিলাম।
তিনি বিরক্ত হয়ে বললেন, তুমি সরে যাও। শেষ পর্যন্ত
এ কাজ আমাকেই করতে হবে।
বেঁটে লামা মাথা নিচু করে একদিকে সরে গেল। হঠাৎ
লামা গুরু ছেরিংগ এর খেয়াল হল যে আমি এখানে
আছি। তিনি তিব্বতী ভাষায় সবাইকে সব কিছু বুঝিয়ে
বলে দিলেন। এতে সবাই নিশ্চিন্ত হয়ে গেল।
আমি আর একটু কাছে চলে গেলাম।
ছেরিংগ বললেন- চুপ চাপ সব দেখে যাও।
আমি নির্বাক, পাথরের মতো দৃষ্টি নিয়ে সব কিছু
দেখতে লাগলাম। এবার লামা গুরু ছেরিংগ কড়াইতে
রাখা হাল্কা ছাই রঙ্গের বস্তুটিকে হাতার সাহায্যে
ছেলেটির সারা দেহে ছিটিয়ে দিতে লাগলেন।
যেভাবে হোলির সময় বাচ্চারা নোংরা বস্তু দেহে
ছুড়ে মারে, ঐ ভাবেই বস্তুটি তার সারা শরীরে
পড়তে লাগলো। যেখানে পড়ছে সেখানেই তা আটকে
যেতে লাগল আঠার মতো। ছেলেটি সমানে চীৎকার
করে যেতে লাগল। তার শরীরের মাংস, চর্বি সব গলে
গলে নিচে পড়তে লাগল। কিছুক্ষণ বাদে ছেলেটা
মাখামাখি হয়ে গেছে। তার সাথে সাথে তার
দেহের সব মাংস ও চর্বি গলে গলে নিচে পড়তে
লাগল। তার মাংস, চর্বি ও রক্ত গলে গলে পড়ছিলো ও
পায়ের দিকে গড়িয়ে নিচে জমা হচ্ছিল। মানব
দেহের মাংসের খন্ড ও চর্বি এইরকম শ্মশানে চিতায়
জ্বলতে দেখেছি বা কোন পুড়ে যাওয়া মানুষের
শরীরে দেখেছি। কিন্তু এখানে তো সরা শরীর গলে
গলে পড়ছিল। ঠিক যেমন জ্বলন্ত মোমবাতীর মোম
গলে গলে পড়ে। তার শরীরের সব মাংস মোমের মত
গলে গলে নিচে পায়ের কাছে জমা হচ্ছিল। রক্তের
ধারা আমার কাছ পর্যন্ত এসে গেছিল।
হতবাক হয়ে আমি সব কিছু দেখছিলাম। বিষ্ময়ে চোখ
বিস্ফারিত হচ্ছিল। আমার লোমকুপ ভয়ে খাড়া হয়ে
যাচ্ছিল। দেখতে দেখতে ছেলেটির দেহ কঙ্কালে
পরিণত হল। হাড় দিয়ে তৈরী একটি কঙ্কাল। তার সেই
সুন্দর শরীর নিমেষেই শুধু হাড় বিশিষ্ট কঙ্কালে
পরিণত হল।
একবার লামা ছেরিংগ ঘুরে আমাকে দেখলেন। তার
আগুনের গোলার মতো চোখ দেখে আমি ভীত-সন্ত্রস্ত
হলাম এবং পিছে হটে গেলাম। পা বাঁধা কঙ্কালটা
খাড়া হয়ে দঁড়িয়েছিল। তাকে যা দিয়ে বাঁধা
হয়েছিল সেটাও গলে গেছিল। তার সমস্ত মাংস, চর্বি
গলে নিচে পড়েছিল। লাল, সাদা রঙ্গের টুকরোগুলো
টপটপ করে পড়ছিল।
হঠাৎ উপস্থিত সব লামা নিজেদের অঞ্জলি ভরে ভরে
ঐ রক্ত মাংস, চর্বি ইত্যাদি কড়াইতে ফেলতে
লাগলো। দেখতে দেখতে সবটাই কড়াইতে রাখা শেষ
হলো। মাংস ভাজার তীব্র কটু গন্ধে আমার মাথা
ঘুরতে লাগল। ঐ সব জিনিসগুলো খুব দ্রুত কড়াইতে
ফেলা হয়েছিল। লামারা কোন অশ্রুতপূর্ব শব্দ বলে
যাচ্ছিল। যখন সবটা কড়াইতে ফেলে নাড়া চাড়া
করা শেষ হল তখন আবার হাতার সাহায্যে কঙ্কালের
উপর ছিটাতে লাগল। এমন ভাবে ফেলতে লাগল যে,
যেখানেই পড়লো কঙ্কালের হাড়ের সাথে আঠার
মতো লেগে রইল। এই ভাবে ধীরে ধীরে পুরো
কঙ্কালটা ঢাকা পড়ে গেল। কিছু কিছু জায়গায় অবশ্য
ঘনত্ব কমবেশি হল।
বেঁটে লামা ঠুনঠুন তার হাতের সাহায্যে সেগুলো
সমান করে দিতে লাগল।
দেখতে দেখতে কঙ্কালটা একটা মুর্তিতে পরিণত হল।
তখন ঠুনঠুন তার কপালের ঠিক নিচে একটি চোখ
বানিয়ে দিল। তারপর তার উপর এক পরত রক্ত মাংস
মিশানো বস্তু দিয়ে তা ঢেকে দিল।
তার এ টুকু করার পরই লামা গুরু ছেরিংগ ওখানে রাখা
তামার একটা কলসি থেকে কিছুটা তরল বস্তু নিয়ে ওর
উপরে ছড়িয়ে দিলেন। ঐ দেহ খাঁচাটা যেন তাতে
স্নান করে ফেলল। এবার লামা ঠুনঠুন দেহটা মুছতে
লাগল। একটা বিচিত্র ধরনের কাপড় তার হাতে ছিল।
তাই দিয়েই সে মুছতে শুরু করল।
এরপর এক বিশেষ ধরনের মালিশ লাগিয়ে দিল।
যখন ঐ মালিশ লাগন শেষ হলো তখন লামা গুরু
ছেরিংগ ছেলেটির দেহে কিছু একটা ছিটিয়ে
দিলেন। একটা অদ্ভুত তেজাল গন্ধে আমার নাক ফেটে
যাচ্ছিল।
লামা গুরু ছেরিংগ অস্ফুট স্বরে কিছু একটা বললেন
এবং ছেলেটির মুর্তি হড়বড় করে যেন গভীর ঘুম থেকে
জেগে উঠে প্রানবন্ত হল।
আমি লামা গুরু ছেরিংগ এর সামনে মাথা নত করলাম।
অতিথিরুপে তিনি আমাকে গুম্ফায় রেখেছিলেন।
এবার আমি ফিরে চললাম। সকুশলে ফিরে এসে শুনলাম
যে তিব্বতের উপর চিনের পুরা অধিকার হয়ে গেছে।
আমার এ সফর দীর্ঘ ও কষ্টপ্রদ অবশ্যই ছিল তবুও আমি
ভাগ্যবান যে আমি আমার জীবন কালেই মরা মানুষের
পূনজর্ন্ম ( অবশ্যই তন্ত্র ও ঔষধের দ্বারা) ও তৃতীয়
নেত্র দেখতে পেয়েছি। জানি না লামা গুরু ছেরিংগ
এখন কোথায়? কিন্তু যখনই তার কথা মনে আসে আমি
তাঁকে প্রণাম করি এবং আমি বিশ্বাস করি যে আমার
প্রণাম তাঁর কাছে অবশ্যই পৌঁছেছে।।

আধ্যাত্মিক শক্তি উন্মোচন


।আধ্যাত্মিক শক্তি উন্মোচন
সকলেই বলে থাকে মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। কিন্তু
আর দশটা বিষয়ের মতোই এটিও আমরা শুধু মুখেই বলে
থাকি। আমরা নিজেরাও তা অন্তরে বিশ্বাস করি না।
অন্যকিছু বাদ দিন, শুধু যদি আমরা অন্তরেই এই চির সত্য
কথাটি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতে পারি তবে আমাদের
আত্মশক্তির বলে অনেক বাস্তব সমস্যাকেই
অনায়েশে দূর করতে পারি। আমরা কখনো ভাবি না
আমাদের জন্মান্তর সর্ম্পকে, কেন কোথা থেকে
কিভাবে আমাদের এই ভূ-মন্ডলে অবতার হলো। একটু
ভাবুন, শত’কোটি শুক্রানুর সাথে অলেম্পিক রেসে
অংশগ্রহন করে আপনি জয়ী, একজন সুপার হিরোর
মতো একাই শত’কোটি শুক্রানুর সাথে যুদ্ধ করে
সর্ম্পূন্য অক্ষতভাবে আপনি জয়ী, লক্ষ লক্ষ মাইল পথ
একাই পাড়ী দিয়ে অভেদ্য প্রাচীর স্বীয় ক্ষমতায়
ভেদ করে আপন অস্তিত্যকে টিকিয়ে রেখেছেন।
একাধিক্রমে জলীয়দ্রবন রক্তপুঁচ খেয়ে বেঁচে
থেকেছেন দশটি মাস।
এর পরও কেন আমাদের বোধদয় হয়না। আমরা মানুষ নিজ
বুদ্ধি বলে গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে ঘুরে বেড়াচ্ছি।
প্রতিনিয়ত আবিষ্কার করছি আশ্চার্য্য সব
যন্ত্রপাতি। ডানাবিহিন উড়ে বেড়াচ্ছি খোলা
আকাশে, তারবিহিন কথা বলছি যোজন দূরের কোন
ব্যক্তির সাথে, পৃথিবীর আনাচে কানাচে কোথায়
কি হচ্ছে সকল কিছু দেখতে পাচ্ছি বিছানায় শুয়ে
থেকে। অথচ যে প্রকৃতি বা স্রষ্টা এতো আশ্চার্য্য
সুন্দর এই মানুষ সৃষ্টি করেছে, তার নিজ ক্ষমতা
সর্ম্পক্যে অজ্ঞ্যাত।
প্রতিটি মানুষের রয়েছে নিজস্ব কিছু কোড,তার
নিজস্ব আইডিন্টিফিকেশন। যেমন ধর্মানুসারে
স্রষ্টার নিজস্ব কিছু নাম রয়েছে, মুসলিমরা যাকে
”ইসমে আজম” আখ্যায়িত করে, বলা হয়ে থাকে এই
নামে তাকে ডাকলে সঙ্গে সঙ্গেই স্রষ্টা বান্দার
ডাকে সাড়া দেয়। ঠিক তেমনি মানুষের
আইডিন্টিফিকেশন কোডে তাকে ডাকা হলে সে
যেখানে যে অবস্থায় যত দূরে অবস্থান করুক না
কেনো সঙ্গে সঙ্গেই সে সাড়া দিবেই। যেমন আপনার
মোবাইল নাম্বারটি শুধুমাত্র আপনার জন্যই প্রযোজ্য
যে কেহ’ই সে নাম্বারে কল দিক না কেনো আপনি
সেটি রিসিভ্ করবেন।
আমরা আমাদের এই পর্বের আলোচনা গুলোতে,
প্রতিটি মানুষের কোড ও তার ডায়াল নাম্বার
কিভাবে বের করবো, কিভাবে ডায়াল করবো, নিজ
প্রয়োজনে কোন প্রকার প্রযুক্তির সাহায্য ছাড়া
একে অপরকে কোন তথ্য বা সংবাদ আদান প্রদান
করবো। আমাদের সামনে প্রাকৃতিক বা মানব সৃষ্ট
দূর্যোগ দূর্ঘটনা আসার পূর্বেই তা সর্ম্পক্যে অবহিত
হবো, সেসকল বিষয়ে পুঙ্খানু পুঙ্খানু ভাবে জানবো।

নারী/ পুরুষ বশীকরন

নারী/ পুরুষ বশীকরণ। মন্ত।
। 

নারী। পুরুষ বশীকরন মন্ত
মন্ত
দুই চক্ষে করিলাম নজর বন্ধি। এই নজর করিলাম শিশি
তুলসী বান্ধি। রাম-লক্ষন ধনুকের বান। জিতা থাকলে
খাট পালংক।। মইরা গেলে মহা শ্মশানঘাট। ছার ছার
ছার তো বাপ মা ছার। ছার ছার ছার তোর
আত্মীয়স্বজন ছার। ছার ছার ছার তোর পাড়া
প্রতিবেশী ছার। আমারে ছাড়িয়া যদি অন্য দিকে
যাস ফিরে। দোহায় হযরত আলী মা ফাতেমার মাথা
খাস ছিঁড়ে। আমার এই মন্ত্র বিদ্যা যদি টুটে- মা
ফাতেমার মস্তক ছিড়ে ভুমিষ্ঠে পড়ে।
বিদ্রঃ
এই মন্ত্র দ্বারা নারী পুরুষ কে মাত্র ৩ ঘন্টায় বশ করা
যায়। তবে হ্যা এই মন্ত্রের যাকাত হিসেবে চন্ডিবরন
করা প্রয়োজন। চন্ডিবরন ছাড়া এই মন্ত্র কাজ হবে
না।। এর জন্য চন্ডিবরন করার জন্য আপনার নাম ও
আপনার মাতার নাম আর পিতার নাম লাগবে।আর হ্যা
যারা যারা চন্ডিবরন কি বুঝেন না,তারা অবশ্যই
যোগাযোগ করে জেনে নিবেন।।মন্ত গুরু জ্বিন সাধন    ।  তন্ত মন্ত কালো যাদু টোটকা ও জ্বিন
চালানের মাধমে তদবির করা হয়। যে কোন
কাজ ৩/৫দিনে ১০০%গ্যারান্টিতে করা হয় বিফলে
মুলো ফেরত। আপনারা যে কোন দেশ বা জেলা থেকে
অনলাইনের মাধমে তদবির করতে পারেন
আযি যোগা যোগ করুন। চেম্বারের ঠিকানা। খুলনা
খারিস পুর বাজার রোড ২৫/৩.. ইমু নাম্বার imo/
   01757786808/বা সরা সরি কল করুন call..01903153919/..montrogurbd12@gmail.com

এ্যাটক দিয়ে বশীকরণ।



এ্যাটক দিয়ে বশীকরণ।
ত্রাটক দিয়ে বশিকরন অথবা কারো মনের খবর
জানাঃ বর্তমান ত্রাটক ( সুপারভিষন) এমন একটি
শক্তিশালী বিদ্যা যা অন্য সব বিদ্যাকে হার মানায়।
যারা ত্রাটক সম্পর্কে কিছুটা হলেও জানে তাদের
সবারই আকাঙ্খা হচ্ছে ত্রাটক শেখা। কিন্তু এটা
শেখা তো সহজ বিষয় নয়। তবে একটি সুখবরঃ যে
আমরা অনেক কষ্টে একটি ত্রাটক দিয়ে বশিকরনের
উপায় বের করলাম। যেটা দিয়ে আপনি ১-৩ দিনের
মধ্যে যে কাউকে বশিভূত করে ফেলতে পারবেন। এই
নিয়মটির কাজ হচ্ছে আপনি যে কারো অন্তরে বা
হৃদয়ে ঢুকতে পারবেন। এবং তার হৃদয়কে আপনার দিকে
আকর্ষন করতে পারবেন। এটা করতে তেমন কিছুর
প্রয়োজন পড়েনা, শুধু যাকে বশ করবেন তার একখানা
ছবি অথবা তাকে যদি আপনি চিনেন অর্থাত
দেখেছেন তাহলে আর ছবি এর প্রয়োজন হবেনা। মনের
খবর জানাঃ এটা তো আগেই বললাম যে এই শক্তি
দিয়ে আপনি যে কারো হৃদয়ে ঢুকতে পারবেন অর্থাত
তার হৃদয়ে ঢুকতে পারলে তার ভেতরে কি আছে আছে
যেমন অতীতের কোন স্মৃতি, বর্তমান অবস্থা,
ভবিষ্যতের জন্য কি ভাবছে এগুলো সবই জানতে
পারবেন । বি:দ্র: এটা সর্বসাধারনের জন্য নয়। তাই
নিয়ম টি প্রকাশ করলাম না। কারন ইদারিং ফেসবুকে
ও অনলাইনে বিভিনো সাইটে দেখি ভুয়া তান্তিক
দের অবাব নেই। অনেকেই
আমাদের পোষ্ট করা মন্ত কপি করে তাদের আইডিতে
পোষ্ট করে মানুষের টাকা ছিনিয়ে নিচ্ছে। তাই
নিয়ম টি পোষ্ট দিলাম না তবে। কেউ যদি নিয়মটি
শিখতে চান তাহলে যোগাযোগ করতে পারেন।
শর্তাবলীঃ এটা খুবই গোপনীয় একটি নিয়ম তাই
শেখার পরে অতি গোপনীয় রাখতে হবে না হলে শক্তি বিফল হবে। আমাদের যে কোন সমসার যনো নিচের নাম্বরে যোগা যোগ করুন। 

সুপার ভিশন এ্যাটক সাধনা

সুপার ভিশন এ্যাটক)
এ্যাটক সাধনা। 
পৃথিবীতে এখন পর্যুন্ত যতগুলো দোওয়া, তাবিজ,
মন্ত্র, তন্ত্র, টোনা, টোটকা, নকশা
ইত্যাদি আছে তার ভিতর সবচাইতে পাওয়ারফুল হলো
“ত্রাটক”।
এই “ত্রাটক” সাধনের ফলেই আগের দিনের মনি
ঋষিগন ও অন্নান্য পীর দরবেশগন,
নানান অলৈকিক কর্মকান্ড করেগেছেন।
বর্তমানে আমাদের মাঝে যে সকল ব্যক্তিগন
দোওয়া / মন্ত্র ইত্যাদি নিয়ে সফলকাম
হয়ে থাকেন বা চেষ্টা করছেন তাদের মাঝে বেশির
ভাগই বিফল কারন-
বর্তমানে মানুষের মাঝে ধর্য্য ও সময় দুই খুব কম, এবং
সবচাইতে কম ন্যায়পরায়নতা
সততা, নিষ্ঠা, মুখের কথার মূল্যবোধ। তার চাইতে
বেশি
সমস্যা হচ্ছে পেটের চিন্তা। আমাদের প্রয়োজন নগদ
অর্থ এবং সেটাও জলদি।
আর তাই আমরা এগুলো থেকে অনেক পিছিয়ে
পড়েছি। অনেকেই তো বিশ্বাষ
পর্যন্ত করতে চায় না, যে মানুষের পক্ষে এ সকল
কাজ করা সম্ভব।।
তাই বর্তমানে শুধু মাত্র একটি পথ খোলা আছে একজন
সাধারন মানুষ
অসাধারন অলৈকিক ক্ষমতার অধিকারী হতে পারার,
আর তা হলো “ত্রাটক”।
কারন ত্রাটক সাধনায় সময় অত্যন্ত কম লাগে, একজন
মানুষের মাঝে গুটিকয়েক
লক্ষন দেখেই বোঝা যায় সে এই সাধনা করতে সক্ষম
কি না। এর ফলাফল দ্রুত
ঠিক যেমন বর্তমানে রিমট-কন্ট্রোল এর ব্যবহারের
মতই।
মানুষের কল্পনার চাইতেও শক্তিশালী এই ক্ষমতা।
ব্যবহারের জন্য নিয়ম নিতি নাই বল্লেই চলে।
শ্রেনীবিভাগ প্রায়ই একই প্রকার।
তবে শিখার খরচ তুলনা মুলক একটু বেশি।
যে কেউ শুধু অনুশিলনেই হয়ে উঠতে পারে অতিমানব।
তবে এর সবচাইতে বড় বাধা হচ্ছে গোপনিয়তা।
শক্তি সর্ম্পকে গোপনিয়তা রক্ষা করতে না পারলে
শক্তি নিশ্বেষ হতে পারে।
আপনি যা চান আর যা চান নি সবই করতে পারেন এই
একটি মাত্র বিদ্যায়।।
সুপার ভিষন
“ত্রাটক”

নাগের শ্বরীদেবী সাধনা

নাগের শ্বরীদেবী সাধনা

নাগেশ্বরী সাধনা
আপনাদের এমন একটা বিদ্যা শিখাবো যার দ্বারা
আপনি নাগেশ্বরী (নাগমাতা) কে বশিভূত করে
ভুত,ভবিষ্যৎ, কালো জাদু সাধনা, কুফুরী যাদু মন্ত্র
বান, আসমানি জাদু, লজ্জাতুন্নেছা কিতাব, তন্ত্র
মন্ত্র সাধনা। যে কোনো জটিল-কঠিন কাজ
অনায়াসে করতে পারবেন। এই দেবী পৃথিবীর দ্বীতিয়
স্থান দখল করে আছে। অতএব, যে ব্যক্তি এই দেবিকে
বশিভূত করতে পারবে পৃথিবীর সকল কিছু তার গোলাম
হয়ে যাবে। (পরীক্ষিত) মন্ত্রঃ দ্বীন দহরে থাকে
মাতা- আধা বস্ত্র পড়ে" নরসিংহের হরিদ্রা মাতা-
কাল কালী দৌয়ের ভরে। আয় মাতা ডাকি আসনে-
ফুল চন্দন আছে সামনে; ভক্ষণ করে মাতা- সন্তুষ্ট করে
জগৎ তারিনীরে। পুষ্পের উপড় দিয়ে ফোটা- রাম
লক্ষণ আছে সেতা" সন্তুষ্ট হয়ে মাতা- দেখা দাও
মোরে। দক্ষিণে রাখিলাম রক্ত" কপালে তিলকের
ফোটা- আগ্রমাতা গায়েত্রী নাশিনী" খাবি নাইলে
মহাদেবের মাথা। চন্দ্র সূর্য্য রক্ষা দ্রাত্রি- জগাই
গাছে আমবশ্যার ফুল; আমার ডাকে সারা না দিলে-
নড়বে ত্রিজগতের মুকুল। আয় মাতা দোহাই লাগে-
দিলাম তোরে চন্দন আগে' সাথে দিলাম ব্রহ্মার
আঘ্রা- দেখা না দিলে খাবি চন্ডীর মাথা। দোহাই
লাগে সোলাইমান নবী। আয় আয় আয় দোহাই মাতা
পার্বতি। নিয়মঃ মন্ত্র কোনো সিদ্ধি করতে হবেনা।
প্রথমে একটি নির্দিষ্ট কক্ষ লাগবে। প্রতিদিন একই
কক্ষে কার্য সম্পন্ন করতে হবে। শরীরে ভালো শুগুন্ধি
লাগিয়ে নিতে হবে। এবার যে কোনো ভাল সময় বুঝে
রাত ১১ টার পরে মন্ত্রটি ১০০১ বার পাঠ করবেন। মন্ত্র
পাঠ করার সময় অনেক উৎপাত হতে পারে এতে
কোনো ভয় করা যাবেনা। এভাবে নিয়মিত ২১ দিন এক
নাগারা সাধনা করতে হবে। ২১ দিনের আগেও দেবী
প্রশন্ন হয়ে চলে আসতে পারে। তাই বলে সাধনা
ঐখানে থেমে দিলে এতো দিনের কষ্ট সব বিফলে
যাবে। কাজেই সাধনা ২১ দিন অবশ্যই করতে হবে।
এতে দেবী ১০০% গ্যারান্টি আপনার বশিভূত হবেই।
যদি কারো সন্দেহ থাকে তবে আমাকে' ফোন করে
নিশ্চিত হতে পারেন।

কালো যাদু কি জানুন

 কালো যাদু কি
কালো যাদু কি জানুন।
সভ্যতার আদি থেকেই জাদুবিদ্যা আর জাদুকর বিষয়ে
মানুষের প্রচণ্ড রকম আগ্রহ। জাদুবিদ্যা মূলত
অতিন্দ্রিয় আর প্রাকৃতিক শক্তিকে বশ করার বিদ্যা!
ইংরেজি 'ম্যাজিক' শব্দের উদ্ভব হয়েছে ফার্সি শব্দ
মাজি থেকে! মাজিরা যেসব ক্রিয়া-কর্ম পালন করত,
গ্রিকরা সেসব ম্যাজিক বলে অভিহিত করতেন! আর
ম্যাজিকের সঙ্গে আত্মা বা ভূতের বিষয়টি চলে
আসে অনিবার্যভাবে। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, ভূত
হলো এমন এক জিনিস, যা মৃত ব্যক্তির আত্মা। আর তা
জীবিত ব্যক্তির সামনে দৃশ্য আকার ধারণ বা অন্য
কোনো উপায়ে আত্দপ্রকাশ করতে সক্ষম। ভৌতিক
অভিজ্ঞতায় ভূতকে নানাভাবে বর্ণনা করা হয়েছে।
কখনো অদৃশ্য বা অস্বচ্ছ বায়বীয় আবার কখনোবা
বাস্তবসম্মত স্বপ্রাণ মানুষ বা জীবের আকারে। এসব
ভূত বা প্রেতাত্মার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে
ভবিষ্যদ্বাণী বা কোনো কাজ করার বিদ্যাকে
ব্ল্যাক ম্যাজিক, নেক্রোম্যান্সি বা কালো জাদু
বলে। অন্যদিকে এক ধরনের বিশেষ ব্ল্যাক ম্যাজিক
হচ্ছে ভুডু। ভুডুবিদ্যার সাহায্যে নাকি কবরের লাশ
জ্যান্ত করে তাকে গোলামের মতো খাটানো যায়।
অন্যদিকে শামানের কাজও মৃত মানুষের আত্মা নিয়ে।
তবে ভুডুর সঙ্গে শামানদের পার্থক্য- এরা মন্দ আত্মার
বিরুদ্ধে লড়াই করে। মন্দ আত্মাকে কাজে লাগায়।
বিদেশি সিনেমায় এমনকি ভারতীয় সিরিয়ালে
প্রায়ই দেখা যায়, একজন দুষ্ট ব্যক্তি একটি পুতুলের
গায়ে সুচ ফুটিয়ে আরেক জায়গায় এক ব্যক্তিকে
হত্যা করছে কিংবা অন্য কোনো উপায়ে ক্ষতি করার
চেষ্টা করছে। বাংলায় একে ফুঁক দেওয়া, কবজ করা
অথবা বাণ মারা বলে। এ ধরনের ঘটনা যারা ঘটায়
তাদের ওঝা বলে। আর এ প্রক্রিয়াটিই বিশ্বব্যাপী
ব্ল্যাক ম্যাজিক বা কালো জাদু নামে পরিচিত।
খ্রিস্টধর্ম প্রবর্তনেরও আগের কথা। বহুকাল আগে
পাশ্চাত্যে বিভিন্ন গোত্রের মধ্যে নির্দিষ্ট কোনো
ধর্মের প্রচলন ছিল না। তবে তাদের মধ্যে অদ্ভুত কিছু
বিশ্বাস ও কর্মকাণ্ডের চর্চা ছিল। এরা একেকটি
গোত্র বিভিন্ন কাল্পনিক ভূত-প্রেত বা অশুভ আত্মার
আরাধনা করত। যা আফ্রিকান ব্ল্যাক ম্যাজিক বা
কালো জাদু নামে পরিচিত। এমনকি এখনো এ বিদ্যার
গোপন অনুসারীরা তাদের এ বিদ্যা দিয়ে মানুষের
ক্ষতি করে আসছে। এ বিদ্যায় পারদর্শীদের ডাকি বা
ওঝা বলে আর আফ্রিকান ভাষায় এদের বলে

কিনডকি। আপনরা যারা তন্ত মন্ত কালো যাদু টোটকা বিভিনো তন্ত সাধনা করে নিজের ও মানব সেবা করতে
চান আমাদের মন্ত গুরু সাইট থেকে যোগা যোগ করুন
এক মাত আমরাই সরা দেশে সঠিক নিয়মে ১০০%গ্যারান্টিতে তন্ত মন্ত সাধনা পশিক্ষন দিয়ে থাকি
আপনরা যে কোন দেশ বা জেলা থেকে অনলাইনের মাধমে
পশিক্ষন ও তদবির করতে পারেন। তা ছারা যে কোন কঠিন কাজ ৩/৫দিনে ১০০%গ্যারান্টিতে করা হয়।  আরো জানতে
নিচের নাম্বারে কল করুন। ধন্যবাদ

পুরাতন পোষ্ট গুলি দেখুন