যদি প্রশ্ন করা হয় গুরুবিহীন কোন সাধনা অসম্পূর্ণ থাকে?
তবে উত্তর হবে শুধু একটাই, সর্ব সাধনই গুরুবিনে অসম্পূর্ণ থাকে।
সমস্ত শিক্ষা বিষয়েই গুরুর প্রয়োজন।গুরু ছাড়া জ্ঞানলাভ অসম্ভব। সেজন্যই বলা হয়েছে-----
অজ্ঞানতিমিরান্ধ
চক্ষুরুন্মিলীতং
অর্থাৎ গুরুদেবই জ্ঞানরূপ কজ্জ্বল শালাকা দ্বারা অজ্ঞানান্ধকার নাশ করে তিনিই জ্ঞানচক্ষু প্রদান করেন।সেই গুরুকে প্রণাম করি।সাধনার পথে অগ্রসর হতে হলে পথ প্রদর্শকরূপে গুরুর প্রয়োজন।তাঁর আদেশ উপদেশ মেনে এগিয়ে যেতে হবে সাধন পথে।
আধ্যাত্নিক সাধনাই হোক আর অন্য কোনো কাজই হোক, তাতে সিদ্ধিলাভ করতে হলে গুরুর প্রয়োজন।গুরুর কৃপা, তাঁর পথ নির্দেশনা সাধন পথের সম্বল বলে জানতে হবে।যিনি কঠোর সাধন করে সিদ্ধিলাভ করেন, এইরকম সিদ্ধপুরুষই হলেন গুরু।তবে বর্তমানে এইরকম সিদ্ধপুরুষ দুর্লভ, থাকলেও তাঁরা লোকচক্ষুর অন্তরালে থাকেন।ক্কচিৎ কখনও কোনো ভাগ্যবান ব্যক্তি এইরকম গুরুর সন্ধান পান। এই রকম সিদ্ধ মহাপুরুষের সন্ধান যদি না পাওয়া যায়, তাহলে তন্ত্র স্রষ্ঠা মহাদেবকে মানসিক রূপে গুরু মেনে নিয়ে সাধনা করতে হবে।সাধন সম্পর্কের গ্রন্থাদি পাঠ করে, সেইরকম নিয়মগুলি ও আচার-অনুষ্ঠান করতে হয়।
সাধককে উপযুক্ত গুরু বেছে নিতে হয়। এজন্য, অরণ্যচারী, বা গুহাবাসী সন্ন্যাসী, শ্মশানবাসী, বা মঠাধ্যক্ষের প্রয়োজন হয় না।যে কোনো সদগুণ সম্পন্ন সংসারী মানুষ গুরু হতে পরে।
এজন্য তাঁর নিম্নলিখিত গুনগুলি থাকা আবশ্যক।---
১।শিষ্যের আপন দেশবাসী, ঈশ্বর বিশ্বাসী, নিত্য-পূজা পাঠকারী এবং বর্ণাশ্রমানুযায়
২।সদাচারী, সত্যভাষী, শান্ত-সৌম্য ব্রাহ্মণ হওয়া দরকার।
৩।যার মনে লোভ, ক্রোধ, হিংসা, ছলনা নেই, সকল বিষয়ে নির্লিপ্ত, সহজ, সরল, পবিত্র জীবন-যাপন করেন, তিনি গুরু পদবাচ্য।
৪।যনি চরিত্রগত দুর্বলতা, বিলাসিতা, প্রসাধন প্রিয়, চঞ্চলতা থেকে মুক্ত, তিনিই গুরু পদবাচ্য।
৫।যিনি সামাজিক কুসংস্কার মুক্ত, রাজনীতি ও ষড়যন্ত্র কিছুতেই লিপ্ত নন, তিনিই গুরু হবার যোগ্য।
৬।আশ্রমনিষ্ঠ, কর্তব্যপরায়ণ, পরোপকারী, সংযমী, শাস্ত্রধ্যায়নকা
৭।নম্র, বিনয়ী, ব্রাহ্মণের ধর্ম পালনকারী, মেধাবী, আস্থাবান, বিবেকী গুরু হবার যোগ্য।
এছাড়া নিম্নলিখিত চিহ্ন বা ব্যাধি থাকলে তাকে গুরুপদে বরণ করা যাবে না।---
১।পঙ্গু, একচক্ষু, খঞ্জ, একহাত বিশিষ্ঠ অঙ্গহীন ব্যক্তি গুরুর যোগ্য নয়।
২।যার দেহে শ্বেতী বা শ্বেতকুষ্ঠ আছে।
৩।অধিক অঙ্গযুক্ত। ৪।বিকৃতাঙ্গ।৫।ছ
উপরোক্ত লক্ষণযুক্ত ব্যক্তিগণ পাতকী হয়।এই সব অশুভ লক্ষণ থাকলে তাদের সংস্পর্শে আসাও পাপ, এদের গুরু করা যায় না।
বর্তমানে উপরোক্ত লক্ষণগুলো মুক্ত সিদ্ধপুরুষকে গুরু রূপে খুঁজে পাওয়া দুর্লভ।তবে এতে হতাশ হওয়ার কারন নেই।উপরে আগেই বলা হয়েছে, কোনো সিদ্ধ মহাপুরুষের সন্ধান যদি না পাওয়া যায়, তাহলে তন্ত্র স্রষ্ঠা মহাদেবকে মানসিক রূপে গুরু মেনে নিয়ে সাধনা করতে হবে।সাধন সম্পর্কের গ্রন্থাদি পাঠ করে, সেইরকম নিয়মগুলি ও আচার-অনুষ্ঠান করে। তাই যে কোনো সাধনার পূর্বে শুদ্ধবস্ত্রে, শুদ্ধাসনে বসে, ধূপ, দীপ জ্বেলে শিবের ছবি বা চিত্র আসনের এক কোণে রেখে দেবাদি দেব মহাদেবকে ভক্তি প্রণাম করে সাধনা শুরু করতে হবে।এতে শিবের কৃপায় গুরুর অভাব পূরণ হবে।তবে গুরু পাশে থাকলে ভালো হয়, ভূলগুলি আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় এবং সঠিক নিয়ম ও সঠিক পদ্ধতিতে পরিচালনা করতে সাহায্য করেন।আজকাল কিছু কিছু তন্ত্র সাধনার বইয়ে বা গ্রন্থে সঠিক নিয়ম কানুনের কথা উল্লেখ থাকেনা আংশিক থাকে, সেটা যেনো রিতিমত একপ্রকার সাধনার গোপন রহস্য।তাই অনেক সাধনার ক্ষেত্রে ভূল পথে পরিচালিত হলে মহাবিপদের মুখোমুখী হতে হয় সাধককে। সেজন্য গুরুকে পাশে প্রয়োজন বা যে কোনো সাধনার পূর্বে গুরুর পরামর্শ খুব জরুরী।
আমাদের পোস্টগুলি যদি ভালো লাগে বা সঠিক মনে হয়, তাহলে দয়া করে আমাদের পেজটি আপনার ফ্রেন্ডলিস্টে থাকা সকল বন্ধুদের ইনভাইট করবেন।এতে আপনি এবং আপনার বন্ধুরা সবাই উপকৃত হবেন আর আমরা পাবো উৎসাহ, আপনাদের নতুন নতুন পোস্ট উপহার দিতে।
++++++++++++++
বিস্তারিত জানার জন্য আমাদের টেলিফোন নাম্বারে ফোন দিতে পারেন। সবচেয়ে কম কলরেটে কথাবলুন দিন-রাত ২৪ঘন্টা।যোগাযোগ করবেন । তম্ত মন্ত কালো জাদুর তাবিজ টোটকার মাধমে 100%গ্যারান্টিতে তদবীর করা হয় ..যে কোন কঠিন কাজ 3/5 দিনে সমাধান করা হয়ে যেমন .বশীকরন বিদ্যা☆☆
.
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন