বিসমিল্লাহ শরিফের কতিপয় ফজিলতঃ


.
বিসমিল্লাহ শরিফের কতিপয় ফজিলতঃ
“বিসমিল্লাহ হির রহমানির রাহিম”
বিধিঃ অবশ্যই প্রতিটি আমলের জন্য একজন কামেল
ব্যক্তির যর্থাথ অনুমতি ও সঠিক বিধি মেনে পড়তে
হবে।
১ম) যে কোন সৎ উদ্দেশ্য পূরনের জন্য উক্ত
আয়াত শরিফ এক রাত্রে ১২ (বার) হাজার পাঠ করিলে
এবং প্রতি হাজারের পর দুই রাকাত নফল নামজ পড়িতে
হইবে।
২য়) প্রতিদিন (মুসলিম) ফজর ও এশা নামাজ বাদে যদি
৭৮৬ (সাত শত সিয়াষি) বার উক্ত আয়াত পাঠ করা হয়
তবে সকল রকম বিপদাপদ থেকে নিরাপদ থাকা যায়।
৩য়) বর্ষা মৌসুমের বন্যার পানী সংরক্ষন করে যদি
উক্ত আয়াত এক হাজার বার বিধি মত পাঠ করে পানিতে
ফু দিয়ে কোন ব্যক্তি পান করে তবে সে
সকলের নিকট প্রিয় পাত্র হবে এবং নেতা হয়ে
যাবে।
৪র্থ) বর্ষা মৌসুমের বন্যার পানী সংরক্ষন করে যদি
উক্ত আয়াত এক হাজার বার বিধি মত পাঠ করে পানিতে
ফু দিয়ে কোন ব্যক্তি একাধারে সাতদিন পান করিলে
সেই ব্যক্তির মেধাশক্তি ও ধী-শক্তি প্রখর
হইবে।
৫ম) প্রতিদিন প্রযাপ্ত পরিমানে পাঠ করিতে থাকলে
স্রষ্টার কৃপায় সে মালদার হইবে এবং রোজগারে
বরকত হইবে।
৬ষ্ঠ) কোন অত্যাচারির সামনে বসিয়া যদি মনে
মনে উহা তেলাওয়াত করা হয় তবে অত্যাচারির হৃদয়
কোমল হইবে সে আর অত্যাচার করিতে পারিবে
না।
৭ম) প্রতিদিন ঘুমানোর আগে যদি কোন ব্যক্তি
আড়াই হাজার বার পাঠ করে ঘুমায় তবে সমস্ত মাখলুক
তার অনুগত হইবে।
৮ম) অনাবৃষ্টির সময় খাছ দিলে যদি কেউ বিধি মত
মাত্র ৭১ (একাত্তর) বার পাঠ করে বৃষ্টির জন্য র্পাথনা
করে তবে অবশ্যই বৃষ্টি হইবে।
৯ম) কোন ব্যক্তি যদি সূর্যদ্বয়ের সময় কেবলার
দিকে মুখ করিয়া তিনশত তেরবার উহা পাঠ করে এবং
শেষে একশত বার যে কোন দরুদ পাঠ করে
তবে তার রোজগার উত্ত্বরত্তর বৃদ্ধি পাইবে।
১০ম) কোন কয়েদি ব্যক্তি যদি কয়েদ খানায় বসিয়া
বিধি মোতাবেক এক বৈঠকে ১০০০( এক হাজার) বার
পাঠ করে তবে তার কয়েদ থেকে মুক্তির পথ
সুগম হইবে।
১১তম) ঘুমানোর আগে যদি বিধি মোতাবেক
কোন ব্যক্তি মাত্র ২১ বার তেলাওয়াত করে ঘুমায়
তবে তার ঘরে সেদিন চোর, ডাকাত, দেও, দানব,
জ্বীন, শয়তান কেহই উপদ্রব করিতে পারিবে না।
১২তম) কোন উন্মাদ পাগল বা মৃগি রুগীর বা জ্বীন
ধরা রোগীর কানে কানে বিধি মোতাবেক ৪১
(একচল্লিশ ) বার পাঠ করে যদি তাকে দম করা যায়
তবে তার এই সমস্যা লাঘব হইবে।
১৩তম) প্রেসমেন্ট কাগজ বা যে কোন পবিত্র
কাগজে বা চামড়ায় বা কাপড়ে নিয়ম মাফিক ৬২৫ ( ছয়
শত পচিঁশ ) বার লিখে সংগে রাখিলে সে ব্যক্তিকে
সকলে সম্মান করে এবং তার সমাজে সু-নাম প্রতিষ্ঠা
হয়।
ইহা ছাড়াও এই মহিম্মানিত আয়াতের আরও অসংখ্য
গুনাগুন রয়েছে যদি বিধি মোতাবেক ইহা পাঠ করা হয়
তবে তার সকল প্রকার সমস্যা বা প্রয়োজন
মেটানো সম্ভব।
মন্ত্রগুরু
Share

পুরাতন পোষ্ট গুলি দেখুন