স্তী ‌বশীকরন. ‌মন্তু

.আমরা সাধারনত স্ত্রী বলতে নিজ স্ত্রীকেই বুঝিয়ে থাকি কিন্তু এখানে স্ত্রী বলতে নারী জাতীকেই বোঝানো হয়েছে, আপনি স্ত্রী জাতীর যে কাউকেই এই তদবীর দ্বারা নিজ আয়ত্বে নিয়ে আসতে পারবেন যদি শুধু আপনার স্বার্নিধ্যে একজন সদগুরু থাকে, যেহেতু এ সকল তন্ত্র/যন্ত্র সকলি গুরুমুখি তাই গুরু বিহীন তা সফলতার স্বপ্নদেখা মুর্খ্যতার সামিল। আমাদের উদ্দেশ্য আপনাদের জানানো সেই সাথে আমাদের আদি পুরুষদের ঐতিহ্য বহন করে চলা যাতে সময়ের অতল গহিনে তা হারিয়ে না যায়, আমরা চাইবো আপনারা ছোট্ট এই জীবনে সকলেই সুখে শান্তিতে জীবন যাপন করুন, কিন্তু কখনো যদি আপনাদের তান্ত্রিক সাহায্যের প্রয়োজন পরেই যায় তবে বর্তমান সময় উপযোগি তান্ত্রিক ক্রিয়াগুলো করবেন, যা অতিব সহজ পান্থায় সৃষ্ট সেই সাথে খুব সহজেই আমাদের মনের আকাঙ্খা পূর্ণ করতে সক্ষম। নিচে বহুল ব্যবহৃত এক সময়ের স্রেষ্ট একটি তন্ত্র ক্রিয়া উপস্থাপন করা হলোঃ
সামগ্রী- বশীকরন গুটিকা, কুমকম, ঘিয়ের প্রদীপ, ধূপকাঠি, জলপাত্র, কেশর।
মালা- মুঁগের মালা
সময়-রাতের যে কোন সময়
দিন- শুক্রবার
আসন- সাদা সুতির আসন
দিক- উত্তর দিক
জড় সংখ্যা- ১০০০০
অবধি- দশ দিন
মন্ত্র-“ওঁ নমো উর্বশী তোহে মন্ত্র পঢ়ী সুনাউ, তোহী কলেজা লাবে তোহী জীবতা চাহে জো বশ্য ন হোয় তো হনুমন্ত কী আন অমুক বশ্য করে, দৌড় কর হিয়ে লগে। মেরা কহা করে, শব্দ সাচা পিন্ড কাচা, ফুরো মন্ত্র ঈশ্বরো বাচা।।”
প্রয়োগ- যে কোন শুক্রবার রাতে উত্তর দিকে মুখ করে সাদা আসনে বসতে হবে ও সামনে কোন পাত্রে বশীকরন গুটিকা রাখতে হবে। সবচেয়ে প্রথমে এক জলে ধুয়ে মুছে তার উপর কুমকুম বা কেশরের তিলক লাগাতে হবে। এবার সামনে ধূপকাঠি ও প্রদীপ জ্বালিয়ে উক্ত মন্ত্র জপ শুরু করতে হবে ও মন্ত্রে যেখানে ‘অমুক’ শব্দ লেখা আছে সে জায়গায় যাকে বশ করা দরকার তার নাম উচ্চারণ করতে হবে। দশ দিনে দশ হাজার দফা মন্ত্র জপ সর্ম্পন করা দরকার। মন্ত্র জপ করা হবার পর বশীকরন গুটিকা পকেটে রেখে যে স্ত্রীর কাছে যাবে সে নিশ্চিত রুপে বশীভুত হবে। যদি সে দুরে থাকে তবে তার ফটোর সাথে বশীকরন গুটিকা বেঁধে সিন্দুকে রাখতে হবে। এতে তার মন সাধকের সাথে দেখা করার জন্য উতলা হবে ও যতক্ষন না দেখা হচ্ছে শান্তি পাবে না। মনে রাখবেন এই মন্ত্রের দুরুপোযোগে সাধকের ভয়ংকর ক্ষতি হতে পারে। তাই অত্যাবশ্যক পরিস্থিতিতেই এই মন্ত্র প্রয়োগ করা দরকার। ..‌তান্তিক ‌গুরু ‌আজিজ‌ ‌রহমান ‌‌আপনা রা ‌যে ‌কোন ‌দেশ বা ‌জেলা ‌থেকে অনলানের মাধমে তদবির করতে পারেন ..ইমু 01757786808

অমর হবার আধ্যাত্নিক ‌সাধনা ‌বা উপায়

         
নশ্বর এই পৃথিবীতে মানুষের চিরকালের আকাঙ্ক্ষা ছিল অমর হওয়ার। এই অমরত্ব লাভের উপায় খুঁজতে অনেকেই নিজের জীবন অতিবাহিত করেছেন। প্রাচীন যুগের যোগীদের থেকে শুরু করে আধুনিক যুগের গবেষকরা পর্যন্ত সমুদ্র, পাহাড়-পর্বত পাড়ি দিয়েছেন অমরত্ব লাভের খোঁজে। সন্ধান করেছেন অমৃত সুধা। যা পারে নিজের অস্তিত্বকে পুরো মহাজগতের সঙ্গে এক করে ফেলতে। নিয়ে যেতে পারে জাগতিক দর্শনের ঊর্ধ্বে। মানুষকে করতে পারে সর্বশক্তিধর, নিরোগ, সুস্বাস্থ্যের অধিকারী এবং ধনরত্নপ্রদায়ক।
সোমলতা বা সোমরস তেমনি এক উপাদান। হাজার হাজার বছর ধরে চলছে অনুসন্ধান। গবেষণা চলছে এখনো। কারণ ধারণা করা হয় এই সোমলতা থেকেনির্গতসোমমানুষকেএনেদিতে পারে অমরত্ব!
সোমরস বৈদিক চিন্তার একধরনের মহাজাগতিক শক্তি। একধরনের আধ্যাত্মিক নীতি। উদ্ভিদ জগতের প্রতিরূপ হলো এই সোমরস।
মূলত সোম হলো গুল্ম বা লতা। এই লতার রস ছিল আর্য এবং প্রাগবৈদিক যুগের ঋষিদের অতি প্রিয় পানীয়। সোমরস বিন্দু বিন্দু করে ক্ষরিত হতো বলে এর নাম দেয়া হয়েছিল ইন্দু। এই রস হতে একধরনের উত্তেজক তরল প্রস্তুত হতো। প্রাচীন মুনী-ঋষিদের বিশ্বাস ছিল সোমরস পান শুধু তাদের শক্তি এবং সাহস দিবে তাই নয়; বরং এটি পান করলে ধনার্জনে পারঙ্গমতা লাভ করবে এবং বেড়ে যাবে সন্তান উৎপাদনের ক্ষমতা। সোমরস ছিল যজ্ঞের প্রধান আহুতি।
ঋগ্বেদে সমস্ত নবম মণ্ডল সোমের স্তবে পরিপূর্ণ। সোম বন্দনার সুক্ত সংখ্যা ১২০। এর বাইরে অন্য ছয়টি সুক্তে অগ্নি, ইন্দ্র, পূষা এবং রুদ্র দেবতার সঙ্গে সোমের স্তব করা হয়েছে।
পৃথিবীর অধিকাংশ প্রাচীন আখ্যানে অমরত্ব প্রদানকারী রূপে কোনো না কোনো বনস্পতির উল্লেখ তাৎপর্যপূর্ণ। এমনকি প্লিনি রচনাতেও অমরত্ব প্রদানকারী অ্যাম্ব্রোসিয়া বা অমৃত শব্দ বিভিন্ন বনস্পতির প্রতি নির্দেশক। বনস্পতির দীর্ঘকালীন জীবন, প্রাচীন মানবদের নিকট চিত্রিত হয়েছিল-বনস্পতি মরণহীন রূপের প্রতিচ্ছবিতে। মানুষ সম্ভবত এ রকম দীর্ঘজীবী বৃক্ষগুলোকে দেখে প্রথম অমরত্ব লাভের কল্পনা করতে শুরু করে।
পৃথিবীব্যাপী বিশেষ করে ইউরোপ এবং আমেরিকায় বেশকিছু পাইন ও অলিভ বৃক্ষের সন্ধান পাওয়া যায়। যেগুলোর বয়স কয়েক হাজার বছর। অদ্যাবধি প্রাপ্ত তথ্যের নিরিখে, পৃথিবীর প্রাচীনতম জীবিত প্রাণের একটি হলো স্প্রুস গোত্রের বৃক্ষ। যার অবস্থান সুইডেনে। ওল্ড টিজেআইকেকেও নামে পরিচিত। এই বৃক্ষের বয়স প্রায় ৯ হাজার ৫ শ ৫০ বছর বলে ধারণা করা হয়। গবেষণা চলছে, হতে পারে এই প্রাচীন কোনো বৃক্ষের মাঝেই লুকিয়ে আছে অমরত্বের রহস্য!
আধুনিক ধারণায় সোম আসলে শুধু একটি উদ্ভিদ নয়। যদিও একসময় নির্দিষ্ট কোনো স্থানে প্রাথমিকভাবে সোম উদ্ভিদ বা সোমলতার অস্তিত্ব ছিল বলে প্রাচীন গ্রন্থে উল্লেখ রয়েছে। ঋগ্বেদ অনুযায়ী বিভিন্ন বিশেষ উদ্ভিদের পরিমাণ মতো মিশ্রণেও তৈরি হয় সোমরস (ঋগ্বেদ ১০.৯৭.৭)। এ ছাড়াও ঋগ্বেদে সোমের আরো কিছু ধরনের কথাও উল্লেখ রয়েছে। যেমন, হিমালয় থেকে উৎপন্ন হিমবাহের পানি (ঋগ্বেদ ৬.৪৯.৪)। বেদ অনুসারে অগ্নি বা আগুনের প্রতিটি রূপের মধ্যেও রয়েছে সোম। এই ক্ষেত্রে মহাবিশ্বের সর্বত্রই সোমের উপস্থিতি রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। এমনকি অগ্নি এবং সোম, চীনা ‘ইন অ্যান্ড ইয়ং’ দর্শনের সমতুল্য।
প্রাচীন গ্রন্থে সোমরসের বর্ণনা অনুযায়ী, সোমরস শুভ্র-বর্ণ, ঈষৎ অম্ল ও মাদকতাজনক। যার জন্মস্থান মুজবান পর্বত কিংবা সরস্বতী নদী। বলা হয় স্বর্গ হতে শ্যানপক্ষী সোম আহরণ করে এনেছিলেন। এরপর সোমকে পর্বত হতে শকটে করে যজ্ঞ স্থানে আনা হতো। পরে পাথর বা লোহা দ্বারা ছেঁচে সোমরস নিষ্কাশন করা হতো। রস নিষ্কাশনের একটি পদ্ধতিও ছিল। দুই হাতের দশ আঙুল দিয়ে চেপে রস নিঙড়ানো হতো। পরে ‘তনা’ নামে মেষ লোম-নির্মিত ছাঁকনি দ্বারা ছেঁকে দুগ্ধ মিশ্রিত করে সোমরস পান করা হতো। এটি ছিল অমরত্ব লাভের লুকায়িত জ্ঞান। যা যুগে যুগে মানুষেরা নিজেদের ভেতর ধারণ করে এসেছিল।
আধুনিক পণ্ডিতদের মতে ‘এফেড্রা’ থেকে সোমরস তৈরি হয়। আফগানিস্তান এবং ইরানে এফেড্রা খুবই পরিচিত উদ্ভিদ। ফারসিদের কাছে এফেড্রাই ছিল সোম উদ্ভিদ। এমনটাই ধারণা করা হতো। বর্তমান যুগেও ভারতের কিছু অংশে এফেড্রার অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়। যা সোমলতা নামে পরিচিত। কিন্তু এর মধ্যেও কিছু মতভেদ রয়েছে। সোম নিঙড়ালে দুধের মতো রস নির্গত হয়। কিন্তু এফেড্রা শুকনো উদ্ভিদ যা থেকে সামান্য পরিমাণে রস নির্গত হয়। তাই এফেড্রা থেকে সোম রস তৈরির যুক্তি খুব বেশি গ্রহণযোগ্য নয়।
প্রাগৈতিহাসিক সময় থেকে পৃথিবীব্যাপী সোমের সন্ধান খুঁজে চলেছেন গবেষকরা। তার মধ্যে বিগত আড়াইশ বছর ধরে বিশেষভাবে আমেরিকান এবং ইউরোপিয়ানদের মধ্যে চলছে সোম রস খোঁজার চেষ্টা।
চালর্স উইন্সকিনের মতে, সোম একপ্রকার লতাজাতীয় বনস্পতি। যা যজ্ঞ অনুষ্ঠানের অন্তিম পর্যায়ে পশুবলির পর সোম রস পান করা হয়।
গ্রিক জেনারেল জেনোফেন ৪০১ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে তার গবেষণায় তিনি মধুকে সোমরস বলে ভুল করেন।
১৮৫৫ সালে ম্যাক্স মুলার একটি প্রাচীন আয়ুর্বেদিক শ্লোক উদ্ধার করে। সেই শ্লোক অনুযায়ী সোম কৃষ্ণবর্ণ, শুভ্র-বর্ণ, ঈষৎ অম্ল ও মাদকতাজনক। সোমরস নিয়ে এটিকে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সঠিক বর্ণনা হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। এ ছাড়া ড. ওয়াল্টার রক্সবার্গ, জর্জ স্টিফেনসন, ড. ডেভিড ফ্রোলে বিভিন্ন সময় সোমলতা এবং সোমরস আবিষ্কারে নিয়োজিত ছিলেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সোমরস ‘অ্যামানাইটা মাসকারি’ মাশরুম থেকে তৈরি হয়। যার উৎপত্তি স্থল সাইবেরিয়াতে। বেদ সোমকে ভিন্নভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। যার পাতা রয়েছে। কিন্তু মাশরুমের কোনো পাতা হয় না।
এ ছাড়া অথর্ব বেদে বলা হয় (অথর্ব বেদ ১১.৬.১৫) কিছু উদ্ভিদ যেমন মারিজুয়ানা বা গাঁজা, যব অথবা দূর্বা থেকে সোম অনেক উন্নত। কিন্তু ডারভা বা দূর্বার, মারিজুয়ানার মধ্যে সোমের কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। অন্যান্য উদ্ভিদ যেগুলো সোমের সাথে সংযুক্ত সেগুলো হলো পদ্ম এবং শাপলা। সোমের মতো এই উদ্ভিদগুলো পিষলে এদের থেকেও দুধের মতো রস নির্গত হয়। সোমরস সুমিষ্ট, এই রস যেমন পানীয় হিসেবে ব্যবহৃত হতো-তেমন দুধ, দধি ও ক্ষীরে দেয়া হতো মিষ্টতার জন্য। এ কারণে হয়তো সোমকে মধুও বলা হয়ে থাকে।
আয়ুর্বেদে বিভিন্ন রোগনাশক ভেষজ ঔষধি উদ্ভিদের নাম হিসাবে সোমকে বর্ণনা করা হয়েছে। বর্তমান আয়ুর্বেদে সোম উদ্ভিদ বলতে কোনো একটি বিশেষমাত্র উদ্ভিদকে চিহ্নিত করে না। সোম উদ্ভিদ মানে উদ্ভিদগোষ্ঠীর ২৪ ধরনের ভিন্ন উদ্ভিদের সমন্বয়। সোম গোষ্ঠীর উদ্ভিদগুলোর ভেষজ গুণাগুণ সম্পর্কে বৈদিক ঋষিরা খুব ভালোভাবে পরিচিত ছিলেন।
সোমলতা মস্তিষ্কের সঙ্গে দেহের আত্মিক এক সম্পর্ক তৈরি করে- যা যোগাসন, প্রাণায়াম অথবা ধ্যান করতে  সাহায্য করে।
সোমকে প্রাচীন এবং পবিত্র উদ্ভিদ হিসেবে ধরা হয়। যা আধ্যাত্মিকতা বৃদ্ধিকারী, অনুপ্রেরণাদায়ক এবং বুদ্ধিবৃত্তি উন্নয়নকারী। ধারণা করা হয় প্রতিটি সম্প্রদায়ে অথবা ভৌগলিক অঞ্চলে তাদের নিজস্ব সোমলতা রয়েছে।
আন্তর্জাতিক গবেষক এবং বিশিষ্ট চিন্তাবিদের মতে, সোম হলো ধ্যানের এমন এক পর্যায় যাওয়া- যে পর্যায়ে নিজের অস্তিত্বের সাথে পৃথিবীসহ পুরো জগৎকে এক করে ফেলা। প্রাচীন যুগের যোগীরা দীর্ঘ সাধনার মাধ্যমে এমন এক পর্যায় উপনীত হতে পারতেন, যে পর্যায়ে মস্তিষ্ক থেকে একধরনের মোমের মতো রস পুরো শরীরে নিঃসরণ করার সক্ষমতা রাখতেন। যে রস প্রতিটি কোষ-অনুকোষকে নতুনভাবে জন্ম দিতে পারত। প্রাচীন যোগীরা বারবার এই ধ্যানের মাধ্যমে দীর্ঘ জীবন লাভ করতেন। মূলত সোম থেকে সমুদ্র শব্দটি এসেছে। সোম মানে উপরে থেকে নীচে প্রবাহমান। সাধারণ মানুষকে এর মাহাত্ম্যকে উপলব্ধি করতে পারে না। প্রাচীন মুনী-ঋষিরা তাদের প্রাপ্ত বা গবেষণালব্ধ জ্ঞানকে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে হস্তান্তরের উদ্দেশ্যে সহজভাবে পূজার মাধ্যমে জ্ঞানগুলো হস্তান্তর করেছেন।
বিদেশি বিজ্ঞানীদের সোমরস নিরসনের প্রচেষ্টা পরপর ব্যর্থ হয়ে আসছে। তবু ইউরোপ বা আমেরিকার বিশেষজ্ঞগণ আজও সোমরসের সন্ধান করে যাচ্ছেন। আজও সোমরস অনুসন্ধানে যে-পরিমাণ গবেষণা চলছে, তাতে বোঝা যায় সোমরসে হয়তো অমরত্বের সন্ধান থাকলেও থাকতে পারে                               অমর হবার ইচ্ছা মানুষের বহুদিনের  কে বা না চায় অমর হতে

যক্ষিনী .‌সাধনা

যক্ষিনী সাধনা করার সহজ উপায়ঃ

আমরা দির্ঘ্যদিনের অভিজ্ঞতায় জেনেছি যে কোন উদ্দেশ্য পূরনের ক্ষেত্রে তান্ত্রিক শক্তি সাধনাগুলোর তুলনা হয় না। আমাদের নিকট অনেকেই নানা রকম সাধনার বিষয় প্রশ্ন করে থাকে এ সাধনায় কি ফল ও সাধনায় কি ফল ইত্যাদি নানা কথা। আমরা সেটা বলেও থাকি কিন্তু আপনাদের সকলের জ্ঞ্যতার্থে একটি কথা বলে রাখছি আর তা হলো সকল শক্তি সাধনাই যেহেতু নিজ স্বার্থ হাসিলের জন্য আর সাধনার ফলাফল লাভের পর সেই শক্তি একান্তই আপনার হয়ে যায় সেহুতু আপনি আপনার ইচ্ছানুসারে আপনার প্রয়োজনের কথা তাকে বলতে পারেন বা তাকে দিয়ে করাতে পারেন, শুধু মনে রাখতে হবে সে আপনার ভৃত নয় তাকে আপনি আদবের সহিদ যা বলবেন সে তার সাধ্যানুযায়ী সেটাই করে দিবে। আপনার এমন কোন মনের আকাঙ্খা থাকতে পারে না যা সে আপনাকে করে দিবে না। তবে যদি আপনার আকাঙ্খা প্রকৃতি বিরুদ্ধ হয়, ন্যায় সঙ্গত না হয় তবে ইতিহাস শাক্ষি লক্ষ লক্ষ সাধক তার শক্তির হাতেই প্রান বিসর্জন দিয়েছে। সুতারাং আপনাকে আপনার সকল চাওয়া ও লোভ হতে সংযম পালন করেই ইচ্ছেপুরুন করতে হবে। আমরা আজ এখানে প্রচলীত একটি ছোট্ট সহজ সাধনার নিয়ম প্রদান করছি, আপনি আপনার গুরুর নিকট হতে এর আদি অন্ত জেনে অনায়েসেই তা করতে পারেন। নিজের জীবনকে সুখময় করতে পারেন।

মন্ত্রঃ ওঁ হ্রীং নখকেশী কনকবতী স্বাহা।।

বিধিঃ যক্ষ গৃহে গমন পূর্বক নগ্ন অবস্থায় একবিংশতী দিন যাবৎ উল্লিখিত মন্ত্রটি একাগ্রচিত্তে জপ করিলে, মন্ত্র সিদ্ধ হইবার পর দেবী অর্ধরাত্রে সাধকের সম্মুখে উপস্থিত হইয়া বাঞ্চিত দ্রব্যাদি প্রদান করিবে।

কালী ‌সাধনা .

 
....
কালী সাধনা। যারা ভিতু তারা ভুলেও এই সাধনা করতে যাবেন না। সঠিক ভাবে কাজ করতে পালে ১০০% ভদ্রকালী প্রকট হবেন।
মন্ত্রঃ কালী কালী মহা কালী-
ঈদ্রের কপাটে চাপ-
মহাদেবের চাপটে মাতা"
ফেলবে তার ধাপ।
চৌনমুখি মহা যোক্ষিনী-
চন্দ্র নক্ষত্রের আধার;
শুনরে মাতা ডাকে তোরে-
বড় পির জিন্দা মাদার।
আয় মাতা ডাকি তোরো-
চলে আয় নিদ্রা ঘরে-
ফেলে তোর পা-
দোহাই লাগে মাতা তুই;
শিঘ্র এসে পৌছা।
শ্রীদাম আজ্ঞা গুরুর পা-
মা চন্ডী শিদ্দিকী করে যা;
না হলে মহাদেবের মাথা খা।
নোটঃ অনুমতি নিতে হবে।  অনোথায় কাজে আসবে না .
গুরুর অনো মতি ও সঠিক নিয়ম জানতে আজি যোগা যোগ করুন 01757786808

. হারানো প্রেম ভালোবাসা ফিরে পাওয়ার তদবীর.

  হারানো প্রেম ভালোবাসা ফিরে পাওয়ার তদবীর
আমরা মানুষ্য জাত প্রায়শই একটি ভুল করি, আর তা হলো যখন যা আমাদের নাগালে থাকে তখন তার গুরুত্ব আমরা দেই না, বা তার মর্ম বুঝি না। যখন সেটা হারিয়ে যায় তখন সেটার গুরুত্ব বুঝতে পারি। যে কোন রিলেশনের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে থাকে, আমরা যখন একজনের সাথে রিলেশনে থাকি তখন তাকে অবহেলা করি, তার সন্মান করি না, বা তাকে তার প্রাপ্য মর্জাদা দিতে চাই না। আমাদের মানুষিক চেতনা বলে যাই করি না কেনো সে তো আর ছেড়ে যাবে না। কিন্তু যখন ছেড়ে চলে যায় তখন আমরা কপাল চাপড়ে মরি। আমরা অনেকেই আমাদের ভালোবাসার মানুষটির সাথে দির্ঘ্যদিন সর্ম্পক্য রাখলেও তাকে মনে প্রানে ভালোবাসলেও কেউ কেউ ভালোবাসি কথাটা মুখে বলি না, ভাবনা টা এমন যে সে তো জানেই আমি তাকে ভালোবাসি। কিন্তু মশায় ভালোবাসার মানুষটির কাছে আপনার আবেগের প্রকাশটা অবশ্যই জরুরী। কারন হতে পারে সে তার ভাবনায় ভিন্ন কিছুর ছবি আকঁছে।
আজকের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে যে সকল প্রেমিক পূরুষগন দির্ঘ্যদিন বা একটি নির্দিষ্ট সময় একজনের সাথে সর্ম্পকে থাকার পর তাকে হারিয়ে ফেলেছে। বা প্রেমীকা তাকে ছেড়ে চলে গেছে। বা তার সাথে ব্রেকআপ করেছে। বা অন্য কারো হাত ধরে চলে গেছে। বা তার সাথে প্রতারনা করেছে। তাদের জন্য। 
আমরা বলতে চাই মেয়ে মানুষকে আপনি যতটা সহজ সরল অবলা মনে করেন সে কিন্তু সেটা নয়, মনে রাখবেন তার জন্যই এই পৃথিবীর সৃষ্টি তার দ্বারাই সৌন্দর্যের সৃষ্টি তার কারনেই আপনার সুখ, তার কারনেই আপনার জন্ম। আর আজ যদি আপনি হারানোর যন্ত্রনা অনুভব করছেন সেটিও তার’ই কারনে। যাই হোক মেয়েরা মোটেও ছেলে খেলার বস্তু নয়। সেও স্রষ্টার সৃষ্টি মানুষ আপনার মাঝে যে সকল ভাবাবেগ কাজ করে ঠিক তেমনটি তার মাঝেও কাজ করে। সকল সময় মেয়েদের সন্মান দিয়ে তাদের ভালোবেসে আগলে রাখাই আমাদের কর্তব্য। কথায় বলে মেয়েরা হয় ভালোবাসে নতুবা ঘৃনা করে এর মাঝা মাঝি কোন বিষয় তাদের মাঝে নেই। আর সে কারনেই সে যদি আপনাকে ভালোবেসে থাকে তবে তার চাইতে বড় পাওয়া আর কিছুই জগতে আপনার কাছে থাকবে না। আর যদি একবার ঘৃনা করে তবে তার চাইতে বড় শত্রুও আপনি জগতে খুজে পাবেনা না। এই পৃথিবীর ইতিহাস বলে জগতে যতগুলো বড় বড় মানুষ্য সৃষ্ট প্রলয়ঙ্করী ধ্বংসযোগ্য সংগঠিত হয়েছে তার পিছনে অবশ্যই একটি মেয়ের গল্প রয়েছে। নারী জাতি বড়ই মায়াময় ও বিভৎস।
আপনি যদি আপনার ভালোবাসার মানুষটিকে হারিয়ে থাকেন আর তাকে পুনরায় ফিরে পেতে চান তবে কয়েকটি বিষয় আপনার নিজের মনকে জিজ্ঞেস করে সঠিক টা জেনে নিতে হবে। আর তা হচ্ছে আপনি যে নারীকে ফিরে পেতে চান তাকে কি সত্যি আপনি মন প্রান দিয়ে ভালোবাসেন না কি সেখানে আপনার কোন স্বার্থ জরিত???
তন্ত্র, মন্ত্র, যন্ত্র, দোওয়া, তাবিজ, কবচ, পানি পড়া, ব্লাক ম্যাজিক, হোয়াইট ম্যাজিক, হিপনো টাইজ, মেসমেরিজম, জাদু, টোনা, বান ইত্যাদি যাই করেন না কেনো। তদবীরের পূর্বেই তদবীর কারকের নিকট জেনে নিন তিনি কি করতে যাচ্ছেন।
যে কোন বশিকরণ তদবীরের পূর্বে তদবীর কারককে এই বিষয়টি অবশ্যই অবহিত করবেন। কারন ভালোবাসার মানুষটিকে আকর্ষন করার জন্য তদবীর আর একটি নারীকে স্বার্থের জন্য আকর্ষন করার তদবীর কখনই এক নয়। আর এই ভুলটির জন্যই অনেক ক্ষেত্রেই অনেকে তান্ত্রিকের দারস্ত হয়েও হতাষ হয়ে ফিরে এসেছে। মনে রাখবেন বর্তমান সমাজে ও ভার্চুয়াল জগতে তান্ত্রিকদের এতটাই ছড়াছড়ি যে আপনি নিজেই দিশে হারা হয়ে যাবেন এই সিদ্ধান্ত নিতে যে কে রিয়েল আর কে ফেইক। আমরা বাংলাদেশের তান্ত্রিক জরিপে যা পেয়েছি তাতে শতকরা ৯৯% ফেইক। উপরন্ত এই ফেইক তান্ত্রিকদের মাঝে অধিকাংশই কম বয়ষ্ক ও অশিক্ষিত। ভার্চুায়াল জগতে যে সকল হাইব্রিট তান্ত্রিক পেইজ প্রতিনিয়ত তৈরী হচ্ছে এবং ঝরে যাচ্ছে এর মাঝে ৯৯% এমন রয়েছে যারা কি না কম্পিউটার অপারেটর মাত্র। আর এই অপারেটরা এই বিষয় ভালোভাবেই জ্ঞান রাখে কি ভাবে একজন সাধারন মানুষকে কনভেন্স করতে হয়। পাবলিক কোন ধরনের তান্ত্রিকতায় বেশি আগ্রহ প্রকাশ করে। কেমন অফার তারা চায়। কি ধরনের কথায় তাদের কনভেন্স করা সম্ভব। ইত্যাদি।
সাধারন ভিজিটরদের এই সকল ফেইক তান্ত্রিক চেনার জন্য আমরা ইতিপূর্বের বেশ কয়েকটি পেইজে কিছু অনলাইন এ্যনালাইসিস থিউরি প্রদান করেছিলাম আপনারা চাইলে পূর্বের পোষ্টগুলো দেখে আসতে পারেন। তবে সাধারন ভাবে কয়েকটি কথা মাথায় রাখবেন- প্রথমত যে সকল স্যোসাল মিডিয়ায় প্রচারিত চাকচিক্য তান্ত্রিক বিজ্ঞাপন দেখবেন তা এড়িয়ে চলুন। কারন চকচক করলেই শোনা হয় না। বর্তমান সময় ফেইসবুক পেইজের লাইক টাকা দিয়ে কেনা যায়। আর বেশি লাইককৃত পেইজ মানেই সেটা সঠিক সেটা ভাবা বড় রকমের ভুল। দ্বিতীয়ত যে সকল তান্ত্রিক পেইজের সাথে ওয়েব এ্যড্রেস নেই সেটি ১০০ ভাগ নিশ্চিত ফেইক। ওয়েব এ্যড্রেসে প্রদানকৃত মোবাইল নাম্বার ও স্যোসাল মিডিয়ায় প্রচারকৃত মোবাইল নাম্বার এক না হলে এড়িয়ে যান। যে সকল ওয়েব সাইট দু এক বছরের মধ্যে তৈরীকৃত সেগুলো নিশ্চিত ফেইক ওয়েব সাইট। যেখানে দেখবেন ৩ ঘন্টায় বা ২৪ ঘন্টায় কাজের ফলাফল সেটা তো অনেক বড় ভাবনার বিষয়। কারন দেখুন নারী হোক বা পূরুষ সে একজন মানুষ আর একজন মানুষের মন কখনই কোন পানি পড়া বা তাবিজ করে এতো তারা তারি পরিবর্তন করা যায় না, যেটা আমরা বিভিন্ন নাটক বা গল্পে পড়ে থাকি। মানুষের মন পরিবর্তন হতে অবশ্যই সময় লাগবে। অনলাইনে কোন কাজ দেওয়ার পূর্বে ভেবে রাখুন, আপনি যাকে বশ করতে আগ্রহী তার সঠিক জন্ম তারিখ, নাম, বাবা মায়ের নাম, ছবি ইত্যাদি আপনার কাছে আছে কি না। যে তান্ত্রিকের নিকট হতে সার্ভিস নিচ্ছেন সে কোন ধর্মের তান্ত্রিক আপনি কোন ধর্মের সেবা গ্রহন কারি সেটিও বড় বিষয়। কোন তান্ত্রিক যদি তাবিজ, কবচ, পানি পড়া, চিনি পড়া ইত্যাদি আপনাকে দেয় তবেও ধরে নিন আপনার কাজ হবে না। কারন এই সকল উপকরনে বর্তমান সময়ে কাউকে বশ করা হয়েছে এমন বাস্তব নজির বিরল। হ্যা আপনি হয়তো লোক মুখেই শুনে থাকবেন অমুকের হয়েছে অমুকের হয়েছে। কিন্তু প্র্যাকটিক্যাল কাউকে খুজে পাবেনা না। তান্ত্রিক কাজ নেওয়ার পূর্বে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা আপনার জানা দরকার সেটি হচ্ছে । যার জন্যেই তদবীর করুন না কেনো একমাত্র তান্ত্রিক এবং আপনি ছাড়া অন্য কেউ যেনো এ বিষয় কিছু জানতে না পারে। নতুবা কাজের ফল আপনার জন্য নয়।..... ..
তান্তিক গুরু আজিজ রহমান .      জ্বীন পরী সাধক ..ইমু 01757786808/

পুরাতন পোষ্ট গুলি দেখুন